শুটিং না থাকলে আমি গদাধরের সঙ্গে ক্রিকেট খেলি: অয়ন্যা
অয়ন্যা চট্টোপাধ্যায়। অর্থাৎ 'করুণাময়ী রাণী রাসমণি' ধারাবাহিকের মা সারদা। অয়ন্যার অভিনয় ইতিমধ্যেই তাকে পৌঁছে দিয়েছে দর্শকের ড্রইংরুমে।
অয়ন্যা চট্টোপাধ্যায়। অর্থাৎ ‘করুণাময়ী রাণী রাসমণি’ ধারাবাহিকের মা সারদা। অয়ন্যার অভিনয় ইতিমধ্যেই তাকে পৌঁছে দিয়েছে দর্শকের ড্রইংরুমে। কিন্তু প্রথাগত সাক্ষাৎকারে এখনও অভ্যস্ত নয়। বরং উল্টো দিকের পেশাদারের সঙ্গে গল্প করতে বললে, রাজি। অয়ন্যাকে প্রথমে যখন ফোন করা হয়, শুটিং শেষে সে তখন মেক-আপ তুলতে ব্যস্ত। ঠিক আধঘণ্টা পর মায়ের মোবাইল কানে নিয়ে গাড়িতে বসে আড্ডা শুরু করল আট বছরের শিল্পী, দ্বিতীয় শ্রেণীর পড়ুয়া…
হ্যালো…
হ্যাঁ, বলো।
কেমন আছ অয়ন্যা?
ভাল আছি। এখন বাড়ি যাচ্ছি। গিয়ে একটু শোব…
আরও পড়ুন, অভিষেক বচ্চনের কোন কোন সিক্রেট শেয়ার করল ইনায়ৎ?
ওহ! বেশ.. কথা বলতে পারি এখন?
কী কথা?
তোমার শুটিংয়ের কথা…
ও, শুটিংয়ের গল্প। বলো…
তুমি বলো, কেমন লাগছে শুটিং করতে?
ভাল লাগছে। আসলে শুটিং করতে খুবই ভাল লাগছে (হাসি)।
এর আগে কখনও অভিনয় করেছ?
একটা বিজ্ঞাপনে অভিনয় করেছিলাম।
আরও পড়ুন, তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের ‘ফিরকি’তে টোপ হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে: আর্যা
তুমি কার ভূমিকায় অভিনয় করছো, জানো?
হ্যাঁ, সারদা মা।
উনি কে ?
মা, উনি মা।
পর্দার বাইরে গদাধর এবং সারদামণি।
তুমি নাকি ছোট থেকেই আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে থাকতে ভালবাস?
হ্যাঁ, মা বলে, আমি নাকি ছোটবেলায় আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে বলতাম, আমি শ্রাবন্তী (চট্টোপাধ্যায়) হতে চাই (হাসি)। শ্রাবন্তী আর আবির (চট্টোপাধ্যায়)-কে আমার খুব ভাল লাগে।
তুমি এখনও শ্রাবন্তী হতে চাও?
হ্যাঁ, শ্রাবন্তী হতে চাই। আর ওদের সঙ্গে দেখা হয়নি কখনও। খুব দেখা করার ইচ্ছা, দেখা করতে চাই (হালকা বায়নার সুর)।
আরও পড়ুন, পুলিশের চরিত্রের কস্টিউম করা চ্যালেঞ্জিং, ‘দিল্লি ক্রাইম’-এর কস্টিউম ডিজাইনার স্মৃতি চৌহান
শুটিংয়ে তো শাড়ি পরতে হচ্ছে, অসুবিধে হচ্ছে না?
না। শাড়ি পরে অসুবিধে হচ্ছে না। আমি তো সরস্বতী পুজোর দিন শাড়িই পরি।
বেশ। শুটিং যখন থাকে না, সেটে কী কর?
ক্রিকেট খেলি, অন্যদের শুটিং দেখি, গল্প করি।
অয়ন্যার ফটোশুট।
ক্রিকেট কার সঙ্গে খেলো?
গদাধরের সঙ্গে ক্রিকেট খেলি। ওর পরিবারের সঙ্গেও খেলি।
গদাধরকে অফ ক্যামেরা কী বলে ডাক?
সৌরভদা বলে ডাকি। আর ওদের সঙ্গেই গল্প করি।
আর বাড়িতে পড়াশোনা না থাকলে কী করতে ভাল লাগে?
গেম খেলতে ভাল লাগে। কালারিং গেম। আবার গানও শুনি, টিভিও দেখি। একটু-একটু ফোন দেখি, আবার খেলি।
আরও পড়ুন, মিথিলা এবার ‘রাজনীতিবিদ’, কিন্তু কোথায়?
বাড়িতেও কী ক্রিকেট?
না, ফুটবল খেলি মাঝে-মাঝে। কখনও বসে-বসে পুতুল নিয়ে খেলি।
এখন তো অনলাইনে ক্লাস হচ্ছে, বন্ধুদের সঙ্গে দেখা হচ্ছে না বলে মন খারাপ লাগে?
একটু মন খারাপ। তবে আমার বেস্ট ফ্রেন্ড দেবত্রী মিত্র। ওর সঙ্গে মাঝে-মাঝে কথা হয়।
মায়ের সঙ্গে অয়ন্যা।
তোমাকে স্কুলের সকলে টিভিতে দেখে কী বললেন?
খুব ভাল বলেছে টিচাররা। বলেছে কনগ্র্যাচুলেশনস।
তুমি নিজেকে টিভিতে দেখেছ?
হ্যাঁ, রোজই দেখি।
কেমন লাগছে নিজেকে?
আমার তো বাবা, ভালই লাগছে।
আরও পড়ুন, নেপথ্যের কারিগররা কি আড়ালেই থাকবেন? হেয়ার স্টাইলিস্টের মৃত্যুতে ফের উঠল প্রশ্ন