বাবার কথা অগ্রাহ্য করে মাত্র ২৪ বছর বয়সে কী করে বসেন কাজল?
অবশেষে ১৯৯৯ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি বিয়ে করেন তাঁরা। যদিও বিয়ে-সন্তান-সংসার তাঁর কেরিয়ারে কোনও নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারেনি। ছেলে মেয়ে হওয়ার সময় সাময়িক বিরতি নিয়েছেন ঠিকই। আবারও কামব্যাক করেছেন।

ঝকঝকে কেরিয়ার, উন্নত গ্রাফকে সাময়িক দূরে সরিয়ে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিচ্ছে মেয়ে! প্রথমটায় একেবারেই মানতে পারেননি বাবা শমু মুখোপাধ্যায়। পাশে দাঁড়িয়েছিলেন অন্য কেউ। এক সাক্ষাৎকারে কাজল ফাঁস করলেন এমনই কিছু না জানা তথ্য।
কাজল যখন বিয়ে করেন তখন তাঁর বয়স মাত্র ২৪। বাবা চেয়েছিলেন মেয়ে কাজে মন দিক। কিন্তু কাজলের মনে তখন বসন্ত। অজয় দেবগণের সঙ্গে চুটিয়ে চলছে প্রেম। এমতাবস্থায় কাজলের সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানিয়েছিলেন মা তনুজা। মা’কে পাশে পেয়েই বিয়ের মতো বড় সিদ্ধান্ত নিতে পেরেছিলেন কাজল।
অবশেষে ১৯৯৯ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি বিয়ে করেন তাঁরা। যদিও বিয়ে-সন্তান-সংসার তাঁর কেরিয়ারে কোনও নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারেনি। ছেলে মেয়ে হওয়ার সময় সাময়িক বিরতি নিয়েছেন ঠিকই। আবারও কামব্যাক করেছেন। শুধু কামব্যাকই করেননি। সাফল্যের সঙ্গে চুটিয়ে কাও করেছেন। এখনও করেই যাচ্ছেন।
কাজল আরও জানিয়েছিলেন, এই দীর্ঘ বিবাহিত জীবনে কোনওদিনই পুরুষতন্ত্রের আঁচ লাগেনি তাঁদের সম্পর্কে। কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দু’জনেই সামলিয়েছেন ঘরে এবং বাইরে। দুই সন্তান যুগ এবং নাইসার দায়িত্বও ভাগ করে নিয়েছেন দু’জনেই। মুম্বইয়ে ছেলে যুগ ও মেয়ের সঙ্গে একা হাতেই সংসার সামলাচ্ছেন কাজল। অজয় দেবগণ নিজেই একাধিক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, তাঁর সন্তানদের জন্যে কাজলের অবদান প্রচুর। যদিও আবদারের ডিপার্টমেন্টটা অজয়ই সামলান বলে মন্তব্য কাজলের। তবে দুই সন্তানই বাবাকে বেশ ভয় পায়।





