AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

আলিয়ার মা সোনি রাজদানকে নিজের সবচেয়ে বড় শত্রু মনে করতেন পূজা ভাট!

মহেশ ভাটের প্রথম পক্ষের স্ত্রী কিরণের মেয়ে পূজা। প্রাথমিক ভাবে আলিয়া ভাটের মা সোনি রাজদানের সঙ্গে বাবার বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক মেনে নিতে পারেননি তিনি। পূজার মনে হয়েছিল সোনিই তাঁর সবচেয়ে বড় শত্রু।

আলিয়ার মা সোনি রাজদানকে নিজের সবচেয়ে বড় শত্রু মনে করতেন পূজা ভাট!
সোনি রাজদান, আলিয়া ভাট এবং বাবা মহেশ ভাটের সঙ্গে পূজা ভাট।
| Updated on: Feb 24, 2021 | 10:46 AM
Share

‘সড়ক-২’ ছবিতে বাবা মহেশ ভাটের হাত ধরেই দীর্ঘদিন পর অভিনয় জগতে ফিরেছেন তাঁর প্রথম পক্ষের স্ত্রী কিরণ ভাটের কন্যা পূজা ভাট। আজকাল সোশ্যাল মিডিয়ায় মহেশ কিংবা তাঁর দ্বিতীয় পক্ষের কন্যা আলিয়া ভাটের বিরুদ্ধে কেউ ভুলভাল মন্তব্য করলেই ফুঁসে ওঠেন পূজা। মহেশের দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী সোনি রাজদানের সঙ্গেও সুসম্পর্ক রয়েছে তাঁর।

তবে প্রথম থেকেই এমনটা ছিল না। বরং সোনি রাজদানকে নিজের সবচেয়ে বড় শত্রু ভাবতেন পূজা। তাঁর নামটুকু শুনলেও বিরক্ত হতেন তিনি। পূজা জানিয়েছিলেন, তাঁর বাবা মহেশই তাঁকে নিজের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের কথা বলেছিলেন। পূজার কথায়, বাবা তাঁর কাছে কোনওদিনই কিছু লুকিয়ে রাখেননি। বরং নিজেই জানিয়েছিলেন সোনির সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের কথা। এমনকি কিরণের আগে পূজা জেনেছিলেন মহেশের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের কথা।

এখন স্বাভাবিক ভাবে সবটা মেনে নিলেও শুরুর দিকে সোনি রাজদানকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছিলেন পূজা। মনে মনে এটা ভেবেই নিয়েছিলেন যে তাঁর এবং তাঁর মায়ের থেকে মহেশকে ছিনিয়ে নিয়েছেন সোনি। অন্যদিকে মহেশও অবশ্য মেয়েকে তাঁর রাগ প্রকাশের স্বাধীনতা দিয়েছিলেন। পূজার কোনও কথাতেই তাঁকে বকে-ধমকে থামিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেননি তিনি।

ঠিক তেমনই মা-বাবার বিচ্ছেদের জন্য পূজা কখনই মহেশকে দায়ী করেননি। এক সাক্ষাৎকারে পূজা বলেছিলেন, “মা-বাবার বিচ্ছেদ হয়েছিল, কারণ ওরা বুঝতে পেরেছিলেন যে আর একসঙ্গে থাকা সম্ভব নয়। এখনও আমার মা-বাবা খুব ভাল বন্ধু। বাবা আমাদের বাড়িতে আসেন। আর্থিক ভাবে আমাদের সাহায্যও করেন।”

সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সোনি রাজদানের প্রতিও মনোভাব বদলেছে পূজা ভাটের। তাঁর কথায়, “আমরা হাই-হ্যালো দিয়ে কথা শুরু করেছিলাম। তারপর অল্প অল্প কথা হতো। এখন আমরা ভাল বন্ধু। একে অন্যের সঙ্গে গল্প করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি।”