ভয়ে ঘরের কোণায় লুকিয়ে থাকতেন হৃত্বিক, বাবাকে কী অনুরোধ করেছিলেন?
রাকেশ রোশন, বহু পরিকল্পনা করে ছেলে হৃত্বিক রোশনকে লঞ্চ করেছিলেন কাহো না পেয়ার হ্যায় ছবির মাধ্যমে। বি-টাউ পেয়েছিল এক নতুন স্টারকে। হৃত্বিক রোশন, বর্তমানে যিনি সিনে দুনিয়ার গ্রীকগড, তাঁকে নিয়ে একটা সময় রীতিমত চিন্তায় ঘুম উড়ে গিয়েছিল রাকেশ রোশনের।
রাকেশ রোশন, বহু পরিকল্পনা করে ছেলে হৃত্বিক রোশনকে লঞ্চ করেছিলেন কাহো না পেয়ার হ্যায় ছবির মাধ্যমে। বি-টাউ পেয়েছিল এক নতুন স্টারকে। হৃত্বিক রোশন, বর্তমানে যিনি সিনে দুনিয়ার গ্রীকগড, তাঁকে নিয়ে একটা সময় রীতিমত চিন্তায় ঘুম উড়ে গিয়েছিল রাকেশ রোশনের। ভয়ে ভয়ে নিজেকে গুঁটিয়ে রাখতেন তিনি। কথা বলতেন না কারুর সঙ্গে, বাড়ির কোণে দরজা বন্ধ করে থাকতে হত তাঁকে। কারণ কী জানেন! হৃত্বিক রোশন তখন সবে মাত্র প্রথম ছবিতে কাজ করেছেন। ছবিতে ভাল অভিনয়ের কারণে সবাই প্রশংসায় পঞ্চমুখ।
সকলে শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন রাকেশ রোশনকে। আর অন্যদিকে মেয়েদের প্রেমের প্রস্তাবে দাপট। তবে হৃত্বিক তখন লাইম লাইটে। ঝড়ের গতীতে একের পর এক খবর ছড়িয়ে পড়ছে নতুন অভিনেতাকে কেন্দ্র করে। তবে হৃত্বিক এসব বিষয় বিন্দু মাত্র কান দিতে নারাজ। তিনি উল্টে বাবাকে বলে বসলেন তিনি অভিনয় করবেন না। তিনি এসব নিতে পারছেন না। বলিউড থেকে সরে দাঁড়াতে চান তিনি। কারণ হল একটাই, তাঁর পক্ষে এই এত মানুষের আশা ভরসা বজায় রাখা সম্ভবপর হবে না।
সাফল্যকে ভয়ে পেয়ে গিয়েছিলেন তিনি। হৃত্বিকের কথায়, সকলের মুখ রক্ষা করাটা বড় দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। সেই ক্ষেত্রে তিনি ব্যর্থ হবেন। পারবেন না বাবার মুখ রাখতে। একদিন যদি লাইমলাইট চলে যায়, তিনি যদি নিজের ভাল কাজ বজায় রাখতে না পারেন, তবে তখন এত মানুষের আশা, তাঁর বাবার আশা সবটা নষ্ট হয়ে যাবে রাতারাতি। টানা পাঁচদিন ভয়ে কেঁদে ছিলেন হৃত্বিক রোশন। ঘরের দরজা বন্ধ করেই বসে থাকতেন। বাবাকে বোঝানোর চেষ্টা করেছিলেন, তাঁর মানসিক সমস্যা, স্থির করেছিলেন অভিনেতা তিনি হবেন না। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। রাকেশ রোশন শক্তহাতে তাঁকে তখন সামনে এনেছিলেন, চালিয়ে গিয়েছিলেন বিশ্বাসের লড়াই তিনি পারবেন। আর আজ সেই সুপারস্টারই বলিউডের অন্যতম সেলেব, যাঁর নামে লক্ষ লক্ষ মহিলার রাতের ঘুম উড়ে