Aparajita Adhya: যে কোনও পরিস্থিতিতেই হোক না কেন ফুচকা ত্যাগে মানা অপরাজিতার
করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় অসহায় মানুষকে আগলে ধরেছিলেন অপরাজিতা। সময় উপযোগী কাজ করেছিলেন। প্রমাণ করেছিলেন, 'জিনা ইসি কা নাম হ্যায়'।
গোলগাপ্পা, পানিপুরি না ফুচকা… সেই বিতর্কে আর না যাওয়াই ভাল। ছোটখাটো ব্যাটেল হয়ে যেতে পারে। কিন্তু যতই যাই হোক না কেন, বাঙালির প্রাণ কিন্তু ওই ফুচকাকেই সামনে এগিয়ে রাখবে। খাবারদাবারের ব্যাপারে বাঙালির মাত্রাতিরিক্ত অধিকারবোধ। আর থালায় যদি ফুচকা থাকে, তা হলে সেই ১০০তে ১০০। আরও একবার প্রমাণিত হল এই ভিডিয়োয়।
অপরাজিতা আঢ্য। খেতে ভালবাসেন। খাওয়াতেও ভালবাসেন। বাইরে ওমিক্রনের হাওয়া। ছুঁই ছুঁই সংক্রমণ। ফুচকাওয়ালার কাছে যাওয়া অনেকে বন্ধ করে দিয়েছেন অনেক আগেই। সংক্রমিত হওয়ার ভয়ে! কিন্তু ভয় পাননি একজনই। খুতনির কাছে মাস্ক নামিয়ে যে বীর কন্যা সটান চলে গিয়েছেন ফুচকা দাদার কাছে, তিনি অপরাজিতা ছাড়া আর কে হতে পারেন। সেই ভিডিয়ো পোস্ট করেছেন আর লিখেছেন, “উফফফ ফুচকা… যে কোনও পরিস্থিতিতে!”
View this post on Instagram
TV9 বাংলাকে একান্ত সাক্ষাৎকারে অপরাজিতা জানিয়েছিলেন, ঘুগনি, ফুচকা, আলুকাবলির মতো রাস্তার খাবার তিনি ত্যাগ করতে পারবেন না। পারেন না যে, তা তাঁর সাম্প্রতিক ভিডিয়োতেই প্রকাশ পায়।
নতুন বছরে পিকনিকে গিয়েছিলেন অভিনেত্রী। সেখানেও পঞ্চব্যঞ্জন সাজিয়ে খেতে দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। অপরাজিতা বলেছিলেন, “জামাই আদর”। বিয়ের আগে আইবুড়ো ভাত খাননি। তাই বিয়ের ২৪ বছর পর শ্বশুরবাড়ির মানুষরাই তাঁকে এইভাবে আইবুড়ো ভাত খাওয়ালেন।
নতুন বছর দারুণ আনন্দের সঙ্গে শুরু করেছেন অপরাজিতা। বছর শেষে রাস্তার অসহার মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। বছর শুরু করেন নাচে-গানে হইহুল্লোড়ে। এবার প্রিয় খাদ্য ফুচকা থেকেও নিজেকে বিরত রাখেননি। এই ওমিক্রনের সময়তেও।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় অসহায় মানুষকে আগলে ধরেছিলেন অপরাজিতা। রাত বিরেতে রেমডিসিভির সংগ্রহ করতে বেরিয়ে পড়েছিলেন বাড়ি থেকে। সময় উপযোগী কাজ করেছিলেন। প্রমাণ করেছিলেন, ‘জিনা ইসি কা নাম হ্যায়’।