দুটি সন্তানের জননী অভিনেত্রী গীতা বসরা। একজন পাঁচ বছরের কন্যা হিনারা। অন্যজন এক বছরের পুত্র জোভান। গীতার আরও একটি পরিচয় তিনি ভারতীয় ক্রিকেটার হরভজন সিংয়ের স্ত্রী। সন্তানদের প্রতিপালন করেই সময় অতিবাহিত হয় গীতার। এতটাই ব্যস্ত থাকেন, যে নিজের শরীরের দিকে তাকানরও সময় পাননি অভিনেত্রী। কিন্তু শরীরকে ডিটক্সিফাই করা (বিষমুক্ত করা) ও যত্ন নেওয়ার অবসরকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছেন গীতা। একটি সাক্ষাৎকারে ফিটনেস নিয়ে খোলা মনে কথা বলেছেন অভিনেত্রী ও দুই সন্তানের জননী।
ই-টাইমসকে দেওয়া সেই সাক্ষাৎকারে গীতা জানিয়েছেন, অভিনয় থেকে দূরে থেকেও কীভাবে তিনি ফিট। কীভাবে সৌন্দর্য বজায় রেখেছেন। হরভজনের স্ত্রী বলেছেন, “ফিট স্বামী থাকা এর পিছনে একটা বড় কারণ। সারাদিনে কী-কী খাচ্ছি, সেটা খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আমার জীবনযাপন খুবই সাধারণ। আমি বাইরের খাবার খুব একটা খাই না। হয়তো সপ্তাহে একবার খেলাম। এই মুহূর্তে ফিটনেসের দিকে তেমন খেয়াল রাখতে পারছি না। কারণ আমার দুটি সন্তান আছে। তাঁদের পিছনেই আমার সময় অতিবাহিত হয়। ওদের নিয়েই ব্যস্ত থাকি সারাদিন। কিন্তু আমি বিশ্বাস করি ওয়ার্কআউট করার জন্য সময় বের করা প্রয়োজন। অন্তত এক ঘণ্টা সময় বের করাই যায়। কিন্তু পরিবারের খেয়াল রাখতে গেলে সেটা সবসময় সম্ভব হয়ে ওঠে না। তাই খাবারের দিকে খেয়াল রাখতে হয়। আমার নিউট্রিশনিস্ট সেই বিষয়টিতে আমাকে গাইড করেন।”
সন্তান জন্মের পর মহিলাদের শরীরে অনেক পরিবর্তন আসে। অনেকের পেট ফুলে যায়। গাল ভারী হয়ে যায়। হাত-পা মুটিয়ে যায়। আগের চেহারা আর থাকে না। কিন্তু খেয়াল রাখলে, এক্সারসাইজ় করলে সব আগের মতো হতে পারে। গীতাকে জিজ্ঞেস করা হয়, কতখানি কঠিন এই প্রণালী। তিনি জানিয়েছেন, সন্তান জন্মের পর নিজের আগের চেহারায় ফিরে যাওয়া কঠিন বিষয়। বলেছেন, “প্রেগন্যান্সির পর তাড়াহুড়ো করে রোগা হওয়ার চেষ্টা ঠিক নয়। হিনারার জন্মের এক বছর পর আমি জিমে গিয়েছিলাম। আমার নিউট্রিশনিস্ট সাহায্য করেছিলেন খুব। দ্বিতীয় প্রেগন্যান্সির সময় আমি খাওয়াদাওয়া কম করেছিলাম। ফলে বেশি ওজন বাড়েনি। হুটহাট ক্রেভিংও হয়নি আমার। হেলদি খাবারই খেয়েছি। ফলে প্রেগন্যান্সির পর তাড়াতাড়ি ওজন কমে গিয়েছিল।”
সম্প্রতি ‘রশমি রকেট’ ছবিতে চেহারার জন্য কটাক্ষ সহ্য করতে হয়েছে তাপসী পান্নুকে। তাঁকে বলা হয়েছে, পেশি ছেলেদের মানায়। মহিলাদের কেবল কার্ডিও এক্সারসাইজ় করা উচিত। ওজন তোলার বিষয়টি কেবলই পুরুষদের জন্য। পেশি থাকলে মহিলাদের দেখতে পুরুষের মতো লাগে। বিষয়টিতে বেশ চটেছেন গীতা। বলেছেন, “ওজন তুললে পেশি তৈরি হয় না। হতেই পারে না। মহিলাদের শরীরে সেই হরমোনটাই নেই। ইনজেকশন নিতে হয় এর জন্য। মহিলাদের টোনড শরীর দেখতে ভাল লাগে। যোগা করলেও সেই শরীর পাওয়া যায়।”
ম্যাটার্নিটি স্টাইলের জন্য বিখ্যাত করিনা কাপুর খান। গীতা তাঁর মাতৃকালীন স্টাইলের অনুরাগী। মনে করেন, করিনা এমন পোশাক পরেন যা দেখে তাঁকে কুল বলে মনে হয়।
ফিট থাকার জন্য বেসিক কিছু এক্সারসাইজ়ের কথাও বলেছেন গীতা। তাতে গর্ভবতীরা সহজেই আগের চেহারায় ফিরে যেতে পারবেন। গীতা মনে করেন, যোগা করলে শরীর ফিট থাকবে। কিন্তু সকলে যোগা করতে পারেন না। সেক্ষেত্রে নিয়মিত হাঁটলে উপকার মিলতে পারে। এটি রকেট সায়েন্স নয়।
আরও পড়ুুন: Abhishek Chatterjee Demise: স্কুলে যাওয়ার আগে বাবার ছবিকে আদর করল মৃত অভিষেকের কন্যা