গোপনও কথাটি রইল না গোপনে! কার গোপন কথা, কে ফাঁস করলেন? অভিনেত্রী বিদ্যা বালনের (Vidya Balan) কিশোরী জীবনের গোপন কথা ফাঁস হয়ে গেল। আর তা করলেন স্বয়ং বিদ্যাই। সে আবার কী কথা! আসলে তিনি এখন তাঁর নতুন ডিজিটাল ছবি ‘জলসা’-র সাফল্য উপভোগ করছেন। তারই জন্য দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি মনের ভিতরে লুকিয়ে থাকা এক গোপন কথা এতদিনে সামনে আনলেন। তিনি তখন কিশোরী। তাঁর প্রিয় পরিচালক সত্যজিৎ রায় (Satyajit Ray)। পরিচালকের তৈরি সিনেমা ‘মহানগর’, বিদ্যাকে ভিতর থেকে কতটা প্রভাবিত করেছিল, তা তিনি ভাষায় প্রকাশ করতে পারবেন না। তাঁর আক্ষেপ, “ইস সত্যজিৎ রায় যদি আর কিছু দিন বেঁচে থাকতেন, তাঁর সব ছবিতে অভিনয় করতে পারতাম”!
তিনি আরও জানান, তাঁর প্রিয়তম পরিচালককে একবার চিঠিও লিখেছিলেন তিনি। কিন্তু সেই চিঠি তাঁকে পাঠানো হয়নি। তারপর একদিন জানতে পারেন প্রয়াত হয়েছেন সত্যজিৎ রায়। খুব কষ্ট পেয়েছিলেন তিনি। আজ যখন তিনি প্রতিষ্ঠিত অভিনেত্রী, তখন যেন সেই কষ্টটা আরও বেড়ে গিয়েছে। কারণ প্রিয় পরিচালকের ছবিতে অভিনয় না করতে পারার যন্ত্রণা থেকেই যাবে।
তিনি ছোট থেকেই বাংলা সিনেমা দেখে বড় হয়েছেন। সত্যজিৎ রায়ের ‘চারুলতা’ ছবির নায়িকা মাধবী মুখোপাধ্যায়ের অল্প বয়সের মুখের সঙ্গে অনেকই তাঁর মুখের মিল খুঁজে পান। আর এটা যখন কেউ বলেন, তিনি খুবই খুশি হন। এমনকী তিনি একটি মিউজিক ভিডিয়োতে তাঁর অল্প বয়সের ভূমিকায় অভিনয়ও করেন। বলিউডে যাত্রা শুরু করার আগে তিনি বাংলা ছবি করেন। গৌতম হালদারের ‘ভালো থেকো’, যেখানে তাঁর সঙ্গে ছিলেন পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়। ‘কাহানি’ ছবিতে আবার তিনি পরমব্রতের সঙ্গে কাজ করেন। এই ছবির পটভূমিও ছিল বাংলা। শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ‘পরিণীতা’ নিয়ে ছবির করেন পরিচালক প্রদীপ সরকার। সেই ছবি দিয়েই তাঁর বলিউডে পথ চলা।
কিন্তু বাংলার সঙ্গে এত যোগাযোগও সত্যজিৎ রায়ের সঙ্গে কাজ না করার দুঃখ ভোলাতে পারবে না। তিনি পছন্দের পরিমান বোঝা যায় এই তথ্য থেকেও। আজও বিদ্যার ঘরে সত্যজিত রায়ের সমস্ত ছবির চরিত্রদের নিয়ে একটি ছবি আঁকা রয়েছে। ছবির পোস্টারে ভর্তি হয়ে রয়েছে দেওয়াল।
আরও পড়ুন-Kamaleshwar Mukhopadhyay: ক্ষুদিত শিল্পীর শৈল্পিক গল্প শোনাতে আসছেন কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়
আরও পড়ুন-Malaika Arora: গাড়ি দুর্ঘটনার পর প্রথম পোস্টে কী লিখলেন মালাইকা?
আরও পড়ুন-Vidya Balan: ডিজিটাল মাধ্যমে হ্যাটট্রিক করতে চলেছেন বিদ্যা বালন!