Aryan Khan: কঠিন সময়ে মানসিক স্থিতবস্থা বজায় রাখতে কার সাহায্য নেবেন আরিয়ান?

Aryan Khan: হৃতিক রোশনের সঙ্গে কাজ করতে শুরু করার পরই জনপ্রিয় হন আফরিন। শোনা যায়, সুজানের সঙ্গে দাম্পত্য বিচ্ছেদের সময় মানসিক স্থিতবস্থা বজায় রাখার জন্য আফরিনের সাহায্য নিয়েছিলেন অভিনেতা।

Aryan Khan: কঠিন সময়ে মানসিক স্থিতবস্থা বজায় রাখতে কার সাহায্য নেবেন আরিয়ান?
আরিয়ান খান।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 25, 2021 | 8:16 AM

মাদক মামলায় বেশ কিছু দিন জেলে বন্দি থাকার পর জামিনে মুক্তি পেয়েছেন শাহরুখ খানের বড় ছেলে আরিয়ান খান। মাদক মামলা এখনও বিচারাধীন। নির্দিষ্ট নিয়মে এগোচ্ছে শুনানি। কিন্তু এই পর্বে মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন আরিয়ান। তা থেকে বেরিয়ে আসার জন্য তাঁর পেশাদারের সাহায্য প্রয়োজন। শোনা যাচ্ছে, এই কঠিন সময়ে তাঁকে ব্যালান্স বজায় রাখতে সাহায্য করবেন বলিউডের বিখ্যাত লাইফ কোচ আফরিন খান।

হৃতিক রোশনের সঙ্গে কাজ করতে শুরু করার পরই জনপ্রিয় হন আফরিন। শোনা যায়, সুজানের সঙ্গে দাম্পত্য বিচ্ছেদের সময় মানসিক স্থিতবস্থা বজায় রাখার জন্য আফরিনের সাহায্য নিয়েছিলেন অভিনেতা। দীর্ঘ দাম্পত্য থেকে বেরিয়ে আসার ক্ষত মেরামতে আফরিনের কৌশল, পরামর্শ কাজে লাগিয়েছিলেন হৃতিক। বলিউডের বহু শিল্পীই নিজেদের নাম প্রকাশ করতে না চাইলেও পেশাদার আফরিনের কাছে মনের দরজা খুলে দিয়েছেন চিকিৎসার জন্য। এ বার সেই তালিকায় যোগ হতে চলেছে আরিয়ানের নামও। শোনা যাচ্ছে, শাহরুখ-গৌরীর ছেলের জন্য আফরিনের সাহায্য নেওয়ার পরিকল্পনা করেছেন।

অন্যদিকে সদ্য মাদক মামলায় অভিযুক্ত আরিয়ান খান সহ অন্যান্য অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের কোনও সদর্থক প্রমাণ পাওয়া যায়নি বলে জামিনের নির্দেশনামায় জানিয়েছে বম্বে হাইকোর্ট। আদালত জানিয়েছে, আরিয়ান খান, আরবাজ মার্চেন্ট এবং মুনমুন ধামেচার বিরুদ্ধে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর আনা মাদক পাওয়া যাওয়ার সদর্থক প্রমাণ নেই। আদালত জানিয়েছে, তিন অভিযুক্তের কাছে মাজক পাওয়া গিয়েছিল মানেই তাঁদের কোনও অপরাধমূলক কাজের ইচ্ছে ছিল অথবা তাঁরা বেআইনি কোনও কাজ করেছেন, এমনটা বলা যায় না।

আরিয়ানদের কাছে বাণিজ্যিক ব্যবহারের জন্য মাদক ছিল বলে জানিয়েছে আদালত। আরিয়ানের হোয়াটস্অ্যাপ চ্যাটে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতেও তিনি ষড়যন্ত্র করেছিলেন, এমন কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। অভিযুক্ত তিনজন একই প্রমোদতরীতে ছিলেন। কিন্তু তা থেকে ষড়যন্ত্রের প্রমাণ পাওয়া যায় না। আদালত আরও জানিয়েছে, পুলিশের নেওয়া জবানবন্দি তদন্তের স্বার্থে ব্যবহার করা হবে।

আরিয়ানের গ্রেফতারির কিছুদিন পরেই চাঞ্চল্যকর দাবি করেছিলেন এনসিবির সাক্ষী প্রভাকর সেইল। তিনি দাবি করেছিলেন, সমীর ওয়াংখেড়ে তাঁকে দিয়ে সাদা কাগজে সই করিয়ে নিয়েছিলেন। তাঁকে যে মাদক মামলায় সাক্ষী হিসাবে পেশ করা হবে, সে বিষয়ে তিনি জানতেনই না। একইসঙ্গে তিনি অভিযোগ জানিয়েছিলেন, এনসিবির হেফাজত থেকে আরিয়ান খানকে মুক্তি দিতে শাহরুখ খানের ম্যানেজার পুজা দাদলানির কাছ থেকে ২৫ কোটি টাকা চাওয়া হয়েছিল। পরে তা ১৮ কোটি টাকায় রফা হয়। এরমধ্যে ৮ কোটি টাকাই এনসিবির জ়োনাল অফিসার সমীর ওয়াংখেড়েকে দেওয়ার কথা ছিল।

পূজা দাদলানির কাছ থেকে টাকা আদায়ের কাজ করছিলেন কিরণ গোসাভি নামক এক ব্যক্তি। প্রভাকর সেইল তারই দেহরক্ষী ছিলেন। কিরণ গোসাভির সঙ্গে মিলিতভাবে কাজ করছিলেন স্যাম ডি’সুজা নামক অপর এক ব্যক্তি। তিনিই গোসাভি ও পুজা দাদলানির মধ্যে দেখা করিয়ে দিয়েছিলেন বলে দাবি করেন প্রভাকর সেইল। অন্যদিকে স্যাম ডি’সুজার দাবি, কিরণ গোসাভি একাধিক মিথ্যা কথা বলেছে। নিজের দেহরক্ষী প্রভাকর সেইলের নম্বরও সে ফোনে সমীর ওয়াংখেড়ে নামে সেভ করেছিল সকলকে ভুল পথে চালিত করতে। নিজের গাড়িতে এনসিবির স্টিকারও লাগিয়েছিল গোসাভি, এমনটাই দাবি স্যামের।

আরও পড়ুন, Web Series: ‘দিল্লি ক্রাইম’-এর এমি অ্যাওয়ার্ড জয়ের বর্ষপূর্তি, আনন্দ ভাগ করে নিলেন শেফালি

আরও পড়ুন, Tollywood News: পুরোনো বন্ধুদের না ফুরোনো কথা বলতে আসছে ‘আবার বছর কুড়ি পরে’