রকি ভাই আর সিনেমার পর্দায় আটকে নেই। সে এবার ঢুকে পড়েছে অনুরাগীদের দৈনন্দিন জীবনে। কথায় বলে সমাজের আশপাশ থেকেই সিনেমার গল্প উঠে আসে। আবার সিনেমাও যে বাস্তব জীবনে অনেক সময় বড় ভূমিকা নিতে পারে তার প্রমাণ মিলল যশ (Yash) অভিনীত ‘কেজিএফ-চ্যাপ্টার ২’ (KGF Chapter 2) ছবি থেকে। এই ছবি এখন আর শুধু সিনেমা নয়, একটা ব্র্যান্ডও। ১৪ এপিল বিশ্বব্যাপী মুক্তি পায় প্রশান্ত নীল পরিচালিত ছবি। মুক্তির আগে থেকেই ছবি নিয়ে ছিল উত্তেজনা। তা তথ্য দেখলেই বোঝা যাবে। দক্ষিণের ছবি গুজরাটের সুরাটে রাজত্ব করছে। যেখানে হিন্দি সিনেমা ৮টা- সাড়ে ৮টার আগে শো হয় না, সেখানে দর্শকদের চাহিদা মেটাতে ভোর ৬টায় শো দিতে হয়েছে সিনেমা হল মালিকদের।
কীভাবে ‘কেজিএফ’ সাধারণ মানুষের অন্দরে প্রবেশ করল? ছবির মুখ্য চরিত্র রকি ভাইয়ের একটি জনপ্রিয় সংলাপ এখন সিনেমা হল থেকে বেরিয়ে বিয়ের কার্ডে পৌঁছে গিয়েছে। বুঝতে পারছেন না তো? এর জন্য একটু ফ্ল্যাশব্যাকে যেতে হবে সিনেমার মতো।
পুরো বিষয়টা জানার আগে অন্য তথ্য জানতে হবে। যাঁরা ইতিমধ্যে সিনেমা দেখেছেন, বা সিনেমার ট্রেলার দেখেছেন, তাঁদের রকি ভাইয়ের বিখ্যাত সংলাপ সম্পর্কে ধারণা রয়েছে। যাঁরা কোনওটাই দেখেননি, তাঁদের জন্য রইল সংলাপ সেই সংলাপ যা পৌঁছে গিয়েছে বিয়ের নিমন্ত্রণ পত্রে- “ভায়োলেন্স, ভায়োলেন্স, ভায়োলেন্স… আই ডোন্ট লাইক ইট. আই অ্যাভোয়েড! বাট… ভায়োলেন্স লাইকস মি, আই কান্ট অ্যাভোয়েড!” যার বাংলা করলে দাঁড়ায় “হিংস্রতা, হিংস্রতা, হিংস্রতা… আমি একদম পছন্দ করি না। আমি এর থেকে দূরে থাকতে চাই! কিন্তু… হিংস্রতা আমায় পছন্দ করে, আমি কিছুতেই এর থেকে দূরে থাকতে পারি না!”
সিনেমার এই সংলাপ কর্ণাটকের বেলেগাভির চন্দ্রশেখরের জীবনকে এতটাই প্রভাবিত করেছে যে তিনি নিজের বিয়ের নিমন্ত্রণ পত্রে ছবির সংলাপকে তুলে ধরেছেন। ১৩ মে চন্দ্রশেখর এবং শ্বেতার বিয়ে। রকি ভাই অনুরাগী চন্দ্রশেখর তাঁর বিয়ের নিমন্ত্রণ পত্রে লিখেছেন, “ম্যারেজ, ম্যারেজ, ম্যারেজ…আই ডোন্ট লাইক ইট. আই অ্যাভোয়েড! বাট মাই রিলেটিভস লাইক ম্যারেজ, আই কান্ট অ্যাভোয়েড”। (বিয়ে, বিয়ে, বিয়ে…আমি একদম পছন্দ করি না। আমি এর থেকে দূরে থাকতে চাই! কিন্তু আমার আত্মীয়সজন বিয়ে পছন্দ করেন,আমি কিছুতেই এর থেকে দূরে থাকতে পারছি না)
এই ছবি সোশ্যাল মিডিয়াতে আসতেই মুহূর্তে ভাইরাল হয়েছে। সকলেই বলতে শুরু করেছেন রকি ভাই শুধু বক্স অফিসে নয়, এবার সাধারণ মানুষের অন্দরেও জায়গা করে নিল। সিনেমার সংলাপ নিয়ে পাগলামো অনেক সময়ই হয়। কিছু দিন আগে ‘পুষ্পা’ ছবির সংলাপ পশ্চিমবঙ্গের এক দশম শ্রেণির ছাত্র তার বোর্ডের পরীক্ষায় লিখে আসে, ‘পুষ্পা রাজ… আপুন লিখেগা নেহি’। (পুষ্পা রাজ, আমি লিখব না)
শুধু হিন্দি নয়, বাংলা ছবির সংলাপ নিয়েও পাগলামে রয়েছে। ‘এমএলএ ফাটাকেষ্ট’ ছবির জন্য এন কে সলিলের লেখা সংলাপ ‘মারব এখানে লাশ পরবে শশ্মানে’ আজও দর্শকের মুখে মুখে ঘোরে। এমনকি বাংলা মেগা ধারাবাহিকেও নায়িকার মুখে এই সংলাপ আজও বলতে শোনা যায়।
আরও পড়ুন- Ranveer Singh-Deepika Padukone: ছেলে না মেয়ে কী চান স্ত্রী দীপিকার থেকে, কী বললেন রণবীর?
আরও পড়ুন- Kajal Aggarwal: মা হলেন কাজল আগরওয়াল, সেই খবর তিনি ভাগ করে নিলেন অনুরাগীদের সঙ্গে