নওয়াজুদ্দিন সিদ্দিকী। বলিডের পরিচিত মুখ। তাঁর অভিনয়ের ভক্ত আট থেকে আশি। পার্শ্বচরিত্রাভিনেতা থেকে স্টার-- এই দীর্ঘ যাত্রা পথ সহজ ছিল না নওয়াজের।
অভিনয় শিক্ষার অন্যতম স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান ন্যাশানাল স্কুল অব ড্রামা অর্থাৎ এনএসডি থেকে পাশ করেও জোটেনি কাজ। ১৯৯৯ সালে আমির খান -সোনালী বেন্দ্রের ছবি 'সরফরোস'-এ মাত্র একটি সিনে অভিনয় করতে দেখা যায় তাঁকে। তাও এক দাগী অপরাধীর চরিত্রে।
বলাই বাহুল্য সেই দৃশ্য দর্শকের মনে দাগ কাটা তো দূরের কথা। কেউ সেভাবে খেয়ালও করেননি। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর ২০১২ সালে বদলে যায় সব হিসেব নিকেশ।
প্রথমে অনুরাগ কাশ্যপের 'গ্যাংস অব ওয়াসিপুর' এবং সে বছরই সুজয় ঘোষের 'কাহানি'-- বলিউড পেয়ে যায় এক দক্ষ অভিনেতাকে। এর পর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি নওয়াজকে। আসতে থাকে একের পর এক কাজ।
উত্তরপ্রদেশের বুধানার নওয়াজ রাতারাতি হয়ে যান স্টার। 'বদলাপুর', 'বজরঙ্গী ভাইজান' থেকে শুরু করে 'সেক্রেড গেমস', 'সিরিয়াস মেন'-এর মতো ওয়েব সিরিজ-- তাঁর বিচরণ সব জায়গাতেই।
কিন্তু 'স্ট্রাগল পিরিয়ড'-এর কথা আজও ভোলেননি অভিনেতা। এক সাক্ষাৎকারে নওয়াজ জানান এক এক সময় বেঁচে থাকাটাই কষ্টসাধ্য হয়ে গিয়েছিল। তাঁর কথায়, "পেটে যখন খাবার থাকে তখন মানুষ চলতে পারে। এক এক সময় খালি পেটে বান্দ্রা থেকে আন্ধেরি যাওয়ার মতো শক্তিও থাকত না। কারও দেওয়া রুটিই তখন সম্বল।"
নওয়াজ জানান, স্টার হতে চাননি কোনওদিন। অভিনেতা হতে চেয়েছিলেন। তাই ওই একটি বা দুটি দৃশ্যে অভিনয় করেও খুশি ছিলেন তিনি। অভিনেতা হিসেবে আগেই প্রমাণ করেছেন নিজেকে। হয়েছেন স্টারও। তাঁর গুণের কদর করতে ভোলেনি বলিউড।