Mekhla Dasgupta: বিয়ে করছেন মেখলা দাশগুপ্ত, পাত্র কে জানেন?
Mekhla Dasgupta: কলকাতায় বিয়ের পর ছোট করে রিসেপশন হবে। তারপর শিলিগুড়িতে বড় রিসেপশনের আয়োজন করেছেন মেখলা এবং অর্কপ্রভ। তিনদিনই মেখলা লেহেঙ্গা পরবেন বলে জানালেন।
মেখলা দাশগুপ্ত। তাঁর গান আপনি শুনেছেন। রিয়ালিটি শোয়ের মঞ্চে হোক, অথবা অ্যালবামে মেখলার গান মুগ্ধ করেছে শ্রোতাদের। গান তাঁর প্রাণ। গান নিয়ে নিত্যনতুন কাজ চলতেই থাকে। এ হেন মেখলা এ বার জীবনের নতুন ইনিংস শুরু করতে চলেছেন। বিয়ে করছেন তিনি। আগামী ১ ডিসেম্বর কলকাতায় মেখলার বিয়ের অনুষ্ঠান। পাত্র কে জানেন?
TV9 বাংলাকে মেখলা পাত্রের বিষয়ে বললেন, “অর্কপ্রভ চৌধুরি। আইআইএম লখনউ থেকে পড়েছে। কর্পোরেটে আছে। ওর হোমটাউন শিলিগুড়ি। বাড়িতে বাবা, মা, দিদি আছে। দিদি বিয়ের পর দেশের বাইরে থাকে। আমাদের আট বছরের সম্পর্ক।”
অর্কপ্রভর সঙ্গে কী ভাবে পরিচয় হল মেখলার? গায়িকা বললেন, “অর্ক আমার এক বন্ধুর বয়ফ্রেন্ডের বন্ধু। আমার সেই বন্ধু বলেছিল, তোর জন্য একটা ভাল ছেলে আছে। বলে জোর করে ঠেলে দিয়েছিল। আমার দুটো ডিমান্ড ছিল। এক শিক্ষিত হতে হবে। আর দুই, আমাকে নিয়ে পজেসিভ হতে হবে। অর্ক ফেসবুকে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠিয়েছিল। কথা বলতে বলতে ভাল লেগে গেল। প্রথম থেকে সিরিয়াসলি নিইনি বিষয়টা। জোর করে প্রেমে পড়ানো একরকম। হা হা হা…।”
অর্কপ্রভ এবং মেখলা। ছবি: সৌজন্যে মেখলা দাশগুপ্ত।
কলকাতায় বিয়ের পর ছোট করে রিসেপশন হবে। তারপর শিলিগুড়িতে বড় রিসেপশনের আয়োজন করেছেন মেখলা এবং অর্কপ্রভ। তিনদিনই মেখলা লেহেঙ্গা পরবেন বলে জানালেন। বিয়েতে মেরুন রঙা লেহেঙ্গা। দুই রিসেপশনের জন্য ব্লুইশ গ্রে এবং অফ হোয়াইট লেহেঙ্গা কিনেছেন তিনি। ট্র্যাডিশনাল গয়নায় সাজেও সাবেকিয়ানা থাকবে বলে জানালেন। বিয়ের নিমন্ত্রণ পত্রে অভিনবত্ব রয়েছে। মেখলা শেয়ার করলেন, “উদয় দেব তৈরি করেছেন আমার বিয়ে কার্ড। ইনোভেটিভ ওয়েতে তৈরি করা হয়েছেয। আইডিয়া সবই উদয়দার। গিফট অ্যালাউড নয়। তাই শুভেচ্ছা বার্তার কার্ড রয়েছে। যা অতিথিরা বিয়ের দিন আমাদের দিতে পারবেন।”
সদ্য পুজোর সময় মুক্তি পেয়েছিল মেখলার পুজোর গান। ‘দুগ্গা মা’। সোমরাজ দাসের লেখায় মিউজিক করেছিলেন শুভঙ্কর চট্টোপাধ্যায়। এই গানের প্রসঙ্গে মেখলা বলেছিলেন, “এই বছর দুর্গাপুজোয় গান রিলিজের কোনও পরিকল্পনা ছিল না। অন্য কোনও গান হয়তো রিলিজ করতাম। কিন্তু দুর্গাপুজো উপলক্ষে যে গান হয়, তেমন পরিকল্পনা ছিল না। তবে ইচ্ছে তো ছিলই। কারণ প্রত্যেক বছরই কোনও না কোনও পুজোর গান রিলিজ করি। কথা বলে না, কোনও জিনিস খুব ইচ্ছে থাকলে সেটা হয়ে যায়। সিদ্ধেশ্বরদা শেষ মুহূর্তে এই গানটা গাওয়ানোর জন্য আমার সঙ্গে যোগাযোগ করে। সব কিছু খুব অল্প সময়ের মধ্যে হয়। ইচ্ছে ছিল বলেই হয়তো এ বছরও আমার চ্যানেল থেকে একটা মায়ের গান রিলিজ করতে পারলাম।”
ইচ্ছেশক্তির জোরের কথা মন থেকে বিশ্বাস করেন মেখলা। সেই ইচ্ছেশক্তির জোরেই বন্ধুত্ব এ বার পরিণয়ে বদলে যেতে চলেছে। নতুন পথ চলা শুরু করবেন তিনি। এ পথেও গান কিন্তু তাঁর হাত ধরেই থাকবে।
আরও পড়ুন, Nusrat Jahan and Yash Dasgupta: একসঙ্গে কলকাতা ছাড়লেন যশ-নুসরত, কোথায় গেলেন যুগলে?