এখনই কাজ শুরু না হওয়া সকলের স্বাস্থ্যের জন্যই ভাল, বললেন ‘রাসমণি’র ‘রামকৃষ্ণ’
রাসমণির পরেই ‘করুণাময়ী রানি রাসমণি’ ধারাবাহিকের অন্যতম মুখ্য চরিত্র রামকৃষ্ণ দেবের। সে চরিত্রে অভিনয় করছেন সৌরভ সাহা।
জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘করুণাময়ী রানি রাসমণি’ কি শেষের পথে? দীর্ঘদিন সফল ভাবে দর্শকের মনোরঞ্জন করার পর এ বার গল্পের শেষ পাতা এগিয়ে এল? এ প্রশ্ন ঘুরছে বিভিন্ন মহলে। এই ধারাবাহিকের মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করছেন দিতিপ্রিয়া রায়। তিনি আগেই জানিয়েছেন, তাঁর চরিত্র শেষ হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু ধারাবাহিকের জনপ্রিয়তার কথা মাথায় রেখে রাসমণির মৃত্যুর পরেও তা এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ভাবনা রয়েছে বলেই সংশ্লিষ্ট মহলের খবর।
রাসমণির পরেই এই ধারাবাহিকের অন্যতম মুখ্য চরিত্র রামকৃষ্ণ দেবের। সে চরিত্রে অভিনয় করছেন সৌরভ সাহা। এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “ধারাবাহিক আরও চলবে কি না, সেটা চ্যানেল কর্তৃপক্ষ বলবেন। তবে আমার তো কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা হয়। আমরা ফ্রিল্যান্সার। অন্য কাজ শুরু করব কি না, সেটা জানতে হয়। আমাকে এখনই অন্য কাজের ভাবনাচিন্তা করতে বলা হয়নি। তবে আলটিমেট দর্শক। ধারাবাহিক কতদিন চলবে তা নির্ভর করবে দর্শকের কাছে এই চরিত্রগুলোর গ্রহণোগ্যতা কতটা, তার উপর।”
সৌরভ আরও জানালেন, রামকৃষ্ণের জীবনের কিছুটা অংশ ইতিমধ্যেই দেখানো হয়েছে। নির্মাতাদের বাকি অংশ দেখানোর পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানালেন তিনি। তাঁর কথায়, “ঠাকুরের জীবনের একটা অধ্যায় পর্যন্ত দেখানো হয়েছে। নিজের চেষ্টায় বা নিজের আকুতিতে মায়ের সন্ধান পেয়েছিলেন তিনি। তার পরবর্তী ভাগটা শুরু হয়, যখন ঠাকুর শিক্ষিত হয়েছিলেন নানা ভাবে। ভৈরবী মা, তোতাপুরী, আরও অনেকের সংস্পর্শে শিক্ষা লাভ হয়েছিল। ওই ভাবটা এখনও পুরোটা দেখানো বাকি। যেটা দেখানো যেতে পারে। সেটাই নির্মাতাদের ইচ্ছে রয়েছে।”
লকডাউনের কারণে আপাতত শুটিং বন্ধ। কবে ফের শুটিং শুরু হবে, সে বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও খবর পাননি বলেই জানালেন সৌরভ। তবে তিনি লকডাউনের পক্ষেই সওয়াল করলেন। তাঁর মতে, “এটা আমার ব্যক্তিগত মত। প্রত্যেকের দৃষ্টিভঙ্গী বা প্রয়োজন আলাদা। আমার বাবা একজিসটিং কাউন্সিলার (খড়দহ পুরসভার অন্যতম প্রবীণ কাউন্সিলার)। কিন্তু টার্ম ওভার হয়ে গিয়েছে। ফলে পারিবারিক সূত্রে মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ বেশি। খবর আসে বেশি। পরিস্থিতি এখনও ভাল নয়। এখনও তেমন পরিস্থিতি নয়, যেখানে অভিনয়ের মতো কাজ মুখে মাস্ক না পরে আমরা করতে পারি। সেই সময়টা এখনও আসেনি। যার যাচ্ছে সেই বুঝতে পারছে। এখনই কাজ শুরু না হওয়া সকলের স্বাস্থ্যের জন্যই ভাল। তাহলে ভবিষ্যতে সকলে মিলে ভালভাবে কাজ করতে পারব।”
আরও পড়ুন, জটিল রোগে আক্রান্ত এক শিশুর জন্য সাহায্যের আবেদন শিল্পার