নিজের বাড়ি ‘মন্নত’ ছেড়ে বেরিয়ে গেলেন শাহরুখ খান, স্ত্রী-সন্তানরাও থাকতে পারছেন না আর!
যে মন্নত ছিল তাঁর স্বপ্ন। যে মন্নত আদতেই ছিল তাঁর প্রার্থনা। যে মন্নত তাঁর কেরিয়ারের ওঠা-পড়া চাক্ষুষ করেছে। সেই মন্নতকেই রাতারাতি ছাড়তে বাধ্য হলেন শাহরুখ।

যে মন্নত ছিল তাঁর স্বপ্ন। যে মন্নত আদতেই ছিল তাঁর প্রার্থনা। যে মন্নত তাঁর কেরিয়ারের ওঠা-পড়া চাক্ষুষ করেছে। সেই মন্নতকেই রাতারাতি ছাড়তে বাধ্য হলেন শাহরুখ। তবে শুধুই কিং খান নন। বাড়ি ছাড়লেন স্ত্রী গৌরী, মেয়ে সুহানা, ছেলে আরিয়ান ও আব্রাম। তা হঠাৎ এমন কী হল যার জন্য রাতারাতি এমন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হলেন কিং খান?
ব্য়াপারটা হল, বেশ কিছুদিন আগেই মহারাষ্ট্রের কোস্টাল জোন ম্যানেজমেন্টের কাছে মন্নতের সংস্কার এবং কিছু নতুন নির্মানের জন্য অনুমতি চেয়েছিলেন শাহরুখের স্ত্রী গৌরী খান। সেই অনুমতি পাওয়ায় কারণেই আগামী মে মাস থেকে মন্নতের সংস্কারের কাজ শুরু হচ্ছে। আর সেই কারণেই মুম্বইয়ের পালি হিল এলাকার একটি বাংলো ভাড়া নিয়েছেন শাহরুখ। যার ভাড়া প্রতিমাসে ২৫ লাখ টাকা। জানা গিয়েছে, এই বাংলোটি বলিউড প্রযোজক বাসু ভাগনানির।
এক সাক্ষাৎকারে শাহরুখ জানিয়ে ছিলেন, মুম্বইয়ে পা রাখার পর যখন তাঁর রাতদিন কাটছে স্ট্রাগলের মধ্যে দিয়ে, তখনই একদিন নজর গিয়ে পড়ে সমুদ্রমুখী এই বাংলোতে। তবে এখনকার মন্নত, তখন এমন ছিল না। শাহরুখ সেই সাক্ষাৎকারে জানিয়ে ছিলেন, তখনই তিনি মনে মনে ঠিক করেছিলেন, যদি কোনওদিন সুপারস্টার হতে পারেন, তাহলে এই বাংলোটা তিনি কিনবেন। এর পরের ঘটনাটি বলিউডের ইতিহাস। বলিউড বাদশার সেই সাধের মন্নত নিয়েই বড় ভুল করে বসল মুম্বইয়ের সাবআর্বান কালেক্টর। ২০১৯ সালে মন্নতের লিজহোল্ড থেকে সম্পুর্ণ শাহরুখের নামে সম্পুর্ণ মালিকানা হস্তান্তরের সময়ই বড়সড় ভুল করে বসে মুম্বইয়ের সাবআর্বান কালেক্টর।
২০০১ সালে খোরশেদ ভানু সঞ্জনা ট্রাস্ট থেকে গ্রেড ৩ হেরিটেজের তালিকায় থাকা বাংলোটি ৯৯ বছরের লিজে নেন শাহরুখ খান। হেরিটেজ আইনের কারণে এই বিল্ডিংয়ের কোনও কাঠামোগত পরিবর্তন করার আইন ছিল না। তবে শাহরুখ, সেখানে একটি মাল্টিস্টোরি অ্যানেক্স নির্মাণ করেন, যেখানেই পুরো পরিবারকে নিয়ে থাকেন তিনি। এই নির্মাণের জন্য বেশকিছু নিয়ম ও আইন মেনে চলতে হয়েছে শাহরুখ খানকে।
সূত্রের খবর, মন্নতের জমি মুম্বইয়ের কালেক্টরের অধীনে হওয়ায় একটি বিশেষ ট্যাক্স দিতে হয়। যা ‘আনআর্নড ইনকাম’ বা অব্যবহৃত আয়ের উপর নির্ভর করে। ২০১৯ সালে শাহরুখ-গৌরীর সম্পত্তির মালিকানা লিজহোল্ড থেকে ফ্রিহোল্ডে রূপান্তরিত করেন। সেই সময় ২৭.৫ কোটি টাকা প্রিমিয়াম দেন তাঁরা। তবে কর্তৃপক্ষ এই প্রিমিয়ামটি ভুলভাবে সম্পূর্ণ নির্মাণ খরচের উপর হিসেব করেছিলেন, যা কিনা জমির মূল্য থেকে অনেকটাই বেশি ছিল। কর্তৃপক্ষের এমন ভুল সম্প্রতি নজরে পড়ে গৌরী ও শাহরুখের। এরপর গৌরী একটি আবেদন করেন অর্থ রিফান্ডের জন্য। সেই আবেদনপত্রের সূত্র ধরেই সাবঅর্বান ডেপুটি কালেক্টর সতীশ বাগাল এই ভুলটি স্বীকার করে নেন। তিনি জানান, ‘সরকারের আনুষ্ঠানিক আদেশের পর শাহরুখের কাছ থেকে অতিরিক্ত নেওয়া ৯ কোটি ফিরিয়ে দেওয়া হবে।’
