প্রচণ্ড মার খেতে হয় নায়িকাকে, এ সব কী চলে ‘ফুলকি’র সেটে, বিস্ফোরক অভিনেত্রী…
Devyani Mondol: বাবা ক্যারাটের প্রশিক্ষক। মেয়ে যে ব্ল্যাকবেল্টার হবেন, সে বিষয় আর নতুন কি? সেই ব্ল্যাকবেল্টার মেয়ে এখন বাংলা সিরিয়ালের অন্যতম প্রিয় অভিনেত্রী। 'ফুলকি' ধারাবাহিকে অভিনয় করছেন নায়িকার চরিত্রে। সেই নায়িকা আবার বক্সার। বক্সিংই তার প্যাশন। বক্সিং মানেই মারামারি। ব্ল্যাকবেল্টার ফুলকির সেই ফাইট সিকোয়েন্স করতে কতখানি বেগ পেতে হয়?
তিনি ব্ল্যাকবেলটার। কেবল ব্ল্যাকবেল্টার নন, তিনি একজন বিখ্যাত ব্ল্যাক বেল্টায়ের কন্যাও। ক্যারাটে শিক্ষাগুরু দেবাশিস মণ্ডলের কন্যা দিব্যানী মণ্ডল সম্প্রতি অভিনয় করছেন ‘ফুলকি’ ধারাবাহিকে। যে ‘ফুলকি’ টিআরপির তালিকায় ভাল নম্বর পায় থাকে। ধারাবাহিক দিব্যানীকে এক বক্সারের চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা যাচ্ছে। যে বক্সিং করে কুপোকাত করে দিতে পারে দুষ্টু লোককে।
ডামি ছাড়া মারামারির দৃশ্যে অভিনয় করেন দিব্যানী। মারামারির দৃশ্যে অপরদিকের অভিনেতাদের নিজেই ঘায়েল করতে পারেন। কেবল তাই নয়, তিনি মারও খান। বক্সিং করার সময় যেহেতু মুখে ঘুষি মারতে হয়, তাই বাস্তব জীবনের কিছু প্রশিক্ষিত বক্সারের থেকে ঘুষি খেয়েছেন দিব্য়ানী। বিষয়টি হাসতে-হাসতে জানিয়েছেন TV9 বাংলাকে। এই ধরনের স্টান্ট করতে দেখা যায় মূলত পুরুষদের। কিন্তু ধারাবাহিক তো নারীকেন্দ্রিক। ফলে এখানে হিরো নায়িকাই।
সম্প্রতি ‘ফুলকি’র সেটে হাজির হয় TV9 বাংলা। ফুরফুরে অভিনেত্রী তখন সবে সেটে যাবেন বলে প্রস্তুতি পর্ব সামলাচ্ছেন। লাঞ্চ ব্রেকে যাওয়ার আগে একটা মাস্টার শট দিতেই হবে। সেই নিয়ে তুমুল ব্যস্ততা। তবে কৃষ্ণভক্ত দিব্যানী কিন্তু একেবারেই নার্ভাস নন। সহজাত সারল্য এবং বিন্দাস মনোভাব নিয়ে বেরিয়ে এলেন ফ্লোর থেকে। তাঁর চরিত্র বক্সার ‘ফুলকি’র ফাইট সিন নিয়ে চলল আলোচনা পর্ব।
TV9 বাংলাকে পর্দার ‘ফুলকি’ জানালেন সত্য। জানান, তিনি ডামি ছাড়াই করেন অভিনয়। এবং তাতে ইন্ধন থাকে তাঁর সহ-অভিনেতাদের। তাঁরাই ইস্কে দিয়ে বলেন, “তুই ডামিদের চেয়েও ভাল মারামারি করবি।” শেষ যে ফাইট মিস করেছেন দিব্যানী, তাতে যা হল। অভিনেত্রী বললেন, “সারাদিন আমাকে ৫টা ফাইট করতে হয়েছে বক্সিংয়ে। একটা ফাইটই দেড় ঘণ্টা ধরে চলে। অপরদিকে যাঁরা আমার সঙ্গে সিনগুলো করছিলেন. তাঁরা সকলে পেশাদার বক্সার। অভিনয়ে কতখানি সংযত হয়ে মারামারি করতে হয়, তাঁরা সেটা জানেন না। তাই আমাকে মুখে মার খেতে হয়েছে খুব। আমিও মেরেছি। প্রত্যেকজন পেশাদার বক্সার আমার হাতে মার খেয়েছে কোনও না কোনও শুটে।”