‘কোনওদিনও জানতে চাইনি সন্তানের লিঙ্গ কী হবে?’ কেন বললেন করিনা
বইতে করিনা গর্ভাবস্থায় নিজের আল্ট্রা সাউন্ড সেশনের প্লেটের ছবি ছেপেছেন। লিখেছেন, "সইফের সঙ্গে পরীক্ষা করাতে যেতাম। কোনওদিনও জানতে চাইনি সন্তানের লিঙ্গ কী।"
দ্বিতীয় পুত্র জাহাঙ্গীরের জন্মের পরপর নিজের লেখা একটি বই প্রকাশ করেন করিনা – ‘করিনা কাপুর খানস প্রেগন্যান্সি বাইবেল: দ্য আলটিমেট ম্যানুয়াল ফর মমস টু বি’। নিজের গর্ভাবস্থার সময়কার অভিজ্ঞতার কথা সেখানে শেয়ার করেছিলেন করিনা। বইটি করিনার সঙ্গে লিখেছিলেন অদিতি শাহ ভিমজিয়ানি। বইটির ইউএসপি করিনা সব সত্যি কথা লিখেছেন সেখানে। এমনকী, স্তন্যপানের মতো বিষয় নিয়েও খোলাখুলি অনেককিছু লিখেছেন করিনা।
প্রেগন্যান্সির খুঁটিনাটি নিয়ে বইতে নানা অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করেছেন করিনা। তৈমুরের জন্মের সময় শপিংয়ে বেরিয়েছিলেন। সেসময় ৩০টি ওয়ান সি, ৩টি টুথব্রাশ, পাঁচটি তোয়ালে কিনেছিলেন। বাড়তি আরও অনেককিছু কিনেছিলেন ‘হবু মা’। কিনেছিলেন বাচ্চাদের আরও অনেক জিনিস। পরবর্তীতে তাঁর মনে হয়েছিল, অনেককিছু এক্সট্রা কিনে ফেলেছেন, যেগুলোর কোনও প্রয়োজনই ছিল না। জিনিসগুলি বিলিয়েও দিয়েছিলেন বন্ধুদের মধ্যে।
View this post on Instagram
এই ঘটনা অনেককিছু শিখিয়েছিল করিনাকে। তাই জাহাঙ্গীরের জন্মের সময় শপিংয়ে গিয়ে নিজের ত্রুটি সংশোধন করেছিলেন নবাববধূ। কিনেছিলেন ৫-৬টি ওয়ান সি, ৪-৫টি ভেস্ট, ২টি সোয়্যাডেল, ২টি তোয়ালে, ১টি ব্ল্যাংকেট, একটি বেসিক ওরাল ও নেল কেয়ার কিট। তৈমুরের পুরনো পোশাক জাহাঙ্গীরকে পরাচ্ছেন করিনা। তিনিও শিশু বয়সে দিদি করিশ্মার পোশাক পরেছেন, লিখেছেন বইতে।
করিনার বই থেকেই জানা যায়, তৈমুরের কট, ব্ল্যাংকেট, বোতলের ওয়ার্মার, স্টেরিলাইজার – কিছুই বাতিল করে দেননি করিনা। এই সবই ব্যবহার করা হচ্ছে জাহাঙ্গীরের জন্য। বলেছেন, “আমি তো দ্বিতীয় সন্তান চেয়েছিলাম, সে ছেলে কিংবা মেয়ে যে-ই হোক না কেন। তাই তৈমুরের ব্যবহার করা কোনও জিনিসই আমি বাতিল করে দিইনি।” করিনা তৈমুরকে বই পড়ে শোনাতেন। সেই বইগুলিও সযত্নে রাখা আছে। সেগুলিও তিনি পড়ে শোনাবেন জাহাঙ্গীরকে।
বইতে করিনা গর্ভাবস্থায় নিজের আল্ট্রা সাউন্ড সেশনের প্লেটের ছবি ছেপেছেন। লিখেছেন, “সইফের সঙ্গে পরীক্ষা করাতে যেতাম। কোনওদিনও জানতে চাইনি সন্তানের লিঙ্গ কী।”
আরও পড়ুন: ২০ বছর পর ‘দিল চাহতা হ্যায়’-এর রহস্য ফাঁস করলেন ফারহান
আরও পড়ুন: কবে থেকে শুরু হবে ‘কৌন বনেগা ক্রোড়পতি’? জানালেন অমিতাভ