রাজা চন্দ-র ওয়েব সিরিজের শুটিং আচমকা বন্ধ? টলিপাড়ায় জোর চর্চা
১২মে রাজা চন্দ-র পরিচালনায় 'জি ফাইভ'-এর জন্য ওয়েব সিরিজের শুটিং শুরু হওয়ার কথা থাকলেও, সেখানে বাধা এসেছে বলে খবর। সেট তৈরি হয়ে গেলেও, ১২ তারিখ টেকনিশিয়ানরা শুটিংয়ে আসতে পারেননি কিছু জটিলতার কারণে। চর্চা হলো, ফেডারেশনের বিরুদ্ধে একটা বার্তায় স্বাক্ষর করেছিলেন রাজা। তবে তিনি নাকি ফেডারেশনের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝি মিটিয়ে নেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছেন ১১মে থেকে। এই বিষয়ে পরিচালকের থেকে জানতে চাওয়া হলে, তিনি জানান, এখনই কথা বলতে পারছেন না।

টেকনিশিয়ানদের ফেডারেশন ভার্সেস পরিচালকদের লড়াই চলছে টলিপাড়ায়। অবশ্য এই লড়াইয়ে টলিপাড়ার সব পরিচালক আছেন এমন নয়। পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায় বা নন্দিতা রায়-শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের মতো পরিচালকরা শুটিং এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। এদিকে ১২মে রাজা চন্দ-র পরিচালনায় ‘জি ফাইভ’-এর জন্য ওয়েব সিরিজের শুটিং শুরু হওয়ার কথা থাকলেও, সেখানে বাধা এসেছে বলে খবর। সেট তৈরি হয়ে গেলেও, ১২ তারিখ টেকনিশিয়ানরা শুটিংয়ে আসতে পারেননি কিছু জটিলতার কারণে। চর্চা হলো, ফেডারেশনের বিরুদ্ধে একটা বার্তায় স্বাক্ষর করেছিলেন রাজা। তবে তিনি নাকি ফেডারেশনের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝি মিটিয়ে নেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছেন ১১মে থেকে। এই বিষয়ে পরিচালকের থেকে জানতে চাওয়া হলে, তিনি জানান, এখনই কথা বলতে পারছেন না। গত কয়েক মাসে কিছু পরিচালকের শুটিং বন্ধ হয়েছে টলিপাড়ায়। শুটিংয়ের আয়োজন হয়ে যাওয়ার পর টেকনিশিয়ানরা আসেননি শুটিং করতে, এমন অভিযোগ। কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়, জয়দীপ মুখোপাধ্যায়, শ্রীজিৎ রায়ের পর ফেডারেশনের রোষের মুখে পড়েছিলেন পরিচালক সুদেষ্ণা রায়। ১৬ এপ্রিল, উত্তর কলকাতার একটি বাড়ি থেকে ফেসবুক লাইভে এসে সবটা সামনে আনেন পরিচালক। নিজেই জানান তাঁর নতুন ছবির শুটিং ঘিরে অস্বাভাবিক পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার কথা। তারপর থেকে এই শুটিং আর হয়নি। লক্ষণীয়, কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায় বা জয়দীপ মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে ফেডারেশনের ঝামেলা মিটে গিয়েছে। তাঁরা সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিয়ো পোস্ট করে ভুল বোঝাবুঝি মিটিয়ে নিয়েছেন। তাই জয়দীপ ‘বেনারসে বিভীষিকা’-র শুটিং করেছেন। ১৬ মে সেই ছবির মুক্তি। এদিকে আইনি পদক্ষেপ করেছেন সুদেষ্ণা। টলিপাড়ার প্রায় ১৫ জন পরিচালক বিষয়টা নিয়ে আইনি লড়াই লড়ছেন। যেমন পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় বা অনির্বাণ ভট্টাচার্য। সেই মামলার পরবর্তী শুনানি আছে ১৯মে। এদিকে টেকনিশিয়ানরা নাকি যাঁরা এমন আইনি পথে হেঁটেছেন, তাঁদের সঙ্গে কাজ করতে চাইছেন না, বলেও চর্চা। এই লড়াইয়ের শেষ কোথায় এখন সেটা দেখার অপেক্ষা।





