‘অপরাজিতা অপু’র দেশের বাড়ি বেলগাছিয়ায়? ব্যাপারটা কী?
Aparajita Apu: চিত্রনাট্য অনুযায়ী দেশের বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছে গোটা পরিবার। আর সেই শুটিং আপাতত চলছে বেলগাছিয়া রাজবাড়িতে।
অপুকে আপনি চেনেন তো? না, বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় বা সত্যজিৎ রায়ের অপুর কথা হচ্ছে না। এই অপু অপরাজিতা।
ঠিক ধরেছেন, টেলিভিশনের পর্দায় ‘অপরাজিতা অপু’ ধারাবাহিকের কথাই বলা হচ্ছে। আপনি যদি নিয়মিত ধারাবাহিকের দর্শক হন, তাহলে অপুকে নিশ্চয়ই চেনেন। এ হেন অপু পেরিয়ে এসেছেন বেশ কিছুটা পথ। চিত্রনাট্য অনুযায়ী দেশের বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছে গোটা পরিবার। আর সেই শুটিং আপাতত চলছে বেলগাছিয়া রাজবাড়িতে।
View this post on Instagram
‘অপরাজিতা অপু’তে অভিনয় করছেন রোহন ভট্টাচার্য। রাজবাড়ির অন্দরে তৈরি মেকআপ রুমে বসে তিনি বললেন, “২০০ বছরের পুরনো বাড়িতে এসে রিয়েল লোকেশন শুট করছি। আমরা তো মজা করছি, আপনারও যাতে টিভিতে দেখে মজা নিতে পারেন, সে চেষ্টা করছি। এই রাজবাড়ির থাম, সিলিং, এত ঐতিহ্য রয়েছে, সেটা আজও দেখে বোঝা যাচ্ছে। যখন বাড়িটা তৈরি হয়েছিল আমরা কেউ জন্মাইনি। এখনও বাড়িটা সুন্দর ভাবে মেনটেন করা হয়েছে।”
View this post on Instagram
ধারাবাহিকের অপু অর্থাৎ অভিনেত্রী সুস্মিতা শুটিং সেট থেকে বললেন, “এখন রাজবাড়িতে শুটিং করছি। আমার পুরনো জায়গা ভীষণ ভাল লাগে। প্রথম দিনই অনেকটা জায়গা ঘুরে নিয়েছি। গল্পে দেখানো হচ্ছে দেশের বাড়িতে ঘুরতে এসেছি। দেশে কী হবে, মানে কী ঘটনা ঘটবে সেটা জানার জন্য চোখ রাখতে হবে আপনাদের। এখানে এসেই এই রাজবাড়ির গল্পটাও গুগলে পড়ে ফেলেছি। আমার আসলে আগ্রহ রয়েছে এ সবে। থিয়েটার হিস্ট্রি জানলাম। প্রচুর ঘর আছে এই বাড়িতে। সব মিলিয়ে ৫৪টা ঘর। যদিও সব কটা খোলা নেই। এখানেই হয়তো কিছু ঘটনা ঘটবে, দেখা যাক…।”
View this post on Instagram
সাধারণত এনটিওয়ান স্টুডিওতে শুটিং করে গোটা টিম। আপাতত আউটডোর চলছে। টিআরপির তালিকাতেও ভাল পারফর্ম করছে এই ধারাবাহিক। জুটি হিসেবে রোহন এবং সুস্মিতাকেও পছন্দ করেছেন দর্শক। শুটিংয়ের ফাঁকে বেলগাছিয়া রাজবাড়িতে প্রচুর ফটোশুট, রিল ভিডিয়ো তৈরি করেছেন বলে জানালেন সুস্মিতা। সোশ্যাল মিডিয়ায় রোহন এবং সুস্মিতা দুজনেই অ্যাকটিভ। তাই ট্রেন্ড তো তাঁরা ফলো করবেনই।
View this post on Instagram
কয়েক মাস আগে ১০০ পর্বের মাইলস্টোন পেরিয়ে গিয়েছে এই ধারাবাহিক। সেটে কেক কেটে সেলিব্রেট করেছিলেন কলাকুশলীরা। এই সাফল্য আসলে গোটা টিমের। ক্যামেরার সামনে যাঁরা রয়েছেন, তাঁরা তো বটেই, ক্যামেরার পিছনের সদস্যদের অক্লান্ত পরিশ্রম ছাড়া এই সাফল্য সম্ভব ছিল না বলেই মনে করেন সকলে। একদিকে বাড়ির বয়স্কা সদস্যের অকারণ জেদ, অহেতুক যুক্তি, অন্যদিকে সমস্ত অন্যায়ের সামনে মাথা না ঝোঁকানো অপুর লড়াই মুগ্ধ করেছে টেলি দর্শককে। সমস্ত প্রতিকূলতা পেরিয়ে শেষ পর্যন্ত অপুর যাত্রা কোথায় শেষ হয়, তা দেখার জন্য অপেক্ষা করবেন তাঁরা। অজান্তেই যেন অপুর পক্ষ নিয়েছেন দর্শক। এতটাই ভালবাসা দিয়েছেন এই টিমকে। তাই সর্বোপরি দর্শককে ধন্যবাদ জানিয়েছে গোটা টিম।
আরও পড়ুন, সদ্য প্রয়াত সুরেখা শিকরির শেষ ছবি মুক্তি পাবে ওয়েব প্ল্যাটফর্মে