AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

‘প্রচুর সাফার করেছি, আর পারছিলাম না’, একমাত্র ছেলেকে নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত পুষ্পিতার

পুষ্পিতা মুখোপাধ্যায়ই বিগত বেশ কয়েক বছর ধরে ছেলেকে নিয়ে ছিলেন জেরবার। কারণ একটাই ফোনের গেমে অতিরিক্ত আসক্ত তাঁর ছেলে। কিছুতেই বাগে আনতে পারছিলেন না তাঁকে। 'দিদি নম্বর ওয়ান'-এর মঞ্চে এসে কেঁদে ফেলেছিলেন তিনি।

'প্রচুর সাফার করেছি, আর পারছিলাম না', একমাত্র ছেলেকে নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত পুষ্পিতার
| Updated on: Jun 08, 2024 | 3:03 PM
Share

দীর্ঘ ৩০ বছরের কেরিয়ার তাঁর। অভিনেত্রী পুষ্পিতা মুখোপাধ্যায়কে কে না চেনেন? সেই পুষ্পিতা মুখোপাধ্যায়ই বিগত বেশ কয়েক বছর ধরে ছেলেকে নিয়ে ছিলেন জেরবার। কারণ একটাই ফোনের গেমে অতিরিক্ত আসক্ত তাঁর ছেলে। কিছুতেই বাগে আনতে পারছিলেন না তাঁকে। ‘দিদি নম্বর ওয়ান’-এর মঞ্চে এসে কেঁদে ফেলেছিলেন তিনি। এবার সেই ছেলেকে নিয়েই বড় সিদ্ধান্ত নিলেন পুষ্পিতা। না, আর নিজের কাছে রাখা নয়, ছেলেকে সোজা পাঠিয়ে দিলেন দিল্লিতে। সেখানেই হস্টেলে থেকে পড়াশোনা করবে সে।

টিভিনাইন বাংলাকে পুষ্পিতা বলেন, “যা হয় ভালোর জন্যই হয়, প্রচুর সাফার করেছি। আর পারছিলাম না আমি। বাধ্য হয়েই দিল্লিতে পাঠালাম। যদি হস্টেলে থেকে কিছুটা উন্নতি হয়।” ছেলের ক্লাস নাইন হন। দিল্লিতে অভিনেত্রীর স্বামী থাকেন। তাই ছেলে যে একেবারেই আছেন এমনটা নয়। ছেলেকে ছেড়ে আগে কোনওদিন এতটা সময় থাকা হয়নি। মন কি খারাপ তাঁর? পুষ্পিতার কথায়, “প্রচুর সাফার করেছি। আর পারছিলাম না আমি। ওখানে ওর ভাল হবে। আগের থেকে ব্যাপারটা কিছুটা নিয়ন্ত্রণে। এইবারেই গেল। দেখা যাক কী হয়! ওর অমতে কিন্তু কিছু করিনি। ওর কাছ থেকে হ্যাঁ শুনেই যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার নিয়েছি।”

ছেলের স্কুলে গরমের ছুটি পড়েছে। ওদিকে সামনেই দ্বিতীয় শনিবার, টলিপাড়া ছুটি। তাই চার দিনের সময় ম্যানেজ করে আজ অর্থাৎ শুক্রবারই দিল্লি উড়ে যাচ্ছেন তিনি। হাজার হোক, মায়ের মন তো! ছেলেকে না দেখে থাকতেও যে পারেন না তিনি। এর আগে দিদি নম্বর ওয়ানে এসে পুষ্পিতা বলেন, “সব ট্রাই করেছি আমরা। পড়াশোনায় জিরো। কিচ্ছু করতে পারছি না। কিছুতেই পারছি না। এত ফোনের নেশা ওর।” অসহায় মা আরও বলেন, “হাতে যদি একটু পাওয়ার থাকত তবে অনেক বাচ্চার জীবন সুন্দর হয়ে যেত। ওরা তো বুঝে নিজের ক্ষতিটা করছে না। ওরা নতুন জিনিস পেয়ে ভেসে গেল। আমি কিন্তু সবটা পুরো সময়টা ছেলেকে দিয়েছি। কিচ্ছু লাভ হয়নি।” অবশেষে সেখান থেকে নিস্তার মিলবে, এমনটাই আশা মা পুষ্পিতার।