Sudipta Chakraborty: করোনার পরে বাংলা ছবিতে হাউজফুল আমাদের কাছে বড় ব্যাপার: সুদীপ্তা চক্রবর্তী
Sudipta Chakraborty: আতিউল ইসলাম পরিচালিত এই ছবি সুদীপ্তার কেরিয়ারের ১৫ নম্বর ছবি। তিনি শিশু শিল্পী হিসেবে কেরিয়ার শুরু করেন। একের পর এক জনপ্রিয় ধারাবাহিকে মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করেছেন।
সুদীপ্তা চক্রবর্তী। টেলিভিশনের অত্যন্ত জনপ্রিয় অভিনেত্রী। পাশাপাশি বড় পর্দাতেও দেখা যায় তাঁকে। সদ্য মুক্তি পেল সুদীপ্তা অভিনীত ছবি ‘কিশলয়’। প্রায় দুই বছর পর সিনেমাহলে ছবি মুক্তি পাওয়াও দারুণ খুশি তিনি। এতদিন পরে যেন বন্দি দশার মুক্তি ঘটল। এমনটাই মনে হয়েছে অভিনেত্রীর। নিজের সেই ভাল লাগা TV9 বাংলার সঙ্গে ভাগ করে নিলেন তিনি।
সুদীপ্তা বললেন, “কিশলয় বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে ছবি। করোনার জন্য এতদিন বাড়িতে বন্দি ছিল ছোটরা। মোবাইল বা ল্যাপটপই ছিল তাদেক জীবন। তার মধ্যে যদি মা, বাবার সম্পর্ক ঠিক না থাকে, বা বাচ্চার সঙ্গে বাবা, মা যদি বন্ধুর মতো না আচরণ করেন, বাচ্চারা যদি সেটা দেখে তা হলে ডিপ্রেশনে চলে যায়। তা থেকে অনেক ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে নেয়। এমন সিদ্ধান্ত যার সমাধানের উপায় থাকে না।”
আতিউল ইসলাম পরিচালিত এই ছবি সুদীপ্তার কেরিয়ারের ১৫ নম্বর ছবি। তিনি শিশু শিল্পী হিসেবে কেরিয়ার শুরু করেন। একের পর এক জনপ্রিয় ধারাবাহিকে মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করেছেন। আপাতত কালার্স বাংলায় ‘ত্রিশূল’ ধারাবাহিকে তাঁর অভিনয় দেখছেন দর্শক। তিনি জানালেন, বাবই সেনের ছবি ‘শিউলির ৯০ শতাংশ কাজ শেষ করে ফেলেছেন। সম্ভবত পরের বছর তা মুক্তি পাবে। প্রান্তিক বন্দ্যোপাধ্যায় পরিচালিত ‘মহাযোগী লোকনাথ’ ছবিটিও রয়েছে তাঁর হাতে।
এতদিন পরে সিনেমাহলে গিয়ে উচ্ছ্বসিত সুদীপ্তা। তিনি বললেন, “তিন, চারটে হল গতকালই হাউজফুল ছিল। করোনার পরে বাংলা ছবিতে হাউজফুল যাচ্ছে, এটা আমাদের কাছে অনেক বড় ব্যাপার। সবাই খুব খুশি। দু-বছর যেভাবে আটকে গিয়েছিলাম, হলে বসে ছবি দেখার মজাটা মিস করছিলাম। আবার সেটা ফেরত পেয়ে খুব ভাল লাগছিল। বন্দি জীবন থেকে মুক্তি পেলাম মনে হচ্ছে।”
বাংলা টেলিভিশনে মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করলে অন্য কোনও কাজের জন্য সময় বের করা বেশ কঠিন। তা মেনে নিলেন সুদীপ্তা। একইসঙ্গে ধন্যবাদ জানালেন প্রযোজককেও। তাঁর কথায়, “এই ছবিটা ‘ত্রিশূল’ শুরু হওয়ার আগে শুট করা ছিল। এখন সে ভাবে ছবির জন্য সময় দিতে পারছি না। টেলিভিশনে লিডদের অফ থাকে না। মাসে ২৭ দিনই কাজ করতে হয়। যদিও স্নেহাশিসদা খুব সাপোর্ট করেন। দাদাকে কাজের কথা বললে, দাদা যদি মনে করেন, কোনও ছবি করলে তাঁর অভিনেতার কেরিয়ারে ভাল হবে, তখন দাদা চেষ্টা করেন। সব সময় তো সবটা আমাদের কারও হাতেই থাকে না। তবে স্নেহাশিস চক্রবর্তীকে বিশেষ ধন্যবাদ।”
আরও পড়ুন, Preity Zinta: কোন ছবির মাধ্যমে বলিউডে কামব্যাক করছেন প্রীতি?