রোজ মার খেতেন প্রথম স্বামীর হাতে, শেফালি ভুগেছেন অবসাদে! কতটা সুখী ছিলেন দ্বিতীয় বিয়েতে?
২০০৪ সালে পঞ্জাবি গায়ক হরমিত সিংকে বিয়ে করেন শেফালি। কিন্তু বিয়ের একমাস না কাটতেই শেফালির উপর দৈহিক ও মানসিক অত্যাচার শুরু করেন হরমিত।

কাঁটা লাগা গার্ল শেফালি জরিওয়ালার মৃত্যুটা মেনে নিতে পারছেন না তাঁর অনুরাগীরা। কেউ ভাবতেই পারছেন না, সদা চঞ্চল মেয়েটি এত অল্প বয়সে মৃত্যুর কোলে ঢলে যেতে পারেন। তবুও নিয়তির লেখনিকে কে বদলাতে পারে। ঠিক তেমনি শেফালির কপালেও খুব একটা সুখ লেখেনি ঈশ্বর। যদিও রাতারাতি স্পটলাইটে এসে, ন্যাশনাল ক্রাশ হয়ে উঠেছিলেন কাঁটা লাগা শেফালি, তবুও ব্যক্তিগত জীবনটা মোটেই সুখের ছিল না। মাত্র ২০ বছর বয়সে বিয়ে করেই, অবসাদের অন্ধকারে ডুবে গিয়েছিলেন শেফালি। প্রতিদিন দিন কাটত তাঁর যন্ত্রণায়। হ্য়াঁ, যে মেয়ে পুরুষমহলে হিল্লোল তুলেছিল একবিংশ শতাব্দীতে। সেই মেয়েটিই তাঁর প্রথম প্রেম, জীবনের প্রথম পুরুষের কাছ থেকে সুখ পাননি। উলটে পেয়েছিলেন যন্ত্রণা।
২০০৪ সালে পঞ্জাবি গায়ক হরমিত সিংকে বিয়ে করেন শেফালি। কিন্তু বিয়ের একমাস না কাটতেই শেফালির উপর দৈহিক ও মানসিক অত্যাচার শুরু করেন হরমিত। নিত্য অত্যাচারের ফলে চরম মানসিক অবসাদে ডুবে যান শেফালি। ২০০৯ সালে হরমিতকে ডিভোর্স দেন।
ঠিক সেই সময়ই শেফালির জীবনে আসেন ব্যবসায়ী পরাগ ত্য়াগী। পরাগের ছোঁয়ায় নতুন জীবন পান শেফালি। ফের প্রেম আসে তাঁর মনে। ২০১৫ সালে পরাগকে বিয়েও করেন। তথ্য বলছে, অবসাদ থেকে বেরতে শেফালিকে খুবই সাহায্য করেছিলেন পরাগ। তাঁদের সংসার ছিল বেশ সুখের। এতসঙ্গে ঘুরতেন, জিম করতেন। তাঁদের সুখী সংসারের ঝলক অনুরাগীরা মাঝে মধ্যেই পেয়েছেন সোশাল মিডিয়ায়। তবে নিয়তির খেলা, সুখের আলো দেখেও, বেশিদিন তা ভোগ করতে পারলেন না শেফালি। পরাগকে ছেড়ে চলে গেলেন না ফেরার দেশে। যে মেয়েটি এক সময়ে পুরুষের মনে ঝড় তুলেছিল, সেই মেয়েটির প্রাণ অকালেই ঝরে গেল।

বাম দিকে প্রথম স্বামী হরমিত সিংয়ের সঙ্গে শেফালি। ডানদিকে পরাগ ত্যাগীর সঙ্গে শেফালি।
