নিঃসন্তান দিলীপ কুমার কেন পরবর্তী প্রজন্মের কথা ভাবেননি?
Bollywood actor Dilip kumar: ব্যক্তি জীবনেও দিলীপ কুমার, সায়রা বানুর প্রেম কাহিনি দর্শক শ্রদ্ধার চোখে দেখেন। পর্দার রসায়ন তাঁদের ব্যক্তি জীবনেও ছিল।
৯৮ বছর বয়সে প্রয়াত হলেন কিংবদন্তী অভিনেতা দিলীপ কুমার। ট্র্যাজেডি কিং। এই তকমায় ভূষিত হতেন তিনি। বহু অভিনেতা তাঁর সমসাময়িক অথবা পরেও, জনপ্রিয়তা পেয়েছেন। কিন্তু দিলীপ কুমারের স্থান আজও অটুট।
ব্যক্তি জীবনেও দিলীপ কুমার, সায়রা বানুর প্রেম কাহিনি দর্শক শ্রদ্ধার চোখে দেখেন। পর্দার রসায়ন তাঁদের ব্যক্তি জীবনেও ছিল। শেষ দিন পর্যন্ত প্রিয় মানুষের পাশে ছিলেন সায়রা বানু। তাঁর দিলীর সাব সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরবেন, এই আশা করেছিলেন। কিন্তু তা আর সম্ভব হল না। দম্পতি নিঃসন্তান। কেন তাঁরা পরবর্তী প্রজন্মের কথা ভাবেননি, তা ২০১২-র এক সাক্ষাৎকারে নিজেই জানিয়েছিলেন অভিনেতা।
দিলীপ কুমার বলেছিলেন, “আমাদের সন্তান থাকলে ভাল হত নিশ্চয়ই। কিন্তু এ নিয়ে আমাদের কোনও আক্ষেপ নেই। আমি বা সায়রা এই অসম্পূর্ণতা নিয়ে কখনও অভিযোগ করিনি। আমাদের পরিবার রয়েছে। ভাল, মন্দ সবই তাঁদের সঙ্গে শেয়ার করতে পারি। আমার ভাইপো, ভাইঝি নিয়ে বিরাট পরিবার। সায়রার পরিবার ছোট। ওর ভাই সুলতান, তাঁর সন্তান এবং নাতি নাতনিরা রয়েছে। আমাদের যখনই প্রয়োজন, ওরা পাশে থাকে, এটা তো বড় পাওয়া।”
দিলীপ কুমার, সায়রা বানুর সন্তান না থাকায় তাঁদের অভিনয়ের ঐতিহ্য কার হাতে দিয়ে যাবেন? এ প্রশ্নও করা হয়েছিল অভিনেতাকে। দিলীপ হেসে বলেছিলেন, “যখন একজন নতুন অভিনেতা আমার কাছে এসে বলে, স্যার, আমি আপনাকে অনুসরণ করতে চাই। আপনি যে পথে এগিয়েছিলেন, সে পথে যেতে চাই। তখনই তো আমার ঐতিহ্য বয়ে নিয়ে যাওয়ার অভিনেতাকে দেখতে পাই। আর এ জন্য আমি ঈশ্বরের কাছে কৃতজ্ঞ।”
প্রায় ছয় দশকের বলিউড কেরিয়ার দিলীপ কুমারের। তাঁকে ‘ট্র্যাজেডি কিং’ আখ্যা দেওয়া হত। গোটা কেরিয়ারে প্রায় ৬৫টি ছবিতে অভিনয় করেছেন। দেবদাস (১৯৫৫), মুঘল ই আজম (১৯৬০), গঙ্গা যমুনা (১৯৬১), ক্রান্তি (১৯৮১), কর্মা (১৯৮৬)-র মতো ছবি বলিউডের ইতিহাসে চিরকাল মনে রাখবেন সিনে প্রেমী দর্শক। ১৯৮০এ মুক্তিপ্রাপ্ত ‘কিলা’ ছবিতে শেষ দেখা গিয়েছিল দিলীপের অভিনয়। ১৯৯৪-এ দাদা সাহেব ফালকে এবং ২০১৫-এ পদ্মবিভূষণ সম্মানে ভূষিত হন তিনি।
আরও পড়ুন, দিলীপ কুমার শুধুমাত্র একজন অভিনেতা নন, একটা প্রতিষ্ঠান: শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়