নিজের জন্মদাত্রীকে নন, অন্য একজনকে ‘মা’ ডাকতেন রণজয় বিষ্ণু
Ranojoy Bishnu on Mother: ৮৯ বছর বয়সে প্রয়াণ ঘটে রণজয়ের মায়ের। কিন্তু সেই মানুষটা রণজয়কে জন্ম দেননি। তিনি রণজয়ের জন্মদাত্রী নন। ২০১৮ সালে মারা যান রণজয়ের সেই মা। ২৫ বছর বাড়ি থেকে বের হননি তিনি। তাঁকে হাত ধরে বের করে আনেন রণজয়। কেনেন নতুন গাড়িও। কেন সেই ব্য়ক্তি?
মধ্যমগ্রামের ছেলে অভিনেতা রণজয় বিষ্ণু। গ্রাম্য পরিবেশে বড় হয়েছেন তিনি। পুকুরে সাঁতার শিখেছেন। গাছের ডালে বসে থাকতেন বন্ধুদের সঙ্গে। ঝাপ দিতেন জলে। কোমরে ব্যথা লাগত অভিনেতার। তবুও নিপাট আনন্দ থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে রাখতেন না রণজয়। সুযোগ পেলেই গ্রামে ফিরে যান এই তারকা। সেখানেই ছিলেন তাঁর মা। ৮৯ বছর বয়সে প্রয়াণ ঘটে রণজয়ের মায়ের। কিন্তু সেই মানুষটা রণজয়কে জন্ম দেননি। তিনি রণজয়ের জন্মদাত্রী নন। কে সেই ব্যক্তি?
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে রণজয় বিষ্ণু জানিয়েছেন, দিদিমাকে তিনি ‘মা’ বলে ডাকতেন এবং তাঁকেই মায়ের আসনে বসিয়েছিলেন। তাঁর জীবনে দিদিমা, তথা মায়ের অবদান প্রচুর। আজ যা কিছু করতে পেরেছেন রণজয়, তা সবই মায়ের কারণে। এই মানুষটা তাঁকে গড়ে তুলেছেন। অভিনেতার কাছে গোটা পৃথিবী একদিকে এবং দিদিমা অন্যদিকে।
২০১৮ সালে ৮৯ বছর বয়সে মারা যান রণজয়ের সেই মা। তারপর থেকে জীবন অনেকটাই অন্ধকার হয়ে যায় অভিনেতার। সেই মানুষটার মৃত্যুর আগে এক পুজোয় রণজয় তাঁকে গাড়িতে চাপিয়ে বেড়াতে নিয়ে গিয়েছিলেন। দিদিমার কাছে গাড়ি বলতে ট্যাক্সি। সেটাই সংজ্ঞা ছিল সরল মানুষটার। হলুদ ট্যাক্সিকেই গাড়ি ভাবতেন তিনি। মাকে নিয়ে বেড়াতে যাবেন, তাই ১৫ দিনের মাথাতে একটা দামী সেকেন্ড হ্যান্ড গাড়ি কিনে ফেলেছিলেন রণজয়। ২৫ বছর পর দিদিমা বাড়ি থেকে বের হয়েছিলেন সেইদিন। গাড়িতে উঠে বেড়ানোর চেয়ে নাতির সঙ্গে সময় কাটানোটাই ছিল তাঁর কাছে সব বড় বিষয়। বলতে-বলতে অভিনেতা রণজয় বিষ্ণুর চোখ চিকচিক করে ওঠে।