Rohaan Bhattacharjee: অভিনয়ের পাশাপাশি ইউটিউব চ্যানেল নিয়ে ব্যস্ত রোহন, বাংলায় পছন্দের ইউটিউবার কে?
Rohaan Bhattacharjee: বহুদিন থেকেই ইউটিউবারদের ফলো করেন রোহন। তাঁর জীবনে অভিনয় প্রায়োরিটি। কিন্তু ইউটিউবে নিজের মতো করে কনটেন্ট তৈরি করতে স্বচ্ছন্দ বোধ করেন তিনি।
টেলিভিশনের পর্দায় দর্শক প্রতিদিন তাঁকে দেখেন। জনপ্রিয় ধারাবাহিক অপরাজিতা অপুর নায়ক তিনি। অর্থাৎ রোহন ভট্টাচার্য। কিন্তু টেলিভিশনে আপনি রোহনকে দেখেন গল্পের চরিত্র হিসেবে। আসল মানুষটার নাগাল সেখানে পাওয়া সম্ভব নয়। আসলে রোহন কেমন, তা জানার উপায়ও আছে বৈকি! বেশ কিছুদিন হল নিজের ইউটিউব চ্যানেল খুলেছেন অভিনেতা। সেখানে দেখা পাবেন আসল রোহনের।
এ প্রসঙ্গে TV9 বাংলাকে রোহন বললেন, “আসলে ২০১৬ সালে আমি ইউটিউব চ্যানেল খুলেছিলাম। তখন অভিনয়ও করতাম না। তখন কিছু পোস্ট করিনি। ২০২০-র লকডাউনে ভিডিয়ো তৈরি করে পোস্ট করতে শুরু করি। টেলিভিশনের কাজ বড় একঘেয়ে। প্রতিদিন একই কাজ করতে হয়। কিন্তু ইউটিউব চ্যানেলে নিজের মতো করে কিছু করার সুযোগ পাই আমি। বিভিন্ন কমেডি ভিডিয়ো তৈরি করে শেয়ার করি। আর এখন ইউটিউব শর্টস নিয়ে এসেছে। এক মিনিটের কম ভিডিয়ো হলেই শর্টস হয়ে যায়। এতে আমার সুবিধে হয়েছে। অনেক রকম কনটেন্ট নিয়ে কাজ করি, নিজেরই ভাল লাগে।”
ইউটিউবার এখন একটি পেশার নাম। বহু ইউটিউবার বাংলাতে তো বটেই, জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক স্তরেও কাজ করছেন। বহুদিন থেকেই ইউটিউবারদের ফলো করেন রোহন। তাঁর জীবনে অভিনয় প্রায়োরিটি। কিন্তু ইউটিউবে নিজের মতো করে কনটেন্ট তৈরি করতে স্বচ্ছন্দ বোধ করেন তিনি। তাই কাজের ফাঁকে এটা একরকম নেশা হয়ে গিয়েছে। বাংলায় পছন্দের ইউটিউবার কে? হেসে রোহন বললেন, “ওয়ান্ডার মুন্না। ওঁর কাজ আমার ভাল লাগে। আমি ফলো করি।”
২০২১-এর পুজোতে রোহনের মনে ছিল বিষাদের সুর। বিষাদের ব্যথা তাঁর পরিবারেও। কয়েক মাস আগেই বাবাকে হারিয়েছেন তিনি। রোহনের বাবা পেশায় ছিলেন পুরোহিত। দমদমে তাঁদের বাড়ি। দমদমের বেদিয়াপাড়া অঞ্চলের একটি পুজো মন্ডপে প্রতি বছর পুজো করতেন রোহনের বাবা। অভিনেতার পুজোর স্মৃতিতে ছোট থেকেই যা মিলেমিশে একাকার হয়েছিল। এই বছর থেকে বদলে গিয়েছে পুজো। বাবা চলে যাওয়ার পর মাকে আগলে রাখার দায়িত্ব এখন রোহনেরই। তাই মনখারাপ হলেও মায়ের সামনে তা বুঝতে দিতে চান না তিনি।
‘অপরাজিতা অপু’ ধারাবাহিকে এই মুহূর্তে রোহনের অভিনয় দেখছেন দর্শক। কয়েক মাস আগে ১০০ পর্বের মাইলস্টোন পেরিয়ে গিয়েছে এই ধারাবাহিক। সেটে কেক কেটে সেলিব্রেট করেছিলেন কলাকুশলীরা। এই সাফল্য আসলে গোটা টিমের। ক্যামেরার সামনে যাঁরা রয়েছেন, তাঁরা তো বটেই, ক্যামেরার পিছনের সদস্যদের অক্লান্ত পরিশ্রম ছাড়া এই সাফল্য সম্ভব ছিল না বলেই মনে করেন সকলে। একদিকে বাড়ির বয়স্কা সদস্যের অকারণ জেদ, অহেতুক যুক্তি, অন্যদিকে সমস্ত অন্যায়ের সামনে মাথা না ঝোঁকানো অপুর লড়াই মুগ্ধ করেছে টেলি দর্শককে। সমস্ত প্রতিকূলতা পেরিয়ে শেষ পর্যন্ত অপুর যাত্রা কোথায় শেষ হয়, তা দেখার জন্য অপেক্ষা করবেন তাঁরা। অজান্তেই যেন অপুর পক্ষ নিয়েছেন দর্শক। এতটাই ভালবাসা দিয়েছেন এই টিমকে। তাই সর্বোপরি দর্শককে ধন্যবাদ জানিয়েছে গোটা টিম।
আরও পড়ুন, Satakshi Nandy: হিন্দি ছবিতে ‘বিরহী’র ‘রাধা’, কেমন অভিজ্ঞতা, জানালেন শতাক্ষী