মঙ্গলবার সকালেই না ফেরার দেশে মুনমুন সেনের স্বামী ভরত দেব বর্মা। আচমকাই বাড়িতে অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। কলকাতায় ছিলেন না রাইমা সেন ও মুনমুন সেন। দুঃসংবাদ পৌঁছায় দিল্লিতে। শোনা মাত্রই বিমানপথে রওনা দিয়েছেন তাঁরা। কলকাতায় বাবার সঙ্গে রয়েছেন রিয়া সেন। এদিন খবর পাওয়া মাত্রই শোকজ্ঞাপন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেন পরিবারের সঙ্গে তাঁর দীর্ঘদিনের সুসম্পর্ক।
মুনমুন সেনের কলকাতায় আসার অপেক্ষায় রয়েছেন তিনি। স্থানীয় বিধায়ককে নির্দেশ দিয়েছেন বিষয়টা নজরে রাখতে। মুনমুন সেন ও রাইমা কলকাতা বিমানবন্দরে পৌঁছলেই তাঁদের গ্রিন করিডোর করে নিয়ে আসার ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলেও এদিন মুখ্যমন্ত্রী জানান। পরিবার সূত্রে খবর, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েই প্রয়াত হন ভরত দেব বর্মা।
এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মমতা বলেন, “মুনমুন রাইমা বর্তমানে দিল্লিতে রয়েছেন। কলকাতায় এখন রিয়া, পরিবারের আরও অনেকেই রয়েছেন। মুনমুনের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। ও ফিরলেন ওকে দ্রুত আনার ব্যবস্থা করব। ও জানত না। ভরত আমাদের খুব ভালবাসত। ভীষণ ভাল মানুষ ছিলেন। এটা খুব বড় একটা ক্ষতি। ওরা বলছে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন। আমার একজন শুভাকাঙ্খীকে হারালাম। আত্মীয়কে হারালাম। আমি এখানে স্থানীয় বিধায়ককে রেখে গেলাম। পাশাপাশি দেবাশিষ কুমার, মালা রায়কেও জানিয়েছি। পুলিশকেও বলে রেখেছি। ওরা ফিরলে গ্রিন করিডোর করে আনা হবে। বাকি সব ব্যবস্থাই করা হয়েছে। মুনমুন আসলে একবার ফোনে কথা বলব। এখন শোক প্রকাশ ছাড়া, শেষকৃত্য ছাড়া আর কী-ই বা করার আছে।”
ভরতের শারীরিক অবস্থা প্রসঙ্গে জানতে চাওয়া হলে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমি জানি ওঁর সুগার ছিল। তবে সকলে বলছে গত পরশুও নাকি পার্টি করেছেন। হঠাৎ করেই হয়তো কাল রাতে শরীরটা খারাপ করেছে। এই শীতের সময় একটু যত্নে থাকতে হয়। মূলত রাত ও ভোরের দিকেই শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে।”
শোনা যাচ্ছে দুপুর তিনটে নাগাদ কলকাতায় পৌঁছতে পারেন মুনমুন সেন ও রাইমা। তারপরই বাকি সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে পরিবার সূত্রে খবর।