Madhumita Sarcar Birthday: দু’বছর বয়সেই থাকতে চান মধুমিতা… জন্মদিনের ভিডিয়োতে দিলেন সেই আভাস
ক্যাপশনে লিখেছেন, "রানীর মতো জীবন কাটাও"।
আজ মঙ্গলবার টলিউডের এক নায়িকার জন্মদিন। তিনি মধুমিতা সরকার। ২৭ বছরে পা দিলেন ছোটপর্দার পাখি। ‘বোঝে না সে বোঝে না’ ধারাবাহিকের অভিনেত্রী অভিনয় করেছেন ‘সবিনয়ে নিবেদন’, ‘কুসুমদোলা’, ‘কেয়ার করি না’র মতো ধারাবাহিকেও। বড় পর্দাতেও কাজ করেছেন তিনি। মুক্তি পেয়েছে তাঁর ‘চিনি’, ‘লাভ আজ কাল পরশু’ ছবিটিও। ‘জজমেন্ট ডে’ ওয়েব সিরিজেও কাজ করেছেন। জন্মদিনে একটি মজার ভিডিয়ো শেয়ার করেছেন অভিনেত্রী।
২৭ বছরে পা দিয়েছেন মধুমিতা। কিন্তু ‘দিল তো বাচ্চা হ্যা জি’। নিজেকে কিছুতেই দু’বছরের কম ভাবতে চান না অভিনেত্রী। ভিডিয়োতে তাঁকে দেখে মনে হচ্ছে ঠিক যেন পরী। সদা গাউনটি পরে ফোটোশুটও করেছেন মধুমিতা। তাঁর এক হাতে লাল বেলুন, অন্য হাতে সাদা ডল কেক। দুর্দান্ত মানিয়েছে মধুমিতাকে।
View this post on Instagram
ভিডিয়োতে ২ নম্বর বেলুন হাতে পোজ় দিতে দেখা যায় ‘পাখি’কে। পাশ থেকে একজন ৭ নম্বরটি এগিয়ে দিতে আসে। বোঝাতে চায় ২ নয়, ২৭শে পা দিয়েছেন মধুমিতা। বার বার ৭ নম্বরের বেলুনটি সরিয়ে দিতে দেখা যায় মধুমিতাকে।
TV9 বাংলাকে মধুমিতা বলেছেন, কোনও দিনই জন্মদিন পালন করতেন না তিনি। তবে সোমবার রাতে বন্ধুরা সারপ্রাইজ় পার্টি দিয়েছেন তাঁকে। কেক কাটা হয়। ভোরবেলা পর্যন্ত তাঁদের সঙ্গে চুটিয়ে মজা করেছেন। মধুমিতা বলেছেন, “তারপর ভোরেই চম্পাহাটিতে চলে যাই। বাড়ির লোকের সঙ্গেই সময় কাটাচ্ছি আমি। মা রান্না করেছে। পোলাও, মটন আমার ফেভারিট। তবে আমার জন্মদিনটা আর পাঁচটা দিনের মতোই। আলাদা কিছু নয়। তবে এই দিনটায় বাইরে যেতে ভালবাসি না। বাড়ির মানুষ, কাছের মানুষের সঙ্গেই কাটাতে বেশি পছন্দ করি আমি।”
View this post on Instagram
তবে এই জন্মদিনে ২ বছর বয়সে ফিরে যেতে চান মধুমিতা। TV9 বাংলাকে বলেছেন, “২ বছরে ফিরে গেলে কী ভালই না হত। খালি মনে হয় সেটা। সমস্ত জঘন্য জিনিসগুলো ডিলিট মেরে দিতাম। ওই ছোট বয়সটাই আমার মনে হয় ভাল ছিল। ভগবানের কী অদ্ভুত খেলা, যখন জীবন শুধরে নেওয়ার আসল সময় থাকে, আমাদের মধ্যে ম্যাচিওরিটি থাকে না। কিন্তু যখন ম্যাচিওর হয়ে যাই, আমাদের কাছে সময় থাকে না।”
এদিকে মধুমিতার ফ্যানরা নিজে থেকেই উদ্যোগ নিয়ে অসহায় মানুষের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন। জন্মদিনে এটাই মনে হয়েছে তাঁর সেরা পাওয়া। TV9 বাংলাকে মধুমিতা বলেছেন, “অসহায় মানুষের হাতে ওঁরা খাদ্যদ্রব্য ও অন্যান্য দরকারি সামগ্রী তুলে দিয়েছেন। অনাথ আশ্রমের বাচ্চাদের জন্যই এটা করেছেন ওঁরা। আমার কাছে টাকা পয়সা কিছুই চান না। নিজে থেকেই উদ্যোগ নিয়ে এই কাজটা ওঁরা করেছেন। শুধু চেয়েছেন আমি যাতে একবার যাই।”
আরও পড়ুন: Mamta Kulkarni: ৯০ দশকের হার্টথ্রব মমতা এখন কেমন দেখতে হয়েছে দেখুন