TV Inside Gossip: কেন একে-একে অভিনেতারা ছাড়ছেন ‘তারক মেহেতা কা উল্টা চশমা’? অন্দরমহলে অশান্তির খবর ফাঁস
Serial Inside Story: বেশ কিছু চরিত্রের মুখ বদল ঘটেছে অতীতেও। পাল্টেছে হাতিভাই, কিন্তু কিছু চরিত্র রয়েছে যাঁরা এই ধারবাহিকের কর্ণধার। তার মধ্যে তারক মেহেতা, দয়া হল অন্যতম।
দীর্ঘদিন ধরে টিভির পর্দায় রমরমিয়ে চলছে হিন্দি ধারাবাহিক ‘তারক মেহতে কা উল্টা চশমা’।’তারক মেহতে কা উল্টা চশমা’ ধারাবাহিকের জনপ্রিয়তা প্রসঙ্গে আলাদা করে বলার কিছু থাকে না। জেঠালাল থেকে শুরু করে তারক, দয়া, প্রতিটা চরিত্রকে ঘিরে দর্শকমনের আবেগ ভিন্ন-ভিন্ন। এই পরিবারকে ছাড়া যেন এক কথায় অচল বেশ কিছু ভক্ত বা দর্শকদের দৈনন্দিন জীবনও। সকলের সঙ্গে ঠিক এভাবেই আবেগে জড়িয়ে গিয়েছে ‘তারক মেহতে কা উল্টা চশমা’র কলাকুশলিরা। ফলে তাঁদের মুখ পরিবর্তন বা তাঁদের ধারাবাহিকে না থাকাটা এক কথায় কোথাও গিয়ে যেন বেশ মন খারাপের প্রসঙ্গ হয়ে দাঁড়ায়। গত কয়েকবছের একাধিকবার স্টার বদলের সাক্ষী থেকেছে এই ধারাবাহিক। ১৪ বছর পর তারক মেহতা থেকে বিদায় নিয়েছেন বার শৈলেশ লোধা অর্থাৎ খোদ তারক মেহেতা। খবর সামনে আসা মাত্রই তা নেট দুনিয়ায় হয়ে উঠল ভাইরাল।
বেশ কিছু চরিত্রের মুখ বদল ঘটেছে অতীতেও। পাল্টেছে হাতিভাই, কিন্তু কিছু চরিত্র রয়েছে যাঁরা এই ধারবাহিকের কর্ণধার। তার মধ্যে তারক মেহেতা, দয়া হল অন্যতম। আর এই দুইয়ের বদলেই যেন ভক্তমনে প্রশ্নের জোয়ার। কারণ শৈলেশ লোধা এমন এক অভিনেতা যাঁর মাধ্যমেই যোগসূত্রে বাঁধা ছিল এই ধারাবাহিক। অন্যদিকে দয়ার তবে কী কারণে এই সিদ্ধান্ত!
সম্প্রতি দয়ার পরিবর্তন নিয়ে মুখ খোলেন ছবির প্রযোজক অসিত কুমার। সম্প্রতি নিউজ ১৮-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানালেন, দয়া অর্থাৎ দিশা ভাকানি ছেড়ে যাওয়ায় অস্বস্তিতে রয়েছেন তিনি। কথা ছিল দিশা ফিরে আসবেন। অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় শো ছেড়েছিলেন তিনি। কিন্তু লাভের লাভ কিছুই হল না। তিনি পরিবারকে সময় দিতে চান, এই অযুহাতে শো ছাড়ছেন। একের পর এক স্টারেরা ছেড়ে চলে যাচ্ছে শো। কেন? প্রযোজক বলেন, এটা হয়তো বড় কিছু নয়, তবে একটা বড় চ্যালেঞ্জ বটে। অভিনেতারা গল্পকে দর্শকদের মাঝে পৌঁছে দেন।
খবর সামনে উঠে আসছে চ্যালেনের কর্ণধার শৈলেশকে ধরা রাখার সমস্ত চেষ্টাই কেরছিলেন। চেয়েছিলেন পারিশ্রমিক বাড়িয়ে দিতেও। কিন্তু লাভের লাভ কিছুই হয়নি। দিশার ক্ষেত্রেও তাই। প্রযোজক এই মর্মে বলেন, ”একজন অভিনেতা গল্প দর্শকদের কাছে পৌঁছে দেন অভিনয়ের মাধ্যমে। সেই অভিনেতা বদল হলে সমস্যা তো হয়ই। আমি সর্বদাই চেয়েছি সবাই একসঙ্গে থাকুক। এই ধারাবাহিক প্রতিদিন চলে। তাই সপ্তাহে ছয় দিন কাজ করতে হয়। প্রতিদিন আগের থেকে বেশি ভাল কাজ দর্শকদের উপহার দেওয়ার তাগিদ থাকে। যার ফলে ২৪ ঘণ্টা কাজ করতে হয়। কিন্তু অনেকেই তাতে রাজি নন। কেউ কেউ অন্যান্য শোয়ের সঙ্গে যুক্ত। কেউ কেউ নিজের জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগাতে চান। আমি সকলকে বুঝিয়েছি, এতো সহজে দর্শকদের ভালবাসা পাওয়া যায় না। ভবিষ্যতেও হবে না। এর কোনও বিকল্প নেই, কঠোর শ্রম করতে হবে। তাতে কারও সমস্যা হলে আমার আর কি করার আছে। দিশা আমার বোনের মতো। ও ফিরে আসলে তো আর ভাল কিছু হতেই পারে না। তবে ও এখন পরিবারকে সময় দিতে চায়।”