বুধবার, অর্থাৎ ১৫ থেকে ১৬ জানুয়ারির মাঝরাতে সইফ আলি খানের বাড়িতে ঘটে যায় ভয়ানক ঘটনা। হামলা চালায় দুষ্কৃতি। যেখানে বীরের মতো সইফ তাঁর সন্তানদের রক্ষা করেছে বলেই খবর। ছিলেন হাসপাতালে। এলোপাথারি কোপ চালায় আততায়ী সইফের ওপর। টানা একসপ্তাহ ধরে সেই খবরে তোলপাড় মুম্বই। এরই মাঝে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিস্ফোরক মন্তব্য করে বসলেন লেখিকা তসলিমা নাসরিন।
সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি লিখলেন, “সইফ আলি খানের কোনও গল্পই বিশ্বাসযোগ্য মনে হচ্ছে না। যে লোকটাকে ধরা হয়েছে, আর যে লোকটাকে সিসিটিভি ক্যামেরায় দেখা গেছে , তারা এক লোক বলে মনে হচ্ছে না। বিখ্যাত এবং ধনাঢ্য মানুষদের বিল্ডিং-এ কোনও সিকিউরিটি গার্ড নেই, বিশ্বাস করা যায় না।”
প্রশ্ন তুললেন সেদিন পরিবারে উপস্থিত সদস্যদের নিয়েও। লিখলেন, “সবচেয়ে বেশি অবিশ্বাস্য, সইফকে ছুরিকাঘাত করার পর বিল্ডিং থেকে নির্বিঘ্নে চোর বাবাজি বেরিয়ে গেল। হেঁটে ১১ তলার সিঁড়ি পার হল, গেট পার হল। না দারোয়ান, না সইফের বাড়ির কোনও কাজের লোক, কেউ এসে তাকে আটকাল না। সইফকে হাসপাতালের পথে সঙ্গ দিতে হল সাত বছর বয়সী তৈমুরকে। তাও আবার অটোয়। করিনা অথবা কোনও আত্মীয় বা প্রতিবেশী কেউ গাড়ি চালিয়ে নিয়ে গেল না হাসপাতালে, বিশ্বাসযোগ্য নয়।”
তসলিমা এদিন সইফ প্রসঙ্গও বাদ রাখলেন না। অভিনেতাকে নিয়েও বেশ কিছু প্রশ্ন তুললেন তিনি, লিখলেন, “সইফের মেরুদন্ডের খুব কাছে নাকি আড়াই ইঞ্চি গভীর পর্যন্ত ঢুকে গিয়েছিল ছুরি। অস্ত্রোপাচার হয়েছে দীর্ঘ ছ’ঘণ্টা, স্পাইনাল ফ্লুইড বেরিয়ে গিয়েছিল, আইসিইউতেও ছিলেন। যদিও চারদিন পর সইফকে দেখে মনে হয়নি তাঁর আদৌ কিছু হয়েছে।’ ‘খুব অদ্ভুত লাগছে যে সইফ আলি খান জানিয়ে দিচ্ছেন না কী ঘটেছিল সে রাতে, যাকে গ্রেফতার করা হয়েছে, সে অপরাধী কি না। তিনিই জানেন কী উদ্দেশ্য ছিল চোরের, শুধুই চুরি করা নাকি অন্য কিছু।”
তবে কেবল তসলিমা নন, একই অভিযোগ তুলেছেন মহারাষ্ট্রের একশ্রেণি নেতারাও। তাঁরাও এই ঘটনার সত্যতা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় সওয়াল করছেন।