Aryan Khan Drug Case: বুধবারও জামিন হল না আরিয়ানের, শুনানি চলবে আগামিকালও

Aryan Khan Drug Case: আরিয়ান সহ বাকি অভিযুক্তদের মোবাইল বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এ দিন আদালতে প্রশ্ন উঠেছে, যে কোনও বাজেয়াপ্ত জিনিসের একটা স্মারকলিপি দেওয়া হয়। এক্ষেত্রে তা দেওয়া হয়নি কেন?

Aryan Khan Drug Case: বুধবারও জামিন হল না আরিয়ানের, শুনানি চলবে আগামিকালও
আরিয়ানের খান।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 27, 2021 | 5:54 PM

মাদক কাণ্ডে আটক আরিয়ানের খানের জামিনের শুনানি আজ বুধবারও শেষ হল না। আগামিকাল ফের এই মামলার শুনানি হবে বলে জানিয়েছে মুম্বই আদালত। আরিয়ানের আইনজীবি মুকুল রোহাতোগি সওয়ালের সময় জানান, সাংবিধানিক দুর্বলতা থাকলে তা রিমান্ডের মাধ্যমে তার মীমাংসা করা যায় না। যদি আরিয়ান জামিন পেয়ে যান, তাও তো কেউ তদন্ত থামাবে না। তা হলে কাস্টডিতে রাখার কী যুক্তি, প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।

আরিয়ান সহ বাকি অভিযুক্তদের মোবাইল বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এ দিন আদালতে প্রশ্ন উঠেছে, যে কোনও বাজেয়াপ্ত জিনিসের একটা স্মারকলিপি দেওয়া হয়। এক্ষেত্রে তা দেওয়া হয়নি কেন? আইন অনুযায়ী ব্যক্তিগত সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত হলে স্মারকলিপি দেওয়া আবশ্যক। সেই নিয়ম পালন করা হয়নি। এখনও যখন কোনও ষড়যন্ত্রের প্রমাণ পাওয়া যায়নি, তা হলে আরিয়ানকে এতদিন কেন কাস্টডিতে রাখা হয়েছে, তা নিয়ে এ দিন আদালতে প্রশ্ন তোলেন শাহরুখ পুত্রের আইনজীবি।

আরিয়ান মামলায় গ্রেফতার মনীশ রাজগারিয়া ও আভিন সাহু নামক দুই ব্যক্তি মঙ্গলবার জামিন পেয়েছেন। প্রমোদতরীতে মাদক সেবন কাণ্ডে প্রথমদিনই, অর্থাৎ ৩ অক্টোবর গ্রেফতার হয়েছিলেন শাহরুখ খানের বড় ছেলে আরিয়ান খান। ওই প্রমোদতরীটি মুম্বইয়ে ফিরে আসার পরই মনীশ রাজগারিয়া ও আভিন সাহুকে গ্রেফতার করা হয়। এর মধ্যে মনীশের কাছ থেকে ২.৪ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার করা হয়েছিল। গতকাল আদালতের তরফে ৫০ হাজার টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন দেওয়া হয়।

বিগত ২০ দিন ধরে জেলবন্দিই রয়েছেন আরিয়ান খান। বর্তমানে তিনি মুম্বইয়ের আর্থার রোড জেলে রয়েছেন। শেষ খারিজ হওয়া জামিনের আবেদনের কারণ হিসাবে আদালতের তরফে বলা হয়েছিল, আরিয়ান জানত তাঁর বন্ধু আরবাজ মার্চেন্টের জুতোয় চরস লুকনো রয়েছে, যা জেনেবুঝেই মাদক রাখা হিসাবে গণ্য হয়। যদিও আরিয়ানের আইনজীবী মুকুল রোহতগি দাবি করেছিলেন, নিম্ন আদালতে আগে থেকেই এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছে যাওয়া হয়েছে। আরবাজ মার্চেন্ট আরিয়ান খানের কর্মচারী নন যে তাঁর উপর আরিয়ানের কোনও নিয়ন্ত্রণ থাকবে এবং আরবাজের জুতোয় মাদক রাখার বিষয়েও আরিয়ানের কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই। আইনজীবী মুকুল রোহতগি আদালতে জানিয়েছেন, আরিয়ানের কাছ থেকে কোনও মাদক উদ্ধার হয়নি বা সে দিন মাদক সেবনেরও কোনও প্রমাণ মেলেনি। সেই কারণেই তাঁকে গ্রেফতার করার কোনও অর্থ হয় না। পুরনো হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের ভিত্তিতে মামলা তৈরি করা হচ্ছে, যা প্রমোদতরীতে মাদক উদ্ধারের সঙ্গে কোনওভাবেই সম্পর্কিত নয়।

এদিকে, এনসিবি গতকালই আদালতে হলফনামা জমা দিয়ে জানিয়েছে যে, তদন্ত চলাকালীন বারবার অফিসারদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছেন আরিয়ান। তারকা পুত্রের বক্তব্যে অসঙ্গতি লক্ষ্য করা গিয়েছে। তদন্ত চলাকালীন সহযোগিতাও করছেন না আরিয়ান। সুতরাং, তাঁকে জামিন দিলে তথ্য প্রমাণ লোপাটের সমূহ সম্ভাবনা দেখতে পাচ্ছেন এনসিবির অফিসাররা।

আরও পড়ুন, Aparajita Ghosh: এক প্রিন্সিপালের গল্প বলবেন অপরাজিতা, সৌজন্যে ‘ড্যাডিস্ লিটল গার্ল’

আরও পড়ুন, Bunty Aur Babli 2: ‘বান্টি অউর বাবলি ২’র নবাগতা শারভরি ওয়াগের আসল পরিচয় জানেন?