৫৪ বছরের দাম্পত্যের ইতি, দিলীপ সাবকে হারিয়ে কী বললেন সায়রা বানু?
Bollywood actor Dilip kumar: বুধবার বিকেলে মুম্বইয়ের জুহু কবরিস্তান ইন সান্টাক্রুজে প্রয়াত অভিনেতার শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে। দীর্ঘ অসুস্থতার পর এ দিন সকাল সাড়ে সাতটায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন দিলীপ কুমার।

‘ঈশ্বর আমার বেঁচে থাকার কারণ ছিনিয়ে নিলেন’। দিলীপ কুমার প্রয়াত হওয়ার পর প্রথম এই কথাটাই বলেছেন তাঁর স্ত্রী, বন্ধু, দীর্ঘ দিনের সঙ্গী তথা অভিনেত্রী সায়রা বানু। ৯৮ বছর বয়সে বুধবার সকালে মুম্বইয়ের হিন্দুজা হাসপাতালে প্রয়াত হন দিলীপ। হাসপাতাল সূত্রে জানানো হয়েছে, স্বামীর প্রয়াণের খবরে এই কথাটা দিলীপ কুমারের চিকিৎসককে বলেন সায়রা।
বুধবার বিকেলে মুম্বইয়ের জুহু কবরিস্তান ইন সান্টাক্রুজে প্রয়াত অভিনেতার শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে। দীর্ঘ অসুস্থতার পর এ দিন সকাল সাড়ে সাতটায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন দিলীপ কুমার। পরিবারের পক্ষ থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর প্রয়াণের খবর শেয়ার করা হয়।
১৯২২-এর ১১ ডিসেম্বর পেশোয়ারে জন্মগ্রহণ করেন দিলীপ কুমার। তাঁর পিতৃদত্ত নাম মহম্মদ ইউসুফ খান থেকে বদলে দিলীপ কুমার করেছিলেন। ব্রুট ইন্ডিয়ায় প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, এই মুহূর্তে ৪০ শতাংশ ভারতীয়র জন্ম হয়েছে দিলীপ কুমারের শেষ ছবি মুক্তির পর।
ভারতীয় সিনেমার প্রথম স্টার দিলীপ কুমারের ব্যক্তি জীবন রঙিন ছিল। শোনা যায়, মধুবালার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল দিলীপ কুমারের। কিন্তু বিয়ে করেছিলেন নিজের অর্ধেক বয়সী সায়রা বানুকে। সায়রারও প্রেমে পড়েছিলেন তিনি। ১৯৬৬তে তাঁদের দাম্পত্যের শুরু। ৫৪ বছরের চিরনবীন সেই দাম্পত্য সম্পর্কের আজ ইতি। সায়রা ছোট থেকেই নাকি দিলীপ কুমারের ভক্ত ছিলেন। মাত্র ১২ বছর বয়স থেকেই নাকি তাঁকে বিয়ে করার স্বপ্ন দেখতেন। সেই স্বপ্ন পূরণ হয় ২২ বছর বয়সে। দিলীপের বয়স তখন ৪৪। তবে সায়রার সঙ্গে ১৬ বছরের দাম্পত্যের পর নিজে থেকেই সরে যান দিলীপ। পাক সমাজকর্মী আসমা রেহমানকে বিয়ে করেছিলেন দিলীপ। মাত্র দু’বছর স্থায়ী হয়েছিল সেই দাম্পত্য। ফের সায়রার কাছে ফিরেছিলেন অভিনেতা। আসমার সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়া তাঁর ভুল হয়েছিল, এ কথা পরে মেনে নেন দিলীপ কুমার। সায়রাও আর ওই ঘটনা মনে রাখতে চাননি। তাঁদের দাম্পত্য অনেকের কাছেই উদাহরণ।
প্রায় ছয় দশকের বলিউড কেরিয়ার দিলীপ কুমারের। তাঁকে ‘ট্র্যাজেডি কিং’ আখ্যা দেওয়া হত। গোটা কেরিয়ারে প্রায় ৬৫টি ছবিতে অভিনয় করেছেন। দেবদাস (১৯৫৫), মুঘল ই আজম (১৯৬০), গঙ্গা যমুনা (১৯৬১), ক্রান্তি (১৯৮১), কর্মা (১৯৮৬)-র মতো ছবি বলিউডের ইতিহাসে চিরকাল মনে রাখবেন সিনে প্রেমী দর্শক। ১৯৯৮০এ মুক্তিপ্রাপ্ত ‘কিলা’ ছবিতে শেষ দেখা গিয়েছিল দিলীপের অভিনয়। ১৯৯৪-এ দাদা সাহেব ফালকে এবং ২০১৫-এ পদ্মবিভূষণ সম্মানে ভূষিত হন তিনি।
আরও পড়ুন, নিঃসন্তান দিলীপ কুমার কেন পরবর্তী প্রজন্মের কথা ভাবেননি?
