Jehangir Ali Khan: জাহাঙ্গীরের এক বছর, মা-মাসি-পিসির শুভেচ্ছায় ছয়লাপ নেটপাড়া!
জন্মের পর থেকেই নাম বিতর্কে জড়িয়েছিল ছোট্ট জাহাঙ্গীর। ইতিহাস বলছে, নুরুউদ্দিন মহম্মদ সেলিম বা জাহাঙ্গীর ছিলেন মুঘল সাম্রাজ্যের চতুর্থ সম্রাট।
দেখতে দেখতে এক বছর পূর্ণ করল পতৌদি পরিবারের খুদে সদস্য জাহাঙ্গীর খান। মাসি করিশ্মা কাপুর থেকে শুরু করে পিসি সাবা পতৌদি… জাহাঙ্গীরের জন্মদিনে করে চলেছেন একের পর এক আদরের পোস্ট। মা করিনা বাদ যাবেন তা কী করে হয়? ছেলের জন্মদিনে মিষ্টি বার্তা তাঁর। তবে মনে মনে নিয়ে ফেললেন এক ‘শপথ’ও। বলা ভাল, নিয়ে ফেলালেন আদরের ছোট ছেলেকে দিয়ে।
বড় ছেলে তৈমুর ও ছোট ছেলে জাহাঙ্গীরের এক ছবি পোস্ট করেছেন করিনা। দেখা যাচ্ছে, তৈমুরের ঠিক পিছনে হামাগুড়ি দিয়ে হেঁটে চলেছে ছোট্ট জে (জাহাঙ্গীর)। করিনা লিখছেন, “ভাই আমার জন্য দাঁড়াও। আমার আজকে এক বছর হল। সারা বিশ্ব একসঙ্গে ঘুরে দেখব।”
এরপরেই জে’র বয়ানে করিনা লিখছেন, “যদিও আম্মা আমাদের সঙ্গে সঙ্গে যাবে সবসময়। আমাদের অনুসরণ করবে”। যতই স্টারকিড হোক না কেন, জীবনে প্রতিটা মুহূর্তে মা করিনা যে সঙ্গে থাকবেন সেই শপথই ছেলের জন্মদিনে নিলেন করিনা।
View this post on Instagram
আরও এক ছবি পোস্ট করেছেন করিনা। সেখানে দেখা যাচ্ছে, সইফের সঙ্গে ফুল নিয়ে খেলছে ছোট্ট জে। সইফ ইনস্টাগ্রামে নেই। তাই সইফের হয় করিনা লিখেছেন, “ঠিকাচ্ছে আব্বাও আমাকে অনুসরণ করবে।”
জন্মের পর থেকেই নাম বিতর্কে জড়িয়েছিল ছোট্ট জাহাঙ্গীর। ইতিহাস বলছে, নুরুউদ্দিন মহম্মদ সেলিম বা জাহাঙ্গীর ছিলেন মুঘল সাম্রাজ্যের চতুর্থ সম্রাট। তিনি ১৬০৫ সাল থেকে তার মৃত্যু অবধি ১৬২৭ সাল পর্যন্ত রাজত্ব করেন। করিনা কেন নিজের ছেলের নাম মুগল বাদশাহর নামে রাখবেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন কেউ কেউ।
এর আগে প্রথম সন্তানের নাম তৈমুর রাখা নিয়ে সমালোচিত হয়েছিল কাপুর ও খান পরিবার। অত্যাচারী শাসক তৈমুরের নামে কী করে ছেলের নামকরণ হতে পারে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। যদিও সব সমালোচনাকে দূরে সরিয়ে রেখে পজেটিভ থাকার বার্তা দিয়েছিলেন করিনা। বলেছিলেন, “আর কোনও উপায় নেই। আমায় ধ্যান করতে হবে। দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছে। একটি মুদ্রায় দুটি পিঠ। পজেটিভ-নেগেটিভ। এই দুই নিষ্পাপ শিশুকে নিয়ে কথা হচ্ছে। তবে হ্যাঁ আমি খুশি থাকব ও একই সঙ্গে পজেটিভ থাকব।”
View this post on Instagram
আরও পড়ুন- উত্তমদা যখন কোনও দুর্বল মুহূর্তে আমাকে জোর করতেন… আমি চুপ করে থাকতাম…: সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়