‘কোথাও লেখা নেই, একটা বয়সের পর মানুষ বিয়ে করবেন না’, বলছেন শ্রীময়ী
কোথাও লেখা নেই, একটা বয়সের পর মানুষ আর বিয়ে করতে পারবেন না। শুধু বিয়ে কেন, একজন মানুষ যদি চান একটু দেরিতে বাবা-মা হবেন, সেটাও করতে পারেন। আমরা সারা দিন অক্লান্ত পরিশ্রম করি। দিনের শেষে প্রত্যেকের জীবনে এমন একজন মানুষ দরকার, যাঁর কাঁধে মাথা রেখে মনের কথা বলতে পারবেন। স্বচ্ছতা খুব দরকার। তাই উনি যেটা মনে করেছেন, ঠিক মনে করছেন। আমরা জানি রবি শঙ্কর ৭৪ বছর বয়সে বিয়ে করেছিলেন।

দিলীপ ঘোষের ছকভাঙা বিয়ে নিয়ে কী বলছেন শ্রীময়ী চট্টরাজ? TV9 বাংলাকে শ্রীময়ী জানালেন, ”প্রথমেই বলি, দিলীপ ঘোষ মহাশয় আর ওঁর স্ত্রীকে অনেক শুভেচ্ছা, অভিনন্দন। ওঁদের এই নতুন জীবন যেন মধুর হয়। দিলীপ ঘোষ একজন রাজনীতিক। তবে আজকে আমার এই শুভেচ্ছা মানুষ দিলীপ ঘোষের জন্য। আমাকে এই প্রশ্নটা করা হয়েছে, যেহেতু কাঞ্চনও (মল্লিক, অভিনতা-বিধায়ক) ৫০ বছর বয়সের পর এই বিয়েটা করেছেন, সেই কারণে। আমার মনে হয়, মানুষ যে কোনও বয়সে বিয়ে করতে পারেন। প্রতিটা মানুষের ভালো থাকার অধিকার রয়েছে। কোনও মানুষের কাজের জীবন আর ব্যক্তিগত জীবন গুলিয়ে ফেলা ঠিক নয়। অন্য কারও ক্ষতি না করে কেউ যদি নিজে বিয়ে করে ভালো থাকতে চান, তা হলে সমস্যা নেই। আমরা এটা প্রায়ই শুনি, এই ব্যাপারে আমি আর কাঞ্চন মিথ ব্রেকার। আমরা সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছিলাম যে একজন মানুষ ৫০ বছর বয়সের পর বিয়ে করেও ভালো থাকতে পারেন। কোথাও লেখা নেই, একটা বয়সের পর মানুষ আর বিয়ে করতে পারবেন না। শুধু বিয়ে কেন, একজন মানুষ যদি চান একটু দেরিতে বাবা-মা হবেন, সেটাও করতে পারেন। আমরা সারা দিন অক্লান্ত পরিশ্রম করি। দিনের শেষে প্রত্যেকের জীবনে এমন একজন মানুষ দরকার, যাঁর কাঁধে মাথা রেখে মনের কথা বলতে পারবেন। স্বচ্ছতা খুব দরকার। তাই উনি যেটা মনে করেছেন, ঠিক মনে করছেন। আমরা জানি রবি শঙ্কর ৭৪ বছর বয়সে বিয়ে করেছিলেন। এমন কিছু উদাহরণ আছে। তাই আমার দিক থেকে অনেক শুভেচ্ছা। এটাও চাইব, আপনারাও ওঁদের শুভেচ্ছায় ভরিয়ে দিন।”
