ছেলেকে নিয়ে হাউ-হাউ করে কান্না, অবশেষে কোন চরম সিদ্ধান্ত নেন পুষ্পিতা?
Tollywood Inside: তারপর সেই ছেলেকে নিয়েই বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন পুষ্পিতা। না, আর নিজের কাছে রাখা নয়, ছেলেকে সোজা পাঠিয়ে দিলেন দিল্লিতে। সেখানেই হস্টেলে থেকে পড়াশোনা করবে সে।

দীর্ঘ ৩০ বছরের কেরিয়ার তাঁর। অভিনেত্রী পুষ্পিতা মুখোপাধ্যায়কে কে না চেনেন? সেই পুষ্পিতা মুখোপাধ্যায়ই বিগত বেশ কয়েক বছর ধরে ছেলেকে নিয়ে ছিলেন জেরবার। কারণ একটাই ফোনের গেমে অতিরিক্ত আসক্ত তাঁর ছেলে। কিছুতেই বাগে আনতে পারছিলেন না তাকে। ‘দিদি নম্বর ওয়ান’-এর মঞ্চে এসে কেঁদে ফেলেছিলেন তিনি। তারপর সেই ছেলেকে নিয়েই বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন পুষ্পিতা। না, আর নিজের কাছে রাখা নয়, ছেলেকে সোজা পাঠিয়ে দিলেন দিল্লিতে। সেখানেই হস্টেলে থেকে পড়াশোনা করবে সে।
টিভিনাইন বাংলাকে পুষ্পিতা বলেছিলেন, “যা হয় ভালর জন্যই হয়, প্রচুর সংগ্রাম করেছি। আর পারছিলাম না আমি। বাধ্য হয়েই দিল্লিতে পাঠালাম। যদি হস্টেলে থেকে কিছুটা উন্নতি হয়।” দিল্লিতে অভিনেত্রীর স্বামী থাকেন। ছেলেকে ছেড়ে আগে কোনওদিন এতটা সময় থাকা হয়নি। মন কি খারাপ তাঁর? পুষ্পিতার বলেছিলেন, “প্রচুর সাফার করেছি। আর পারছিলাম না আমি। ওখানে ওর ভাল হবে। আগের থেকে ব্যাপারটা কিছুটা নিয়ন্ত্রণে। এইবারেই গেল। দেখা যাক কী হয়! ওর অমতে কিন্তু কিছু করিনি। ওর কাছ থেকে হ্যাঁ শুনেই যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার নিয়েছি।”
এর আগে দিদি নম্বর ওয়ানে এসে পুষ্পিতা বলেন, “সব ট্রাই করেছি আমরা। পড়াশোনায় জিরো। কিচ্ছু করতে পারছি না। কিছুতেই পারছি না। এত ফোনের নেশা ওর।” অসহায় মা আরও বলেন, “হাতে যদি একটু পাওয়ার থাকত তবে অনেক বাচ্চার জীবন সুন্দর হয়ে যেত। ওরা তো বুঝে নিজের ক্ষতিটা করছে না। ওরা নতুন জিনিস পেয়ে ভেসে গেল। আমি কিন্তু সবটা পুরো সময়টা ছেলেকে দিয়েছি। কিচ্ছু লাভ হয়নি।” অবশেষে সেখান থেকে নিস্তার মিলবে, এমনটাই আশা রেখেছিলেন পুষ্পিতার।





