Rishi Kapoor Death: ঋষির মৃত্যুবার্ষিকীতে নীরব আলিয়া-রণবীর, নিতু কাপুর লিখলেন কী?
Rishi Kapoor Death: ক্যানসারের সঙ্গে যুদ্ধে হার মেনেছিলেন ঋষি কাপুর। ঠিক তিন বছর আগে এই দিনে অর্থাৎ ৩০ এপ্রিল প্রয়াত হয়েছিলেন তিনি। সকাল থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় চলছে তাঁর প্রতি শোকজ্ঞাপন।

ক্যানসারের সঙ্গে যুদ্ধে হার মেনেছিলেন ঋষি কাপুর। ঠিক তিন বছর আগে এই দিনে অর্থাৎ ৩০ এপ্রিল প্রয়াত হয়েছিলেন তিনি। সকাল থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় চলছে তাঁর প্রতি শোকজ্ঞাপন। স্ত্রী নিতু সিংও পোস্টের মাধ্যমে স্মরণ করে নিয়েছেন তাঁকে। কিন্তু নীরব বৌমা আলিয়া ভাট। তিনি বরং নিউ ইয়র্ককে মিস করার ছবি দিয়েছেন। ওদিকে রণবীর কাপুর ইনস্টাগ্রামে নেই, তাই তাঁর দিক দিয়েও আসেনি কোনও পোস্ট। সেই নিয়েও শুরু হয়েছে কটাক্ষ। অনেকেরই প্রশ্ন, “সব কিছুর উদযাপন থাকলেও কাছের মানুষের মৃত্যুদিনে কেন নেই কোনও শোকজ্ঞাপন?” সে যাই হোক, স্বামীর মৃত্যুদিনে স্ত্রী কী লিখলেন? নিতু একটি ছবি শেয়ার করে লিখেছেন, ” প্রতি মুহূর্তে তোমায় মিস করি। সব স্মৃতিগুলি সঙ্গে আছে।”
স্বামী নেই। সেই দুঃখ বুকে নিয়েই ছেলে-বৌমাকে নিয়ে আবারও ঘুরে দাঁড়িয়েছেন নিতু সিং। বিচারক হিসেবে যোগ দিয়েছেন রিয়ালিটি শো’র মঞ্চে। বলা ভাল, জীবনের দ্বিতীয় অধ্যায় শুরু করেছেন তিনি। কিন্তু ট্রোল তাঁর সঙ্গ ছাড়েনি। বরং দ্বিগুণ হয়ে ফিরে এসেছে নিতুর কাছে। ঋষি কাপুরের অবর্তমানে কী করে ‘ভাল’ আছেন নিতু– এই প্রশ্নের সম্মুখীনই বারেবারে হতে হচ্ছে তাঁকে। এ নিয়ে মুখও খুলেছিলেন নিতু। নিতুর কথায়, “ট্রোল করছে দেখলেই আমি সোজা তাদের ব্লক করে দিই। অনেকেই বলে, ‘বর মারা গিয়েছে, আর এ এদিকে এনজয় করে বেড়াচ্ছে। আসলে ওরা দেখতে চায় বিধবা মানেই সে কাঁদছে।” তিনি যোগ করেন, “যারা এসব বলে থাকেন তাঁদের আমি একটা কথাই বলতে চাই, আমি এরকমটাই থাকতে চাই। এভাবেই শোক কাটাতে চাই। কেউ কেউ কেঁদে হাল্কা হন, আমি আনন্দে থেকে হাল্কা হওয়ার চেষ্টা করি।”
View this post on Instagram
মৃত্যুর ১৭ দিন আগে থেকে কথা বন্ধ করে দেন ঋষি। তাঁকে রাখা হয় ভেন্টিলেশনে। নিতুর কথায়,”অনেক কিছু বলতে চাইত। আমার দিকে তাকিয়ে থাকত। আমি অ্যালফাবেট যুক্ত আইপ্যাড নিয়ে গিয়েছিলাম। যদি কিছু বলে। কিন্তু হাত তোলার মতো ক্ষমতাও হারিয়ে ফেলেছিল ঋষি।” নিতু আরও জানান, সে সময় হাসপাতালে শুধু তিনি আর ছেলে রণবীর। রাতের পর রাত ঘুম নেই। স্বামীর ওই অসহায় অবস্থা দেখতে পারতেন না নিতু। কষ্ট জল হয়ে গড়িয়ে পড়ত চোখের কোণ বেয়ে।” ঋষি-পত্নীর কথায়, “কত কথা বলার ছিল, কিন্তু বলতে পারল কোথায়? ওকে এভাবে দেখতে আমি চাইনি।” বিশেষ দিনে আবারও ঋষিকে মনে পড়ছে নিতুর। শোক যে এত সহজে যাওয়ার নয়।





