Sudipa Chatterjee: ‘দারোয়ান নাকি…’, ডেলিভারি বয়দের অপমানের অভিযোগ, সুদীপাকে ঘিরে জনরোষ তুঙ্গে
Sudipa Chatterjee: ফের একবার সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রোলের মুখে পড়তে হল সঞ্চালিকা সুদীপা চট্টোপাধ্যায়কে। দেমাগি, অহংকারী ইত্যাদি নানা বিশেষণে তাঁকে কার্যত তুলোধনা নেটমাধ্যমের একটা বড় অংশের।
ফের একবার সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রোলের মুখে পড়তে হল সঞ্চালিকা সুদীপা চট্টোপাধ্যায়কে। দেমাগি, অহংকারী ইত্যাদি নানা বিশেষণে তাঁকে কার্যত তুলোধনা নেটমাধ্যমের একটা বড় অংশের। টিভিনাইন বাংলার কাছে মুখ খুলেছেন সুদীপা। জানিয়েছেন তাঁর বক্তব্যও। বিতর্কের সূত্রপাত মধ্যরাতে সঞ্চালিকার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে করা একটি পোস্টকে ঘিরেই। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ ডেলিভারি বয়দের অপমান করেছেন তিনি। শুধু ডেলিভারি বয়-ই তাঁর বিরুদ্ধে রয়েছে দ্বাররক্ষীদের অবহেলা করার অভিযোগও। ঠিক কী লিখেছিলেন সুদীপা?
এক খাবার সরবরাহকারী সংস্থাকে উল্লেখ করে সুদীপা লেখেন, “আমি শুধু জানতে চাই একজন ডেলিভারি বয়ও ফোন না করে কেন গন্তব্যে পৌঁছতে পারে না? ফোন করে কেন বলেন, ‘আমি আসছি আপনি গেটটা খুলুন।’ এত অবধি ঠিকই ছিল নেটিজেনদের অসন্তোষ তাঁর পোস্টের শেষ লাইনটিকে কেন্দ্র করেই। সুদীপা আরও লেখেন, “আমি কি দারোয়ান, যে গেট খুলব?” আর এতেই রীতিমতো চটে যান নেটিজেনদের একটা বড় অংশ। তাঁরা সুদীপাকে মনে করিয়ে দেন, অনেক সময়েই জিপিএসের সমস্যার কারণেই ওই সব খাবার সরবরাহকারী ব্যক্তিরা গ্রাহকদের ফোন করেন, এ তাঁদের কাজের অংশ। অনেকেই আবার সুদীপাকে পাল্টা জিজ্ঞাসা করেন, নিজের বাড়ি দরজা খোলা মানেই সে দারোয়ান হয়ে যাওয়া? আর দ্বাররক্ষী কি সত্যিই সবার পক্ষে নিয়োগ করে সম্ভব?
কমেন্টে লেখা হয়, “ভরা বর্ষার দিনে বা কাঠফাটা রোদ্দুরে… সময় মতো আপনাদের মতো কিছু মেমসাহেবদের খাবার পৌঁছে দিতে না পারলে ওদের হয়তো একবেলা খাবারটাই অনিশ্চিত হয়ে পড়ে। একটু সহনশীল হোন। সেলেব রাও মানুষ হয় সেটা প্রমাণ করুণ।” কমেন্ট এসেছে আরও। জনৈক তরুণী লিখেছেন, “মানুষকে মানুষ ভাবতে শিখুন। …এবার থেকে দারোয়ানে নম্বর থেকে বুক করবেন। আপনাকে আগে অন্য রকম ভাবতাম। এখন কেমন ধারণাটাই পাল্টে যাচ্ছে।”
শুধু জনগণই নয়। প্রতিবাদে সরব হয়েছেন শিল্পী অরিত্র দত্ত বণিকও। তিনি ফেসবুকে সুদীপার পোস্টের স্ক্রিনশট শেয়ার করে লিখেছেন, ” জনপ্রিয় অভিনেত্রী ও সঞ্চালিকা যাকে লক্ষাধিক মানুষ ফলো করেন তার কাছ থেকে এই বক্তব্য একেবারে কাম্য ছিলোনা। তাও উনি পোস্টটা ডিলিট করেছেন তবে মাথায় রাখবেন পোস্ট সরিয়ে নিলেই মন থেকে অহংকারী মানসিকতা সরে যায় না।” টিভিনাইন বাংলার কাছে মুখ খুলেছেন সুদীপা। তাঁর উত্তর, “আগেকার দিন পোস্টমাস্টারদের কাছে জিপিএস, নেভিগেশন থাকত না, তাও তাঁরা বাড়ি খুঁজে ঠিক চলে আসতেন। এখন ‘অ্যাভয়েড কলিং’ লেখা থাকলেও ডেলিভারি বয়েরা ক্রমাগত ফোন করতে থাকেন– সেই কারণেই নেহাত মজা করে একটি পোস্ট করেছিলাম। অপমান কেন করতে যাব? আমার তো তাঁদের সঙ্গে কোনও শত্রুতা নেই। মানুষ এখন আর্থ সামাজিক কারণে এমন এক সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে যে সামান্য মজা নিতেও ভুলে যাচ্ছে সে। অমিতাভ বচ্চনও ট্রোল্ড হচ্ছেন সেখানে আমি কে? ”
প্রসঙ্গত, তাঁর ফেসবুকে সেই পোস্টটি আর দেখা যাচ্ছে না। তিনি সেটি মুছে দিয়েছেন। যদিও স্ক্রিনশট ভাইরাল হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।