ট্রেনে চেপে বেড়াতে যাওয়ার মজাই আলাদা। সেই মজার সঙ্গে গা ভাসিয়েছি আমরা প্রত্যেকেই। মধ্যবিত্ত পরিবারে একটা সময় প্লেনে চড়ার বিলাসিতা ছিল না। সেই সুযোগও ছিল কম। তাই ট্রেনটাই ছিল দূর পাল্লার যাত্রা পথের একমাত্র বাহন। কিন্তু এখন সুযোগ অনেক বেড়েছে। আগের তুলনায় বিমান সংস্থার সুযোগ সুবিধে এখন অনেক। মধ্যবিত্তের নাগালে চলে এসেছে বিষয়টা। অল্প খরচে কম সময়ে গন্তব্য় পৌঁছে যাওয়া যায় যখন, কেন ট্রেনে চেপে ১২-১৩ ঘণ্টা কিংবা ২৩-২৪ ঘণ্টা নষ্ট করা! কিন্তু তাও কিছু কিছু মানুষ আছেন, যাঁরা ট্রেনের আনন্দকে কিছুতেই মিস করতে চান না। সেই তালিকায় আছেন অভিনেত্রী দেবলীনা কুমার-গৌরব চট্টোপাধ্য়ায় থেকে খুদে শিল্পী আর্শিয়া মুখোপাধ্যায়ও। তাঁদের প্রত্যেকেরই প্রিয় বেড়াতে যাওয়ার প্রিয় জায়গা দার্জিলিং। এবং প্রিয় বেড়াতে যাওয়ার ‘যান’ ট্রেন।
মাস খানেক আগেই বাপের বাড়ির সদস্যদের সঙ্গে দার্জিলিং বেড়াতে গিয়েছিলেন দেবলীনা-গৌরব। গিয়েছিলেন ট্রেনে করেই। সেই যাত্রা কথা ফলাও করে দেবলীনা শেয়ার করেছিলেন সোশ্যাল মিডিয়াতেও। এবার দার্জিলিংয়ে গেলেন ছোট্ট মেয়ে শিশু শিল্পী আর্শিয়া মুখোপাধ্যায়। সেও গিয়েছে ট্রেনেই। চাইলে আনায়াসেই প্লেনে চেপে, বাগডোগরা এয়ারপোর্টে নেমে দার্জিলিং যেতে পারত সেও। কিন্তু তেমনটা করেনি আর্শিয়া ও তার পরিবার। বেড়াতে গিয়েছে ট্রেনেই। গোটা জার্নিটা সেও দারুণ উপভোগ করেছে দেবলীনার মতোই। ছবিও পোস্ট করেছে। ট্রেনে দিদির পাশে বসে তার সঙ্গে খুনসুটি করতেও দেখা গিয়েছে আর্শিয়াকে।
পুজোতে কলকাতায় নেই ‘ভুতু’। সে পাড়ি গিয়েছে ‘খাদের ধারে রেলিংটা’ দেখতে। এমনিতেই স্কুলে অনলাইন ক্লাস করতে করতে বাচ্চাদের অবস্থা কঠিন হয়ে যাচ্ছে। তাই পাহাড়ি পরিবেশে একটু খোলা নিঃশ্বাস নেওয়া আরকী! কয়েক বছর আগে এক ছোট্ট ‘ভূত’ বাংলা টেলিভিশনের পর্দা মাতিয়েছিল – ‘ভুতু’। আর্শিয়া তখন আরও ছোট। অত ছোট বয়সে তার অভিনয় সক্কলের মন ছুঁয়েছিল। আজও তাঁকে কেউ ভোলেনি। ধারাবাহিকের জনপ্রিয়তা এতটাই ছিল, যে হিন্দিতেও তৈরি হয় সিরিয়াল। সেখানেও আর্শিয়াই অভিনয় করেছিল। তাকে বেশ কিছুটা সময় মুম্বইয়ে থাকতে হয়েছিল।
এই মুহূর্তে লেখাপড়াতেই মন দিয়েছে আর্শিয়া। তা বলে অভিনয় থেকে পুরোপুরি বিরতি নেয়নি সে। কিছুদিন আগেই তাকে দেখা গিয়েছে ‘শ্রীকৃষ্ণ ভক্ত মীরা’ ধারাবাহিকে। আপাতত সে দার্জিলিংয়ে ছুটি কাটাচ্ছে। সেখানকার বিখ্যাত রুফ টপ রেস্তোরাঁ থেকে ছবিও পোস্ট করেছে। মল রোড থেকে গোলাপি উলের টুপি ও মাফলার জড়িয়েছে গলায়। ক্যাপশনে লিখেছে, “অসাধারণ সুন্দর”।
আরও পড়ুন:Sid-naaz: ‘হসলা রাখ’-এর শুটিংয়ে মাঝেমধ্যেই কেঁদে ফেলছেন শেহনাজ়, বার বার মনে পড়ছে সিদ্ধার্থের কথা
আরও পড়ুন:Amitabh Bachchan: “উপরে ম্যাচিং সুট, নীচে সবুজ বুট”, হট সিটে বসে কার উদ্দেশে বললেন অমিতাভ?