AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

কাল থেকে ফের বন্ধ টলিপাড়ার শুটিং, কী বলছেন দিন আনি, দিন খাই জুনিয়র টেকনিশিয়ানরা?

এই পরিস্থিতিতে সবচেয়ে বেশি সমস্যার সম্মুখীন দিন আনি, দিন খাই কর্মী অর্থাৎ জুনিয়র টেকনিশিয়ানরা। অনেকেই লকডাউনের জায়গায় নাইট কার্ফু চেয়েছিলেন। তাতে দিনে রোজগারের পথ কিছুটা হলেও খোলা থাকত।

কাল থেকে ফের বন্ধ টলিপাড়ার শুটিং, কী বলছেন দিন আনি, দিন খাই জুনিয়র টেকনিশিয়ানরা?
| Updated on: May 15, 2021 | 6:57 PM
Share

১৬ মে থেকে ৩০ মে পর্যন্ত কার্যত লকডাউন (lockdown) ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার। এই পরিস্থিতিতে টেলিপাড়ায় শুটিংও বন্ধ থাকবে বলে সূত্রের খবর। সঙ্গে গতবছরের চিত্রটাও ফিরে আসছে আবার। এই পরিস্থিতিতে সবচেয়ে বেশি সমস্যার সম্মুখীন দিন আনি, দিন খাই কর্মী অর্থাৎ জুনিয়র টেকনিশিয়ানরা। তাঁরা কেউ মেক-আপ আর্টিস্ট, কেউ ট্রলি সামলান, কেউ ইলেকট্রিকের কাজ করেন, কেউ আর্টিস্টদের চুলের স্টাইল করেন। এঁদের অনেকেই লকডাউনের জায়গায় নাইট কার্ফু চেয়েছিলেন। তাতে দিনে রোজগারের পথ কিছুটা হলেও খোলা থাকত। ফলে এই ১৫ দিনের লকডাউনকে কী চোখে দেখছেন তাঁরা, কতখানি প্রস্তুত আছেন, সে সব জানতে TV9 বাংলা কথা বলে তাঁদের সঙ্গে।

হেমা মুন্সি (মেকআপ আর্টিস্ট): অনেক ছবির শুটিং গত মাস থেকেই বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। মেগা সিরিয়ালের শুটিং চলছিল। আগামীকাল থেকে সেটাও বন্ধ হবে। আমি সরকারের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাচ্ছি। মুম্বইয়ের মতো জায়গায় লকডাউন করেই কিন্তু পরিস্থিতি ধীরে-ধীরে বাগে আসছে। আমাদের এখানে অনেক আগে করা উচিত ছিল। আমাদের এখানে মানুষ বড্ড অবাধ্য, কেউ ঘরে থাকতে চায় না। শুটিংয়েই তো কেউ কিছুই মানে না। কেউ মাস্ক পরে না। কেউ ঠিক মতো স্যানিটাইজ় করে না। ফেডারেশন থেকে ব়্যাপিড টেস্ট করানোর পর প্রতিদিনই ৭-৮ জন করে করোনা পজিটিভ বেরোয়। তার উপর আর্টিস্টরা তো মাস্ক পরে শুটিং করতে পারবেন না। তাই-ই ছড়িয়ে যাচ্ছে ব্যাপারটা। তবে আমার মনে হয় কর্মীরা টাকা পাবেন। আগের বছর মেগা সিরিয়ালের এক-একজন টেকনিশিয়ান ৩০ হাজার টাকা করে পেয়েছিলেন। আমার মনে হয় না এবারও টাকা আটকে থাকবে।

গোবিন্দ নস্কর (ট্রলি ম্যান): কী করি বলুন, এখন সেটাই ভাবছি। আমাদের ইন্ডাস্ট্রির অবস্থা এখন খুবই খারাপ। তেমন টাকা পয়সা জমিয়েও রাখতে পারিনি। তবে এই সিদ্ধান্ত যে খুব ভুল, তা-ও বলতে চাই না। করোনা যেভাবে বেড়ে গিয়েছে, তাতে লকডাউন ছাড়া আরও কোনও উপায়ও নেই।

লাল বাহাদুর দাস (ফ্লোর ট্রলি): আমাদের মাথার উপর অনেকেই আছেন। তাঁদের সিদ্ধান্তের উপর অনেক কিছু নির্ভর করছে। এই লকডাউনে করোনা যদি কিছুটা কমে, তা হলে ভালই তো। কিন্তু আমাদের রোজগারের দিকটা! সেটাও তো চিন্তার বিষয়। তবে পরিস্থিতির চাপে মানুষকে সিদ্ধান্ত নিতেই হয়। আগের লকডাউনে যেভাবে কাটিয়েছি, এই লকডাউনেও সেভাবেই কাটাতে হবে। আগের বার চ্যানেল টাকা দিয়েছিল। এবার কোনও আর্থিক সাহায্য পাব কি না, সেটাই আগামীদিনেই জানতে পারব।

মণিদীপ মিত্র (মেকআপ আর্টিস্ট): এখন তো চোখে অন্ধকার দেখছি। আমরাও তো বাচ্চা, ফ্যামিলি নিয়ে থাকি। একটা ব্যবস্থা করে দেওয়া উচিত বলে আমি মনে করি। যাতে অন্তত সংসারটুকু চালাতে পারি। সরকার যদি এটা নিয়ে ভাবেন খুব ভাল হয়। আমার বিশ্বাস, তাঁরা নিশ্চয়ই কোনও রাস্তা বের করবেন।

আরও পড়ুন, কাল থেকে বন্ধ ধারাবাহিকের শুটিং? কী জানাচ্ছেন পরিচালক-প্রযোজকরা