আলপনা তো দেন, এই নিয়ম কী জানেন! কোন রহস্য ভেদ করলেন অপরাজিতা?
Aparajita Adhya: অপরাজিতা প্রথম থেকেই স্থির করেছিলেন রীতি মেনে পুজোটাই করবেন, সেখানে কোনও বাড়তি আয়োজন রাখবেন না। করলেনও তাই। লক্ষ্মী পুজোর দিন বিকেলে নিজে হাতে আলপনা দিয়ে ঘর সাজিয়ে তুললেন তিনি। তুলি হাতে জানালেন, কী এই আলপনার মাহাত্ম্য?
অপরাজিতা আঢ্যর বাড়ির লক্ষ্মী পুজো প্রতিবছর মানুষের কাছে এক বিশেষ আকর্ষণ। তিনি প্রতিবার মাকে যেভাবে নিজে হাতে সাজিয়ে পুজো করেন, তা দেখে মুগ্ধ হন সকলে। এবারও তাঁর পুজোর আচারে কোনও খামতি থাকল না। তবে প্রতিবারের মতো জমকালো আয়োজনও তিনি রাখলেন না। চলতি বছরের পুজো বেশ কিছুটা অন্যরকম। তাই অপরাজিতা প্রথম থেকেই স্থির করেছিলেন রীতি মেনে পুজোটাই করবেন, সেখানে কোনও বাড়তি আয়োজন রাখবেন না। করলেনও তাই। লক্ষ্মী পুজোর দিন বিকেলে নিজে হাতে আলপনা দিয়ে ঘর সাজিয়ে তুললেন তিনি। তুলি হাতে জানালেন, কী এই আলপনার মাহাত্ম্য?
অপরাজিতার কথায়, ‘আলপনা দিতে পছন্দ করি। কিন্তু এই যে কোনও পুজোতে আলপনা দেওয়ার পদ্ধতি, সেটা কেন? এই যে আমরা মনের ইচ্ছে মত ফুল লতা পাতা আঁকি, সেগুলো তো নিজের ভাললাগা থেকে করি। অবশ্যই সেটা মানুষকে মানুষকে মুগ্ধ করে। যে বাড়িতে খুব সুন্দর করে আলপনা দেওয়া হয়, আমরা ধরে নিই, সেই বাড়ির পুজোটাও খুব সুন্দর করে হয়। কিন্ত বিষয় হচ্ছে এই আলপনা দেওয়ার পদ্ধতিটা এমন কেন? ২৮টা জ্যামিতিক চিহ্ন আছে। বিভিন্ন শাস্ত্র থেকে, পুরাণ থেকে। আমরা যদি ধরে নিই বিশ্বব্রহ্মাণ্ডই ভগবান এবং বিশ্বের যা এনার্জি, আমাদের এনার্জি তো এক। সারা ইউনিভার্স যে উপাদান দিয়ে তৈরি, আমরাও সেই উপাদান দিয়ে তৈরি। সেই এনার্জি বা চৌম্বকীয় শক্তিকে আকর্ষণ করতে সাহায্য করে এই চিহ্নগুলো। ফলে এই চিহ্নগুলো ব্যবহার করে যদি আল্পনা আঁকা যায়, তবে আধ্যাত্মিক শক্তি অনেক গুনে বেড়ে যায়। সেই কারণে দক্ষিণ ভারতের অনেক জায়গায় আমরা যে ধরনের আলপনা দিই, তেমন আলপনা দেওয়া হয় না। তাঁরা এই জ্যামিতিক চিহ্ন অনুযায়ী কিন্তু আলপনা দেয়। সেটা দেব আমি আমার ঠাকুরের সামনে।’
View this post on Instagram
প্রসঙ্গত অপরাজিতার সোশ্যাল মিডিয়া খুললেন তাঁর লক্ষ্মী প্রতিমার ছবি থেকে ভিডিয়ো নজরে পড়ে। নিজে হাতে মাকে কীভাবে প্রতিবার সাজিয়ে তোলেন তিনি, সেই মুহূর্তের সাক্ষী থাকে নেটপাড়া। এবারও তিনি সেই বিশেষ মুহূর্তের ভিডিয়ো সকলের সঙ্গে শেয়ার করে নিতেও ভুললেন না।