Saira Banu: সায়রার অ্যাঞ্জিওগ্রাফির পরামর্শ, চার-পাঁচ দিনের মধ্যে বড় সিদ্ধান্ত পরিবারের

Saira Banu: প্রথমে জানা গিয়েছিল, দিন তিনেক আগে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয় সায়রাকে। কিন্তু তাঁর মুখপাত্র ফয়জল ফারুকি জানিয়েছেন, রক্তচাপজনিত সমস্যায় অসুস্থ হয়ে পড়েন সায়রা।

Saira Banu: সায়রার অ্যাঞ্জিওগ্রাফির পরামর্শ, চার-পাঁচ দিনের মধ্যে বড় সিদ্ধান্ত পরিবারের
সায়রা বানু।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 17, 2021 | 11:29 PM

রক্তচাপ জনিত সমস্যা এবং উদ্বেগের কারণে অসুস্থ হয়ে গত কয়েকদিন ধরে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন বর্ষীয়ান অভিনেত্রী সায়রা বানু। সূত্রের খবর, চিকিৎসক অ্যাঞ্জিওগ্রাফি করানোর পরামর্শ দিয়েছেন। আগামী চার থেকে পাঁচ দিনের মধ্যেই অ্যাঞ্জিওগ্রাফি করানো হবে কি না, সে সিদ্ধান্ত নেবেন সায়রার পরিবারের সদস্যরা।

প্রথমে জানা গিয়েছিল, দিন তিনেক আগে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয় সায়রাকে। কিন্তু তাঁর মুখপাত্র ফয়জল ফারুকি জানিয়েছেন, রক্তচাপজনিত সমস্যায় অসুস্থ হয়ে পড়েন সায়রা। ফয়জল গত বুধবার সাংবাদিকদের বলেন, “তিন দিন আগে খারের হিন্দুজা হাসপাতালে সায়রা বানুকে ভর্তি করানো হয়েছে। বুকে সংক্রমণ ছিল। আইসিইউতে রয়েছেন। আপাতত স্থিতিশীল। সব রকম পরীক্ষা করানো হয়েছে। করোনার নিয়মবিধি মেনে চলা হচ্ছে। আরও কিছু পরীক্ষা বাকি রয়েছে। ওঁকে সম্পূর্ণ বিশ্রাম নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা।”

কয়েক মাস আগে প্রয়াত হয়েছেন দিলীপ কুমার। ফয়জল জানিয়েছেন, স্বামীর মৃত্যুর পর সায়রা একেবারে ভেঙে পড়েছেন। যার প্রভাব পড়েছে তাঁর শরীরেও। ১৯৬৬ সালে মাত্র ২২ বছর বয়সে দিলীপ কুমারকে বিয়ে করেছিলেন। তাঁদের প্রেম এবং দাম্পত্যের কাহিনি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির ইতিহাসে লেখা থাকবে।

চারদিন আগে ধর্মেন্দ্রর সঙ্গে নাকি কথা হয়েছিল সায়রার। গতকাল অভিনেত্রীর অসুস্থতার খবর প্রকাশ্যে আসার পর ধর্মেন্দ্র সাংবাদিকদের বলেন, “আমার চারদিন আগে সায়রাজির সঙ্গে কথা হয়েছে। তখনই বলছিলেন, শরীর ভাল যাচ্ছে না। আমি খুব বেশি প্রশ্ন করিনি। কারণ দিলীপ কুমারের মৃত্যুর পর ওঁর মনের অবস্থা কেমন হতে পারে, তা বুঝতে পারি আমি। সব কিছু খালি লাগবে।”

‘ঈশ্বর আমার বেঁচে থাকার কারণ ছিনিয়ে নিলেন’। দিলীপ কুমার প্রয়াত হওয়ার পর প্রথম এই কথাটাই বলেছিলেন সায়রা বানু। ভারতীয় সিনেমার প্রথম স্টার দিলীপ কুমারের ব্যক্তি জীবন রঙিন ছিল। শোনা যায়, মধুবালার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল দিলীপ কুমারের। কিন্তু বিয়ে করেছিলেন নিজের অর্ধেক বয়সী সায়রা বানুকে। সায়রারও প্রেমে পড়েছিলেন তিনি। ১৯৬৬তে তাঁদের দাম্পত্যের শুরু। ৫৪ বছরের চিরনবীন সেই দাম্পত্য সম্পর্কের ইতি হয় কয়েক মাস আগে।

সায়রা ছোট থেকেই নাকি দিলীপ কুমারের ভক্ত ছিলেন। মাত্র ১২ বছর বয়স থেকেই নাকি তাঁকে বিয়ে করার স্বপ্ন দেখতেন। সেই স্বপ্ন পূরণ হয় ২২ বছর বয়সে। দিলীপের বয়স তখন ৪৪। তবে সায়রার সঙ্গে ১৬ বছরের দাম্পত্যের পর নিজে থেকেই সরে যান দিলীপ। পাক সমাজকর্মী আসমা রেহমানকে বিয়ে করেছিলেন দিলীপ। মাত্র দু’বছর স্থায়ী হয়েছিল সেই দাম্পত্য। ফের সায়রার কাছে ফিরেছিলেন অভিনেতা। আসমার সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়া তাঁর ভুল হয়েছিল, এ কথা পরে মেনে নেন দিলীপ কুমার। সায়রাও আর ওই ঘটনা মনে রাখতে চাননি। তাঁদের দাম্পত্য অনেকের কাছেই উদাহরণ।

আরও পড়ুন, দিদি ঋদ্ধিমাকে না বলে তাঁর পোশাক বান্ধবীকে দিতেন রণবীর!