কপালে লাল টিপ, পরনে শাড়ি, খোলা চুল বাড়ির লক্ষ্মী মেয়ে তিনি। কোজাগরী লক্ষ্মী পুজোর দিন লক্ষ্মী সাজে ধরা দিলেন অভিনেত্রী শ্রুতি দাস। প্রতি বছরের পুজো থেকে এই বছরের পুজোটা শ্রুতির কাছে অনেকটাই আলাদা। কারণ এই বছরের পুজোর গোটা সময়টাই নিজের ভালবাসার মানুষদের মানুষের সঙ্গে কাটিয়েছেন অভিনেত্রী। লক্ষ্মী পুজোর ক্ষেত্রেও তার অন্যথা হল না।
টেলিভিশনের জনপ্রিয় পরিচালক স্বর্ণেন্দু সমাদ্দার। তাঁর বাড়িতে দুর্গাপুজো থেকে লক্ষ্মীপুজো সব পুজোই ধুমধাম করে হয়। আর স্বর্নেন্দুর পুজো তো শ্রুতি ছাড়া অসম্পূর্ণ। আর পুজোতে শ্রুতিও যে ওতোপ্রতো ভাবে জড়িত তা তো ছবিতেই স্পষ্ট। বাড়ির গিন্নির মতো সামলালেন সমস্ত রকম দায়িত্ব। ধারাবাহিকের শুটিংয়ে খুবই ব্যস্ত শ্রুতি। অন্যদিকে স্বর্ণেন্দুও।
যদিও লক্ষ্মী পুজোর দিনও শুটিং থাকার কথা ছিল কিন্তু না থাকায় বেশ খুশিই হয়েছেন শ্রুতি। পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাতে পেরেছেন। লক্ষ্মী পুজো ঠিক কেমনভাবে কাটল? প্রশ্ন করা হলে, শ্রুতির কথায় , “দুর্দান্ত। একদম শেষ মুহূর্তে শুটিং বাতিল হয়। তাই খুব বেশি কাজ করতে পারিনি। তবে পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাতে পেরেছি এটাই আনন্দের। ভোগ রান্না করতে পারিনি কারণ প্রস্তুত ছিলাম না। কিন্তু ভোগে ছিল বাহারি আয়োজন। খিচুরি, পোলাও, ভাজা থেকে পনির কি ছিল না মেন্যুতে।”
২০১৯ তাঁদের প্রথম পুজো। শ্রুতি আর স্বর্ণেন্দুর। দুবছর আগের পুজোটা ছিল তাদের কাছে একদমই অন্যরকম। নতুন সম্পর্ক, নতুন ভালবাসা, নতুন অনুভূতি। সব নতুন যেন মিলে মিশে একাকার। প্রথম পুজোর এক অন্যরকম রোমাঞ্চ ছিল। দুবছর পর তাদের সম্পর্ক এখন অনেকটাই পরিণত। মাঝের বছরটা যদিও করোনা ভয়েই কেটে গিয়েছে। তবে এই বছরটা যেন অনেকটাই অন্যরকম।
সময়ের সঙ্গে স্বর্ণেন্দুর পরিবারও এখন শ্রুতিরই পরিবার হয়ে গিয়েছে। এখন দুটো আলাদা পরিবার নয়, একটাই পরিবার। বন্ধুবান্ধবরাও এক হয়ে গিয়েছে। তবে এত কিছর পরও নিজের দেশের বাড়িকে মিস করছেন অভিনেত্রী। তিনি আরও যোগ করলেন, “দুই পরিবারে সঙ্গে কাটিয়েছি। কিন্তু তবুও যদি একবার কাটোয়া যেতে পারতাম ভাল হতো। বন্ধু–বান্ধব, আত্মীয় পরিজন তো সবাই ওখানেই।” সত্যিই দেশের মাটির টান কি আর ভোলা সম্ভব !
আরও পড়ুন:Tollywood Actress: এক অভিনেত্রীর ছোটবেলার ছবি, কে ইনি, চিনতে পারছেন?
আরও পড়ুন:Hiya Dey: আমার প্রথম ছবি ‘নির্ভয়া’, শুটিংয়ে বেস্ট দেওয়ার চেষ্টা করেছি: হিয়া