কঙ্গনা রানাওয়াত, বলিউডে একের পর এক ছবি করে সকলের নজরের কেন্দ্রে জায়গা করে নিয়েছিলেন। তবে শেষ কয়েকটি ছবি পর পর ফ্লপ তকমা পাওয়ায় রীতিমত অস্বস্তিতে ছিলেন তিনি। বারে বারে প্রতিবাদ করে জানিয়েছিলেন, তাঁকে কোণঠাঁসা করে দেওয়া হচ্ছে। তাঁর ছবিকে কেন টার্গেট করা হচ্ছে, তা নিয়ে প্রশ্ন করেছেন তিনি একাধিকবার। কঙ্গনার কথায় তিনি বহিরাগত বলেই কী এই কৌশল অবলম্বন করে তাঁকে কোণ ঠাঁসা করা হচ্ছে! অভিনেত্রীর মতে সেই কারণেই শেষ মুক্তি পাওয়া ছবি ধকড় ছবি সেভাবে বুঝতে পারেননি অনেকেই।
কঙ্গনা আরও স্পষ্ট করে জানিয়েছিলেন, তিনি যে চরিত্রের শেড দিতে চেয়েছেন এই ছবিতে তা এক কথায় পারফেক্ট, তবে ছবির গ্রহণযোগ্যতা থাকেনি মানের জন্য। কঙ্গনা স্পষ্ট করে দেন, তাঁর ছবিতে ছিল বিদেশি ছাপ। সেই কারণেই দেশের বুকে তাঁর ছবি সেভাবে জায়গা করে নিতে পারেনি। সেই কারণেই বক্স অফিসে জায়গা করতে পারেনি এই ছবি। তবে একের পর এক ছবি বক্স অফিসে ফ্লপ তকমা পেলে তাঁর চলবে কীভাবে।
জানা গিয়েছিল তাঁর আগামী ছবি এমার্জেন্সির জন্য তিনি নাকি মোটা টাকা দেনা করেছেন। বন্দক রেখেছেন নিজের বাড়িও। তবে সেই কারণেই কি তিনি অন্য ব্যবসার কথা ভাবছেন? নিজের শহরে একটি রেস্তোরাঁ খুলতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু খুলে উঠতে পারেননি। বেশ কিছু আর্থিক সমস্যার কারমেই তা সম্ভব হয়নি বলেই সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে কঙ্গনা রানাওয়াত জানান।
আপাতত তিনি এমার্জেন্সি ছবি নিয়ে ব্যস্ত। ছবির প্রথম ঝলক শেয়ার করে কঙ্গনা লিখেছিলেন, “প্রথম ঝলক। বিশ্ব ইতিহাসে অন্যতম শক্তিশালী নারী চরিত্রকে তুলে ধরছি। শুট শুরু হল”। এই ছবির পরিচালকও কঙ্গনা। এমনকি ছবিটি প্রযোজিত হচ্ছে তাঁর প্রযোজনা সংস্থা ‘মণিকর্ণিকা ফিল্মস’ থেকেই। ফার্স্ট লুকে দেখা গিয়েছে কঙ্গনার মুখে এক শক্তিশালী সংলাপও। ইন্দিরা হয়ে তিনি বলছেন, “আমেরিকার প্রেসিডেন্টকে বলে দিও আমায় এখানে সবাই স্যর ডাকে ম্যাডাম নয়”। কঙ্গনা আগেই জানিয়েছিলেন এই ছবি ইন্দিরা গান্ধীর বায়োপিক নয়। তাঁর উদ্দেশ্য এক রাজনৈতিক ছবি বানানো। তিনি বলেছিলেন, “আমার প্রজন্মকে ভারতে সামাজিক-রাজনৈতিক মানচিত্র বুঝতে সাহায্য করবে এই ছবি”।