কেরিয়ারের শুরুতে ডেলিভারি বয় ছিলেন হর্ষবর্ধন রানে; হেলমেট ডেলিভারি করেছিলেন জন আব্রাহামকে
সেটা ছিল ২০০৪ সাল। মাথা ভর্তি তেল ছিল হর্ষর। মুখে ছিল ব্রণ। একটি অপরিষ্কার বাইক চালিয়ে এসেছিলেন ডেলিভারি করতে। জনকে 'স্যার' সম্মোধন করেছিলেন।
কর্মজীবনের শুরুতে অনেকেরই অনেক অভিজ্ঞতা হয়। অনেককেই অনেক ধরনের কাজ করতে হয় জীবনের শুরুতে। একসময় বাসে কনডাক্টার ছিলেন স্বয়ং তামিল সুপারস্টার রজনীকান্ত। এত সাফল্য পাওয়ার পরও তিনি পুরনো দিনের কথা ভোলেননি। ঠিক তেমনই অভিনেতা হর্ষবর্ধন রানেকে জিনিস ডেলিভারি করতে হয়েছিল কেরিয়ারের শুরুতে। ডেলিভারি বয়ের কাজ করতেন তিনি।
সেরকমই একটি মনে রাখার মতো ঘটনা ঘটেছিল অভিনেতা হর্ষবর্ধন রানের জীবনে। তিনি হেলমেট ডেলিভারি করতে গিয়েছিলেন জন আব্রাহামের বাড়িতে। সেটা ছিল ২০০৪ সাল। মাথা ভর্তি তেল ছিল হর্ষর। মুখে ছিল ব্রণ। একটি অপরিষ্কার বাইক চালিয়ে এসেছিলেন ডেলিভারি করতে। জনকে ‘স্যার’ সম্মোধন করেছিলেন। জন তাঁকে ‘স্যার’ ডাকতেও মানা করেছিলেন। কিন্তু তিনি বারবার স্যার বলেই চলেছিলেন তাঁকে।
View this post on Instagram
কোনও কাজই ছোট নয়। তবুও অনেক ঘাত-প্রতিঘাতের পর আজ সাফল্যের মুখ দেখছেন হর্ষবর্ধন। সম্প্রতি ‘হাসিন দিলরুবা’ ছবিতে তাঁর অভিনয় প্রশংসিত হয়েছে। পরের ছবিটির নাম ‘তারা ভার্সেস বিলাল’। ছবিটির প্রযোজক সেই জন আব্রাহাম। এক সাক্ষাৎকারে হর্ষবর্ধন বলেছেন, হেলমেট ডেলিভারি করতে গিয়ে তিনি জনকে দেখে যতখানি নার্ভাস হয়েছিলেন, আজও তেমনই নার্ভাস থাকেন তাঁকে দেখলে। জন ছবির প্রযোজক বলে সেই নার্ভাস ব্যাপারটা যেন আরও বেশি অনুভব করেন হর্ষ।
জন এখন হর্ষর কাঁধে হাত রেখে খোশ গল্প করেন। বিষয়টা আজও কেমন স্বপ্নের মতো মনে হয় হর্ষর কাছে!
আরও পড়ুন: অনেকটা রণবীরের সমর্থনেই সিনেমায় ফেরার জোর পাচ্ছেন মা নীতু কাপুর