AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলেন স্ত্রী চৈতালি, স্বস্তিতে রূপঙ্কর

স্ত্রীর সঙ্গে রূপঙ্করের ইকুয়েশন বেশ চর্চিত। একসঙ্গে অনুষ্ঠান থেকে সাংসারিক খুঁটিনাটি, ইন্ডাস্ট্রির খবর, দুজনের বণ্ডিং বেশ গভীর। এ হেন রূপঙ্কর মাস দুয়েক আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় আবারও বিয়ের ইচ্ছে প্রকাশ করেছিলেন।

হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলেন স্ত্রী চৈতালি, স্বস্তিতে রূপঙ্কর
স্ত্রীর সঙ্গে রূপঙ্কর
| Edited By: | Updated on: Aug 24, 2021 | 9:56 PM
Share

অবশেষে স্বস্তি। হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলেন গায়ক রূপঙ্কর বাগচীর স্ত্রী চৈতালি লাহিড়ি। এ দিন সোশ্যাল মিডিয়ায় চৈতালির একটি ছবি পোস্ট করে এ কথা জানিয়েছেন খোদ গায়কই। চৈতালির উদ্দেশ্যে লিখেছেন, “বাড়িতে স্বাগত কমরেড”।

গত ২১ অগস্ট চৈতালির হারনিয়া অস্ত্রোপচার হয়। অস্ত্রোপচার যে সফল হয়েছে সে কথা আগেই জানিয়েছিলেন রূপঙ্কর। লিখেছিলেন, “এখন ও একদম ঠিক আছে। যদিও চৈতালির ফোনে সব ফোন ধরা আমার পক্ষে এই মুহূর্তে সম্ভব হয়নি। সেই কারণেই এই পোস্ট করলাম। সমস্ত শুভাকাঙ্ক্ষীদের অনেক অনেক ধন্যবাদ।” অবশেষে স্ত্রীর বাড়ি ফেরায় খুশি অভিনেতা। চৈতালিকে বাড়ি ফেরার শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ইন্ডাস্ট্রির সহকর্মীরাও। এঁদের মধ্যে রয়েছেন সুজয় প্রসাদ চট্টোপাধ্যায় থেকে শুরু করে জোজো মুখোপাধ্যায়সহ অনেকেই।

স্ত্রীর সঙ্গে রূপঙ্করের ইকুয়েশন বেশ চর্চিত। একসঙ্গে অনুষ্ঠান থেকে সাংসারিক খুঁটিনাটি, ইন্ডাস্ট্রির খবর, দুজনের বণ্ডিং বেশ গভীর। এ হেন রূপঙ্কর মাস দুয়েক আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় আবারও বিয়ের ইচ্ছে প্রকাশ করেছিলেন। তবে অন্য কাউকে নয়, স্ত্রীকেই…আবারও…আরও একবার। তাঁদের বিবাহবার্ষিকী ছিল। আর বিয়ের জন্মদিনে মিষ্টি ছবি শেয়ার করে গায়ক লিখেছিলেন, “ডার্লিং আমি কি আবারও তোমাকে বিয়ে করতে পারি?” ১৯৯৯ সালে চৈতালির সঙ্গে বিয়ে হয় তাঁর। সেই বন্ধন আজও অটুট। ১৫ তম বিবাহবার্ষিকীতে দুজনেই দেহদান করেছিলেন।

সম্প্রতি নিজের জীবনের এক বিশেষ ঘটনা নিয়ে মুখ খুলেছিলেন রূপঙ্কর। জানিয়েছিলেন ইণ্ডাস্ট্রির সিনিয়র এক প্রবীণা এই দুঃসময়ে কতটা আন্তরিকতায় তাঁর পরিবারের কুশল জানতে চেয়েছিলেন। সেই প্রবীণা হলেন গীতশ্রী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়। আপ্লুত রূপঙ্কর TV9 বাংলাকে বলেছিলেন, “সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে প্রবল যোগাযোগ রয়েছে, তেমন তো নয়। মাঝেমধ্যে যোগাযোগ হয়। খুব কম অনুষ্ঠানে দেখা হয়েছে। উনি স্নেহ করেন আমাকে। ফোনে জানতে চান কেমন আছি, কী করছি। আমার স্ত্রী, মেয়ের কথা জানতে চান। আমি অভিভূত হয়ে গিয়েছে। ওঁর কাছে তো আমরা সন্তানের মতো। ওঁর জুনিয়র। আমরা কতবার ওঁর খোঁজ নিতে পারি? উনি ঠিক নিজের সময় বের করে খবর নিচ্ছেন। যখন কথা বলছেন, তখন মনে হচ্ছে, নিকট আত্মীয়। মায়ের মতো, খবর নিচ্ছেন। কেমন আছ, খাওয়া দাওয়া করছ কি না। আর কোনও সিনিয়রের কাছ থেকে কখনও এই ব্যবহার পাইনি। আমরা সিনিয়র হওয়ার পর জুনিয়রদের খবর নেব কি না, জানি না। অথবা এখনই কি জুনিয়রদের বা পাশের সহকর্মীর খবর নিই?”

ফেসবুকেও লিখেছিলেন, ‘মাস তিনেক আগে একদিন সকালে একটা ফোন এলো,আমি তখন বাজারে পটলের দরে ব্যস্ত। এক প্রবীণা উৎকণ্ঠিত হয়ে আমার এবং আমার পরিবারের আর সকলের কুশল জানতে চাইলেন। আমি মাস্ক, স্যানিটাইজার ব্যবহার করছি কি না, অপ্রয়োজনে বেরোচ্ছি কি না ইত্যাদি। আজ সকালে আমি অনলাইন ক্লাস করাচ্ছিলাম, আবার সেই প্রবীণার ফোন। আবার আমার বিষয়ে জানলেন, আমার স্ত্রী ও কন্যা কেমন আছেন জানতে চাইলেন। বার বার সতর্ক করলেন যেন আমি বাড়ি থেকে না বের হই। বেরোলে যেন অন্যদের থেকে ছ’ফিট দুরত্ব বজায় রাখি। আমি ওঁর কুশল জানতে চাইলে উনি বললেন, ‘আমার কথা ছাড়। তোমাদের অনেক কিছু দেওয়ার আছে বাংলা সঙ্গীত জগৎকে। সাবধানে থেকো। দুটি ঘটনাতেই আমি হতচকিত হয়ে আমি কয়েক মুহুর্ত স্থানুবৎ হয়ে গেলাম। প্রবীণা আর কেউ নন। গীতশ্রী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়। আপনাকে আমার প্রণাম জানাই।” রূপঙ্করের ওই পোস্ট বেশ ভাইরাল হয়েছিল। ইন্ডাস্ট্রির এই প্রবীণ-নবীন বন্ধনে মুগ্ধ হয়েছিলেন নেটিজেনরা।