সিনেমায় কেরিয়ার মানেই অনিশ্চয়তা। তার উপরে আবার যদি গায়ে তথাকথিত ‘বহিরাগত’ তকমা লেগে যায়, তাহলে সেই কেরিয়ারের আলো জ্বলতে না জ্বলতেই দপ করে নিভেও যায়! ফিল্মি পরিবার ছাড়া বলিউডে কেরিয়ায় গড়ে দেখাতে পারেন, লাখে হয়তো এক-দু’জনই। সেই তালিকায় যে কয়েকটা নাম ঘোরাফেরা করবে, তাঁদের মধ্যে কৃতী শ্যানন অন্যতম। আর আজ তিনি যে জায়গায় পৌঁছেছেন, তাতে যথেষ্ট গর্বিত। কিন্তু সামনের দিকে তাকালে যেন পুরোটাই ঝাপসা লাগে ‘পরমসুন্দরী’র! কারণটা ওই, বলিউডে কেরিয়ায় মানে অনিশ্চয়তা।
এই জায়গায় যে এক দিন এসে পৌঁছবেন, তা দিবাস্বপ্নেও কল্পনা করেননি কৃতী। তার উপরে আবার পড়াশোনাতেও তিনি ছিলেন তুখর। কৃতী ছাত্রী, কৃতী শ্যাননের জিম্যাট স্কোর নিয়ে তো কোনও কথাই হবে না! পড়াশোনায় দুর্ধর্ষ রেজাল্ট থেকে ফিল্মে অভাবনীয় সাফল্য – এহেন কৃতী শ্যাননের জীবনেও মাঝে মধ্যে গ্রাস করে ভয়। সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে জীবনের এমনই নানান দিকের কথা তুলে ধরলেন অভিনেত্রী।
কৃতীর কথায়, “সামনের বেঞ্চে বসার ছাত্রী আমি। কিন্তু, হাইটের কারণে চিরকাল পিছনের বেঞ্চেই বসতে হয়েছে। মনযোগ সহকারে চিরকাল পড়াশোনা করে এসেছি। আমার মা দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিজিক্সের প্রফেসর। আর বাবা চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট। ছোটবেলা থেকেই বাড়িতে একটা পড়াশোনার পরিবেশ ছিল। সেই পরিবেশেই বড় হয়েছি।”
ফিল্মি পরিবারের মেয়ে না হওয়া সত্ত্বেও বলিউডে কেরিয়ার গড়তে কখনও ভয় হয়নি? আর পাঁচটা মধ্যবিত্ত পরিবারে যা হয়, তাঁর পরিবারেও ছিল একই অবস্থা, জানালেন অভিনেত্রী। তাঁর কথায়, “ফিল্মে কেরিয়ার তৈরির বিষয়টি কখনও নিরাপদ কেরিয়ার হিসেবে ধরা হয় না। ৯টা ৫টার চাকরি নয়। তোমার সিনেমা চললে, সংসার চলবে, কাজ পাবে। তা যদি না হয়, কাজ পাওয়া যাবে না। আর পাঁচটা মধ্যবিত্ত পরিবারের মতো আমার অভিভাবকরাও আমার কেরিয়ার নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহপ্রবণ ছিলেন। তাই তাঁরা আমাকে বলেছিলেন, প্রথমে ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রিটা নিয়ে নাও। তার জন্য আমি খুশিও। কারণ মানসিক দিক থেকে একটা স্থিতাবস্থা ছিল। কিছু পাওয়ার জন্য উদগ্রীব হয়ে উঠিনি। আমি আবেগপ্রবণ ছিলাম। যখন আপনার জীবনে পিছিয়ে পড়ার মতো কিছু থাকে না, তখন আপনি ভুল সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।”
কিন্তু কৃতী জীবনে যা করতে চেয়েছেন, তাতে কখনও বাধা দেননি তাঁর মা-বাবা। আরও যোগ করে অভিনেত্রী বললেন, “জীবনে যা করতে চাও, কর। স্বপ্নপূরণ কর। তাহলে পরে কোনও অনুশোচনা থাকবে না। তবে তার আগে তোমাকে জিম্যাট এন্ট্রান্স পরীক্ষায় সফল হতে হবে। সেই পরীক্ষার স্কোর ৫ বছরের জন্য ভ্যালিড থাকবে। তাই আপনাদের সবার কাছে চেষ্টা করার জন্য মূলত পাঁচটা বছর থাকে। আর তা যদি একান্তই কার্যকর না হয়, তাহলে আপনি ফিরে আসতে পারেন।”
আরও পড়ুন: Sara Ali Khan: শেষমেশ কি হারানো ফোন খুঁজে পেলেন সারা আলি খান?
আরও পড়ুন: Brahmastra Release: “প্রতিদিনই ভালবাসায় বড় হয়েছে ‘ব্রহ্মাস্ত্র’”, জানালেন পরিচালক অয়ন মুখোপাধ্যায়
আরও পড়ুন: Ranveer-Alia-Karan: গভীর রাত, শুটিংয়ের ফাঁকে রাস্তায় বেরিয়ে পড়লেন রণবীর সিং ও আলিয়া ভাট