বন্ধুরা না থাকলে আমরা করোনা থেকে হয়তো সুস্থ হতে পারতাম না: শ্রীমা ভট্টাচার্য
‘বেদের মেয়ে জ্যোৎস্না’ ধারাবাহিকে শেষ কাজ করেছেন শ্রীমা। লকডাউনের আগে টেলিভিশনের একটি অফার ছিল তাঁর কাছে।
সপরিবার করোনা (Covid 19) আক্রান্ত হয়েছিলেন অভিনেত্রী (Actress) শ্রীমা ভট্টাচার্য (Shreema Bhattacherjee)। দমদমের বাড়িতে বাবা, মা এবং ভাইয়ের সঙ্গে থাকেন শ্রীমা। তাঁরা চারজনেই আক্রান্ত হয়েছিলেন। ১৮-১৯ দিন পরে এখন সকলেই ভাল আছেন। আগের থেকে অনেকটা সুস্থ হলেও দুর্বলতা এখনও রয়েছে। তবে এই কয়েকদিনে বন্ধুরা যে ভাবে পাশে ছিলেন, তাতে কৃতজ্ঞ অভিনেত্রী।
শ্রীমার কথায়, “আমাদের বাড়ির চার জনেরই একসঙ্গে করোনা হয়েছিল। ফলে একজন অসুস্থ বলে বাকিরা সাহায্য করতে পারবে, এমন পরিস্থিতি ছিল না। মায়ের পেটের প্রবলেম সাংঘাতিক ছিল। বিছানা থেকেই উঠতে পারেনি। আমার ছোটবেলার পাড়ার বন্ধুরা প্রতিদিন যা প্রয়োজন পৌঁছে দিয়েছে বাড়িতে। ওরা না থাকলে আমরা হয়তো এত তাড়াতাড়ি সুস্থ হতে পারতাম না।”
অভিনেত্রী আরও জানালেন, প্রথমে বিভিন্ন কোভিড রিলিফের জায়গা থেকে তাঁরা খাবার নিয়ে আসার পরিকল্পনা করেছিলেন। পরে বাড়ির খাবার খাওয়াটাই ঠিক মনে করেন। বাবা-মেয়ে দু’জনে মিলে রান্নার দায়িত্ব নিয়েছিলেন। “আগুনের সামনে বেশিক্ষণ থাকলে শরীর ছেড়ে দেয়। আমি আর বাবা ভাগ করে রান্না করেছি। সবজি সেদ্ধ, চিকেন সেদ্ধর মতো অল্প কিছুই করতাম”, বললেন শ্রীমা।
করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর লড়াই নেহাত সহজ ছিল না বলে মনে করেন শ্রীমা। তিনি জানালেন, পাড়ার বন্ধুদের পাশাপাশি ইন্ডাস্ট্রির বন্ধুরাও নিয়মিত ফোনে খোঁজ নিয়েছেন। সাহস দিয়েছেন তাঁদের। অনলাইনে চিকিৎসকরা ক্রমাগত পরামর্শ দিয়ে সাহায্য করেছেন। শ্রীমা শেয়ার করলেন, “সত্যি খারাপ সময় গিয়েছে। তবে এই সময়টা আমাদের সকলকে স্ট্রং করেছে। এখন মনে হয়, যে কোনও সিচুয়েশন লড়ে নিতে পারব। একসঙ্গে থাকলে সব পারব।”
‘বেদের মেয়ে জ্যোৎস্না’ ধারাবাহিকে শেষ কাজ করেছেন শ্রীমা। লকডাউনের আগে টেলিভিশনের একটি অফার ছিল তাঁর কাছে। কিন্তু তাঁর কথায়, “ওই চরিত্রের জন্য আমি প্রস্তুত নই বলে মনে হয়েছিল। তাই অফারটা অ্যাকসেপ্ট করিনি। একটা ওয়েবের কথা হয়ে রয়েছে। আউটডোর শুটিং। তাই লকডাউন না মিটলে শুরু হবে না।” এ ছাড়াও টেলিভিশনের জন্য তৈরি অরিজিনাল একটি ছবির অফারও পেয়েছেন শ্রীমা। তবে তার লুক সেট এখনও হয়নি বলেই জানালেন।
আরও পড়ুন, সুস্মিতার পরিবারে আসছে নতুন সদস্য, মা হচ্ছেন ভাইয়ের স্ত্রী চারু