মুুনমুনকে ‘অত্যাচার’ করতেন বাবা, বাড়ি ফিরে খেতে দিতেন না তাঁকে…!
Moonmoon Sen: মুনমুনের জীবন জুড়ে কেবলই তাঁর মা। বাবাকে কি মনেই পরে না তাঁর? মুনমুন বলেছিলেন, বাবা নাকি তাঁকে টর্চার করতেন। কীভাবে অত্যাচার করতেন, তা মুনমুন জানিয়েছিলেন নিজের মুখেই। শুনলে অবাক হয়ে যাবেন...

শোনা যায়, সুচিত্রা সেনের সঙ্গে নাকি একেবারেই সুসম্পর্ক ছিল না তাঁর স্বামী দিবানাথ সেনের। কথিত আছে, অবাধ্য ছেলেকে সংসারমুখী করতে তাঁর সঙ্গে সুন্দরী সুচিত্রা সেনের বিয়ে দিয়েছিলেন ঠাকুমা। সুচিত্রার প্রথম সন্তান জন্মের পরে নাকি মারা গিয়েছিল সে। তারপর থেকেই নাকি নানা কটাক্ষের সম্মুখীন হতে হয়েছিল মহানায়িকাকে। সুচিত্রাকে বাড়িতে বসে খাওয়াতে নাকি রাজি ছিলেন না তাঁর স্বামী দিবানাথ। সুন্দরী স্ত্রীকে দিয়ে সিনেমায় অভিনয় করিয়েছিলেন তিনি। ইন্ডাস্ট্রিতে কথিত আছে, সুচিত্রা সেন তথা মহানায়িকা নাকি অভিনয় করতে চাননি। মন দিয়ে করতে চেয়েছিলেন সংসার। কন্যা মুনমুনের জন্মের পর তাঁকে সব রকমের আদর-আব্দারে ভরিয়ে রেখেছিলেন সুচিত্রা। কোন কিছুর অভাব টের পেতে দিতেন না কন্যাকে। একদিকে বাবা-মায়ের তিক্ত সম্পর্ক, তায় অসম্ভব ব্যস্ত। ফলে অনেক ছোট বয়স থেকেই বোর্ডিং স্কুলে মানুষ হয়েছিলেন মুনমুন। তাঁর জীবন জুড়ে ছিলেন কেবল মা। আর বাবা? দিবানাথের সঙ্গে কেমন সম্পর্ক ছিল মুনমুনের?
ঋতুপর্ণ ঘোষ সঞ্চালিত ‘ঘোষ অ্যান্ড কোম্পানি’তে এসে বাবার সম্পর্কে কিছু কথা বলেছিলেন মুনমুন। ঋতুপর্ণকে সোজাসুজি জিজ্ঞেস করেছিলেন, বাবার সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ঠিক কেমন ছিল। বলেছিলেন, “খুবই ভদ্র একজন মানুষ ছিলেন আমার বাবা। খুব জোরে গাড়ি চালাতেন। আমি তাঁর সঙ্গে রাস্তায় সাইকেল নিয়ে রেস করতাম। তিনি আমাকে সাইকেল চালানো শিখিয়েছিলেন। সাইক্লিং করে বাড়ি ফিরে খিদে পেত আমার। খাওয়া-দাওয়া, বিশ্রাম এসবের বালাই ছিল না। সঙ্গে-সঙ্গে বসিয়ে দিতেন হ্যান্ড রাইটিং করতে। খুব টর্চারাস (অত্যাচার)! বাবার সঙ্গে বসে স্ক্র্যাবল খেলতাম। তিনি হয়তো আমার মস্তিষ্ককে প্রখর করতে চেয়েছিলেন। আমার বাবা খুব পাশ্চাত্য সঙ্গীত শুনতেন। মনে হয় আমার সঙ্গীতের প্রতি ভালবাসা বাবার থেকেই পাওয়া।”
