AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

নীলচে চোখের ভয়ানক ভিলেন সুমিতের কীভাবে ভাব-ভালবাসা হয় স্ত্রীর সঙ্গে জানেন?

Sumit Ganguly: তিনি দাঁত খিঁচালে ভয়ে সকলে কাঁটা হয়ে যান। নীলচে চোখের ভয়ানক ভিলেন অভিনেতা সুমিত গঙ্গোপাধ্যায়কে নিয়ে মানুষের মনে আগ্রহ কম নেই। ৬০ ছুঁই-ছুঁই বয়স তাঁর। তবে মনটা তাঁর বছর ২৫শের যুবকের। তাঁর সঙ্গে কীভাবে ভাব-ভালবাসা হয় স্ত্রী শেলির জানেন?

নীলচে চোখের ভয়ানক ভিলেন সুমিতের কীভাবে ভাব-ভালবাসা হয় স্ত্রীর সঙ্গে জানেন?
সুমিত গঙ্গোপাধ্যায়।
| Updated on: Jun 12, 2024 | 3:15 PM
Share

‘কেঁচো খুড়তে কেউটে’ বাংলা ছবিতে ভয়ানক ভিলেন হিসেবে আত্মপ্রকাশ অভিনেতা সুমিত গঙ্গোপাধ্যায়ের। ‘যুদ্ধ’, ‘ঘাতক’, ‘এমএলএ ফাটাকেষ্ট’র মতো আরও অনেক বাংলা ছবিতে তিনি সেই ভিলেন হয়েই ধরা দিয়েছেন দর্শকের সামনে। বহু ছবিতে ধর্ষকের ভূমিকায় দেখা গিয়েছে তাঁকে। সেই সুমিত সম্প্রতি অভিনয় করেছেন ‘খাদান’ ছবিতে। ভিলেন হিসেবে তিনি দর্শকের ভালবাসা পেয়েছেন ভরপুর। তাঁকে ভয়ও করেছে অসংখ্য শিশু। তাঁর ভয়েই শিশুরা ঠিক সময়ে স্কুলে গিয়েছে, খেয়ে নিয়েছে, পড়তে বসেছে। সেটাকে জীবনের বিরাট প্রাপ্তি হিসেবেই ধরে নিয়েছেন সুমিত। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে অভিনেতা বলেছেন, “আমি ৮-৯ কোটি ছেলেমেয়েকে মানুষ করেছি। আমার ভয়েই তারা সময়ের কাজ সময়ে করে নিয়েছে। বাবা-মায়েরা আমাকে দেখিয়ে তাদের ভয় দেখাত। ছেলেমেয়েগুলো লেখাপড়া করেছে আমাকে ভয় পেয়েই। আজ হয়তো তারা অনেক বড় হয়ে গিয়েছে। চাকরি-বাকরি করছে। এটা নিঃসন্দেহে আমার কাছে প্রাপ্তি।” দুর্দান্ত ভিলেনকে ভয় পাওয়াটাই স্বাভাবিক। তবে ব্যক্তিজীবনে সুমিত ঠিক উল্টো। তাঁর মতো মানুষ নাকি হয় না। তিনি ঘোরতর সংসারী। স্ত্রী-কন্যাকে নিয়ে তাঁর গোছানো জীবন। ভয়নাক ভিলন সুমিতকে একেবারেই ভয় পেতেন না কন্যা। তিনিই কন্যাকে ভয় পেয়েছেন। আর তাঁর স্ত্রী শেলি গঙ্গোপাধ্যায়? তিনি কীভাবে প্রেমে পড়লেন এক নীলচে চোখের খলনায়িকের? যিনি সারাক্ষণই দাঁত-মুখ খিঁচিয়ে ভয় দেখিয়েছেন পর্দায়। সেই গল্পটাই TV9 বাংলা ডিজিটালের কাছে করেছেন সুমিত…

৬০ ছুঁই-ছুঁই বয়স সুমিতের। তবে মনটা তাঁর বছর ২৫শের যুবকের। অবলীলায় বললেন, “আমার সঙ্গে কোনও মহিলা যদি ৪-৫দিন মেলামেশা করেন, সিনেমায় যান, কফি খান, তিনিও আমার প্রেমে পড়ে যাবেন। পুরোপুরি প্রেমে পড়ে যাবেন। এক্কেবারে হাবুডুবু খাবেন। এটা আমি চ্যালেঞ্জ করে বলতে পারি। আমি কিন্তু সেই মহিলার হাতটাও ধরব না।” আমার এখনও পর্যন্ত ৭০০ থেকে ৮০০জন গার্লফেন্ড হয়েছে। কিছু করার নেই, আমার স্ত্রী সবই জানেন। ওকে কিছুই লুকাই না। এই প্রেমিকারা আমার আমৃত্যু থাকবে। ঈশ্বর আমাকে এটা উপহার দিয়েছেন।”

মহিলারা কেন বারবার প্রেমে পড়েন সুমিতের, প্রশ্ন করায় অভিনেতার স্বতঃস্ফূর্ত জবাব, “আমার জ্যোতিষ ছকে শুক্র খুবই ভাল জায়গায় অবস্থান করে। সেই কারণেই মহিলারা আমাকে খুব ভালবাসেন।” সুমিতের সোশ্যাল মিডিয়া (ফেসবুক)-এ ৩৮ হাজার ফলোয়ার। প্রায় ৫০০০জন বন্ধু আছেন ফ্রেন্ড লিস্টে। মাঝেমধ্যে সেই লিস্ট থেকে ফ্রেন্ড ছাটাইও করেন সুমিত। ৫০০০-এর মধ্যে ৪,৫০০জন মহিলাই। আর তাঁর স্ত্রী শেলি গঙ্গোপাধ্যায়? তাঁর সঙ্গে কীভাবে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয় সুমিতের। অভিনেতা বলেছেন, “ও-ও তো আমার প্রেমে পড়েছিল আলাপের ৪-৫ দিনের মধ্যে। তারপর আমাকে টানা একবছর ফিল্ডিং করতে হয়েছে। সেটা একটু কঠিন ছিল। আমার স্ত্রী শেলির সেই সময় টাইফয়েড হয়েছিল। ভয়ানক অসুস্থ হয়ে পড়েছিল ও। মৃত্যু মুখে চলে গিয়েছিল। তাঁর চিকিৎসা-পরিচর্যা-দেখাশোনা সব করেছি আমি। সেই সব করতে গিয়েই প্রেমটা হল আরকী। বিয়ে করে ফেললাম।”

এই যে শ’য়ে শ’য়ে মহিলা প্রেমে পড়েন সুমিতের, তিনি কারও প্রেমে পড়েন না? জিজ্ঞাসা করায় অভিনেতার জবাব, “আমি কারও প্রেমে পড়ি না। না হলে চাপ হয়ে যাবে। আমি প্রেমেইইইইই পড়ি না। আমি ব্রেনে থাকি। ব্রেন থেকে হার্টে নামি না কখনও। নিজেকে কন্ট্রোল করি।” সুমিতের বক্তব্য, তাঁর হৃদয়ে কেউ বসে নেই। এমনকী, স্ত্রীও না। তাঁর ভাষায় স্ত্রী একটি ‘হ্যাবিট’। একে-অপরের হাতটা ৩৪ বছর ধরে আছেন তাঁরা। অভিনেতা বলেছেন, “আমরা এখন ভাই-বোন হয়ে গিয়েছি।”