রাত পোহাতেই জটিলতা কাটিয়ে ‘রঘু ডাকাত’-এর সেটে অনির্বাণ
টলিপাড়ার অন্দরের খবর যে সকল পরিচালক অভিনেতা, প্রযোজকরা ফেডারেশনের বিরুদ্ধে আদালতের দারস্থ হয়েছেন, তাঁদের সঙ্গেই অসহযোগিতার পথে হাঁটতে পারে টেকনিশিয়ানরা। কিছুদিন আগে অবশ্য সৌভিক কুন্ডুর একটি প্রজেক্টে পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় ছিলেন অভিনেতা হিসেবে, সেখানেও শ্যুট করতে সমস্যা হয়নি।

সমস্ত জল্পনার অবসান করে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই শুরু হয়েছে ধ্রুব বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিচালিত ছবি ‘রঘু ডাকাত ‘ ছবির শ্যুট। জল্পনা ছিল এই ছবিতে অভিনেতা অনির্বাণ ভট্টাচার্য রয়েছেন, তাহলে হয়ত টেকনিশিয়ানরা অসহযোগিতার পথে যেতে পারেন। প্রযোজক সংস্থার অন্দরের খবর বৃহস্পতিবার সকাল থেকে স্বাভাবিক ছন্দেই চলছে ‘রঘু ডাকাত ‘ ছবির শ্যুট। তাহলে কি অভিনেতা পরিচালক অনির্বাণ ভট্টাচার্যের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝি মিটে গেল? ফেডারেশনের অন্দরের খবর ফেডারেশনের বিরুদ্ধে আদালতে যাওয়ার আগেই এই ছবিতে অনির্বাণ ভট্টাচার্যের সঙ্গে প্রযোজকদের চুক্তি হয়েছিল। তাই এই ছবির ক্ষেত্রে সমস্যা নেই। তবে আগামী দিনের প্রজেক্টের ক্ষেত্রে অনির্বাণ ভট্টাচার্যের সঙ্গে টেকনিশিয়ানরা অসহযোগিতা করবে বলেই জানা গিয়েছে। যে কারণে দু’দিন আগেই একটি মিউজিক ভিডিয়ো ‘ব্যান্ড হুলিগানিজম’র আরও একটি গানের শ্যুট থেকে নিজেদের সরিয়ে নিয়েছিলেন টেকনিশিয়ানরা।
টলিপাড়ার অন্দরের খবর যে সকল পরিচালক অভিনেতা, প্রযোজকরা ফেডারেশনের বিরুদ্ধে আদালতের দারস্থ হয়েছেন, তাঁদের সঙ্গেই অসহযোগিতার পথে হাঁটতে পারে টেকনিশিয়ানরা। কিছুদিন আগে অবশ্য সৌভিক কুন্ডুর একটি প্রজেক্টে পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় ছিলেন অভিনেতা হিসেবে, সেখানেও শ্যুট করতে সমস্যা হয়নি। তবে আগামী প্রজেক্টে কোন সমস্যা আসে কি না সেটা নজর থাকবে।
এই মুহুর্তে যেহেতু কিছু পরিচালক প্রযোজক ফেডারেশনের বিরুদ্ধের আদালতে গিয়েছেন, তাই ফেডারেশনের তরফ থেকেও এই বিষয়ে কোন বিবৃতি আসছে না। কারণ পুরো বিষয়টি এখন আদালতের আওতায়। তবে টেকনিশিয়ানদের তরফে অঘোষিত অসহযোগিতার কথা শোনা যাচ্ছে। অন্যদিকে টলিপাড়ার পরিচালক -প্রযোজক এবং টেকনিশিয়ানদের দ্বন্দ্ব যেমন জটিল রূপ ধারণ করছে। এবার এই একই রকম বিভেদ সর্বভারতীয় স্তরে দেখা দিয়েছে।
সর্বভারতীয় টেকনিশিয়ানস অ্যাসোসিয়েশনের আন্দোলনে চেন্নাইয়ে বক্তব্য রেখেছেন পূর্ব ভারতের ফেডারেশনের তরফে সভাপতি স্বরূপ বিশ্বাস। ১৪ই মে, দক্ষিণ ভারতের ফিল্ম এমপ্লয়িজ ফেডারেশন একদিনের অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দিয়েছিল। কিছু তামিল চলচ্চিত্র প্রযোজকের অনৈতিক কার্যকলাপের বিরুদ্ধে ছিল এই প্রতিবাদ। আর এই অনুষ্ঠানে ইস্টার্ন ইন্ডিয়া ফেডারেশন অফ সিনে টেকনিশিয়ানস অ্যান্ড ওয়ার্কার্স-এর সভাপতি স্বরূপ বিশ্বাস অন্যতম প্রধান বক্তা ছিলেন। এই আমন্ত্রণ ছিল সমস্ত ফেডারেশনের মধ্যে ঐক্য এবং সংহতির একটি স্পষ্ট প্রতীক। যা কি না অল ইন্ডিয়া ফিল্ম এমপ্লয়িজ কনফেডারেশন এর অধীনে পরিচালিত হয়।
