Sreelekha Mitra: ডাক্তারি পড়ুয়াদের খুনের হুমকি, ক্ষোভ শ্রীলেখার; বললেন, ‘আর আপনারা পিঠ বাঁচিয়ে শাহরুখের সঙ্গে ছবি দিন…’
Sreelekha Protests: আবারও সকলের চোখ খোলার চেষ্টা করেছেন তিনি। এক নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক (শ্রীলেখা নিজেই সেই ছাত্রের নাম নিতে চাননি) ডাক্তারি ছাত্রের পাঠানো বার্তা পড়ে শুনিয়েছেন অভিনেত্রী।
চারদিকে কলকাতা আন্তর্জাতিক ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের ডামাডোম। মুম্বই থেকে বাদশা, শাহনশাহ – সকলেই উড়ে এসেছেন আমন্ত্রণে। তবে এই তুমুল হইচইয়ের মধ্যেও অন্ধকার আছে। যেমন থাকে প্রদীপের তলায়। সেই অন্ধকার নিয়েই বরাবরের মতো এবারও কথা বললেন অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র। পরপর দু’বছর কলকাতার মেয়ে ডাক পাননি কলকাতারই আন্তর্জাতিক ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে। সেই নিয়ে তাঁর মনে অভিমান এবং রাগ জমেছে অনেক আগেই। কিন্তু এটাই আসল বিষয় নয়। একদিকে চাকচিক্য দেখে যেমনভাবে ভুলে থাকছেন মানুষ, ঠিক অন্যদিকে অন্দোলনে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন পরবর্তী প্রজন্মের চিকিৎসকেরা। এই বিষয়টিকেই নিজের ফেসবুক লাইভে তুলে ধরেছেন অভিনেত্রী। সকলের চোখ খোলার চেষ্টা করেছেন তিনি। এক নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক (শ্রীলেখা নিজেই সেই ছাত্রের নাম নিতে চাননি) ডাক্তারি ছাত্রের পাঠানো বার্তা পড়ে শুনিয়েছেন অভিনেত্রী।
তাঁর লাইভে এসে শ্রীলেখা বলেছেন, “শুরুতে কলেজ কর্তৃপক্ষ ২২ ডিসেম্বর ডেট দেয় ছাত্রছাত্রী সংসদ নির্বাচনের জন্য। পরে যখন শাসকদল দেখে যে মেডিক্যালের ইউনিয়ন ইলেকশনে তাদের ছাত্রছাত্রী সংসদ কোনওভাবেই জিততে পারবে না, তারা ইলেকশন বাতিল করে দেয়। মেডিক্যাল কলেজের উপর এই অগণতান্ত্রিক আক্রমণের বিরুদ্ধে এই আন্দোলন শুরু হয়, যা এখন ২০০ ঘণ্টার অনশনে পড়েছে…”
নানা সমস্যার সম্মুখীন ডাক্তারির ছাত্রছাত্রীরা। বিপাকে রোগীরাও। সেই লেখা থেকে শ্রীলেখা পড়েছেন, “এই বিষয়ে কলেজ কাউন্সিলের সঙ্গে কথা বলতে গেলে ছাত্রছাত্রীদের মারে, খুনের হুমকি পর্যন্ত দেয়…”। শ্রীলেখার পড়া অংশে এটাও লেখা ছিল অনশনকারীদের মধ্যে দু’তিনজন অসুস্থও হয়ে গিয়েছেন।
এর পর লাইভ শেষ করার আগে ক্ষোভ উগরে দিয়ে শ্রীলেখা বলেছেন, “ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল হোক। অমিতাভ বচ্চন আসুক। শাহরুখ খান আসুক। আমরা এই সবে ভুলে থাকি। আমরা ভুলে যাই – যাঁরা শিক্ষক হতে চায় তাঁরা অনশন করবে, যাঁরা ডাক্তার হতে চায় তাঁরা অনশন করবে… আর আমরা কী করব… এটাই চলতে দেব তো? নিজেদের পিঠটা বাঁচিয়ে চুপ করে থাকব। শাহরুখ খানের সঙ্গে সেলফি তুলে ছবি দেব… আমি এবার সবটা আপনাদের উপর ছাড়লাম। “