Sonamoni Saha: মানুষ ওটিটিতে সিরিয়াল দেখছেন বলে টিআরপি বাড়ে না: সোনামণি ‘রাধিকা’ সাহা
Bengali Serial: 'রাধিকা হয়ে ওঠা' সোনামণি কতখানি রাধিকার মতো? জানালেন, ওটিটি প্ল্যাটফর্মে আগেই মানুষ এপিসোড দেখে নিচ্ছেন বলে কিছুতেই টিআরপিতে জায়গা করতে পারছে না 'এক্কা দোক্কা'।
স্নেহা সেনগুপ্ত
বাংলা সিরিয়াল জগতের জনপ্রিয় মুখ তিনি। জীবনের প্রথম ধারাবাহিক ‘দেবী চৌধুরানী’। ডাকাত-রানি প্রফুল্লের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন মালদার মেয়ে সোনামণি সাহা। তারপর কেরিয়ারে আসে ‘মোহর’ সিরিয়ালটি। টিআরপিতে এক নম্বর জায়গা দখল করে রেখেছিল ‘মোহর’। এখন তিনি ‘এক্কা দোক্কা’ ধারাবাহিকের রাধিকা। ধারাবাহিক শীর্ষ স্থানে নেই ঠিকই, কিন্তু রাধিকা-পোখরাজের (সিরিয়ালের নায়ক-নায়িকা। পোখরাজের চরিত্রে অভিনেতা সপ্তর্ষি মৌলিক) রসায়ন নিয়ে হইচই সর্বত্র। এই সিরিয়ালে রাধিকা খুবই স্পষ্টবাদী, উচিত কথা বলা মানুষ। কাউকেই ডরায় না সে। কিডনি পাচার-কাণ্ডে মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসানো হয়েছে তাঁর বাবা কুশল মজুমদারকে। তাঁকে বাঁচাতে নিজে চোর অপবাদ নিয়ে পোখরাজের জীবন থেকে বিদায় নিয়েছে রাধিকা। কিন্তু সত্যিটা কিছুতেই স্বীকার করেনি, পাছে বাবার ক্ষতি হয়। এ হেন ‘রাধিকা হয়ে ওঠা’ সোনামণি কতখানি রাধিকার মতো? জানালেন, ওটিটি প্ল্যাটফর্মে আগেই মানুষ এপিসোড দেখে নিচ্ছেন বলে কিছুতেই টিআরপিতে জায়গা করতে পারছে না ‘এক্কা দোক্কা’।
সোনামণি ‘রাধিকা’ সাহার সঙ্গে TV9 বাংলার কথোপকথন:
প্রশ্ন: রাধিকার সঙ্গে সোনামণির কতখানি মিল?
সোনামণি: আমি যতগুলো চরিত্রে অভিনয় করেছি এ পর্যন্ত, সবক’টার সঙ্গে সোনামণির একটাই মিল: সে সাহসী। তবে রাধিকা যে রকম স্পষ্টবক্তা, সময়ে বুদ্ধি ব্যবহার করতে জানে, সোনামণি সেটা পারে না এক্কেবারে।
প্রশ্ন: সিরিয়াসলি!
সোনামণি: একদম…
প্রশ্ন: এর জন্য কতখানি আক্ষেপ?
সোনামণি: ধরুন কোনও ঘটনা ঘটে গেল, আমি কিছুতেই উচিত কথাটা বলতে পারি না সঙ্গে-সঙ্গে। পরে মনে হতে থাকে, বলে দিলেই ভাল হত হয়তো। রাধিকা কিন্তু চুপ করে থাকে না। ওর উপস্থিত বুদ্ধিটা আছে। ও প্রতিবাদ করতে পারে। উচিত কথা বলতে পারে।
প্রশ্ন: রাধিকার থেকে কী-কী শিখলেন সোনামণি?
সোনামণি: উপস্থিত বুদ্ধি ব্যবহার করতে শিখছে সোনামণি। কিন্তু এখনও পেরে ওঠেনি।
প্রশ্ন: সপ্তর্ষি এবং আপনার কেমিস্ট্রি নিয়ে কী বলবেন?
সোনামণি: আমাদের কেমিস্ট্রিটা সত্যিই খুব অন্যরকম। একটা অন্যরকম ফ্লেভার আছে। অনেকেই বলছেন সে কথা। আমাদেরও তাই-ই মনে হচ্ছে।
প্রশ্ন: চন্দন সেন সম্পর্কে কী বলবেন? তিনি তো আপনার বাবার চরিত্রে…
সোনামণি: দারুণ করছেন। তিনি যখন ফ্লোরে অভিনয় করেন, আমরা ছোটরা মুগ্ধ হয়ে তাঁর দিকে তাকিয়ে থাকি। বিশেষ করে ইমোশনাল কোনও সিন হলে তো কথাই নেই।
প্রশ্ন: সৎ মানুষের চরিত্র…
সোনামণি: কথাবার্তা, বডি ল্যাঙ্গুয়েজে সেটা কিন্তু ধরা পরে চন্দনদার ক্ষেত্রে। কোনও-কোনও ক্ষেত্রে সংলাপও বলেন না। স্রেফ তাকানোতেই বুঝিয়ে দেন।
প্রশ্ন: সিরিয়াল টিআরপিতে জায়গা পাচ্ছে না দেখে মন খারাপ হয়?
সোনামণি: আমার মনে হয় বেশির ভাগ মানুষ হটস্টারে (ওটিটি প্ল্যাটফর্ম) দেখে ফেলেন বলেই গন্ডগোল হচ্ছে। তার মধ্যে অনেক ক্ষেত্রে এটা-সেটার সঙ্গে হটস্টার বিনাপয়সায় পাওয়া যায়। জ়ি-এর ক্ষেত্রে কিন্তু সেটা হয় না। ওটা রিচার্জ করতে গেলে হেভি অ্যামাউন্ট খরচ করতে হয়। তাই উপায় না পেয়ে অনেকে টিভিতেই দেখেন সিরিয়াল। আর আমরা টিআরপির কাউন্টিংয়ে পিছিয়ে থাকি।
প্রশ্ন: তাতেও তো জয়। কারণ মানুষ আগে-আগে হটস্টারেই দেখে নিচ্ছেন… তর সইতে পারছেন না। ভাল কাজ হলে তো তাই-ই হয়?
সোনামণি: সেটাই তো। কিন্তু টিআরপিতে কাউন্ট হচ্ছে না।
প্রশ্ন: টিআরপি নিয়ে কতখানি চিন্তিত আপনি?
সোনামণি: চিন্তিত নই। কিন্তু স্টারের ব্যবসা তো টিআরপি থেকেই। সে ক্ষেত্রে টিআরপিতে একটু প্রভাব পড়ে। আমাদের শিল্পীদের সেটা নিয়েই চিন্তা বাড়ে।