রবিবার, ৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২২। সুরের দুনিয়াকে মাতৃহারা করে স্বর্গলোকের উদ্দেশে রওনা দিলেন লতা মঙ্গেশকর। চলে গেলেন সুর সম্রাজ্ঞী। সেদিনই ইনস্টাগ্রামে একটি ছবি শেয়ার করেন বোন আশা ভোঁসলে। সেই কোন মেয়েবেলার ছবি। ছোট্ট দুই শিশু। মিষ্টি হাসি, মিষ্টি মুখে… সারল্যে ভরপুর। লতা ও আশা। চোখ জুড়নো ছবিটি আগে কোনওদিনও দেখিনি আমরা। সাদা-কালো ছবিতে একটি টুলের উপরে বসে আশা। তাঁর পরনে ফ্রক। একটু নীচেই টুলে হাতে ভর দিয়ে ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে স্মাইল করছেন লতা। তাঁর সাইড পার্টিং চুলে ক্লিপ। বোন আশার মতো তিনিও পরেছেন ফ্রক। ছবিটি শেয়ার করে আশা লিখেছেন, “ছোটবেলার দিন দারুণ ছিল। দিদি ও আমি।” সেই সঙ্গে আশা শেয়ার করেছেন একটি হার্ট ইমোজি। ছবির নীচে কমেন্ট বক্সে এ আর রহমান লিখেছেন, “মিষ্টি!” হৃত্বিক রোশন ও শ্রুতি হাসান হৃদয় পোস্ট করেছেন।
৮ জানুয়ারি করোনা ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মুম্বইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন লতা মঙ্গেশকর। শুরু থেকেই তাঁকে রাখা হয়েছিল আইসিইউতে। চিকিৎসকরা বলেছিলেন, ১০-১২দিন সেখানেই রাখা হবে। করোনা আক্রান্তের খবর পেয়ে লতাকে সঙ্গে সঙ্গে ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। কোনও ঝুঁকিই নিতে চায়নি পরিবার। তাই শুরু থেকেই হাসপাতালে ভর্তি করেছিলেন লতাকে।
১০-১২ দিন কেটে যাওয়ার পরও লতাকে আইসিইউতেই রাখা হয়। ভেন্টিলেশন, অক্সিজেন সবই দেওয়া হয়। মাঝে শারীরিক অবস্থা ভাল দেখে তাঁর ভেন্টিলেশন সাপোর্ট খুলে নেওয়া হয়েছিল। স্বস্তিতে গোটা দেশ। তা হলে হয়তো কয়েকদিনের মধ্যেই ছাড়া হবে তাঁকে। তারপর সরস্বতী পুজোর দিন শ্বাসকষ্ট হওয়ার কারণে তাঁকে ফের ভেন্টিলেশন সাপোর্ট দেওয়া হয়। ফের উদ্বেগ শুরু। আর ফেরেননি লতা। ২০১৯ সালে যেভাবে ফাইট করে ফিরেছিলেন। সেই লড়াই নিজেই থামিয়ে দিলেন ২০২২-এ। করোনা কেড়ে নিল ভারতের রত্নকে।
আরও পড়ুন: Lata Mangeshkar-Rahul Vaidya: ঈশ্বর স্বয়ং তাঁর সঙ্গীত শুনতে চান, তাই ডেকে নিয়েছেন: রাহুল বৈদ্য
আরও পড়ুন: Dia Mirza Motherhood: ‘এটাই সব’, ছেলে কোলে বাগানে হাঁটতে হাঁটতে বলেছেন দিয়া